Khichuri Prasad distributed at Jagannath Temple in Digha ahead of Rath Yatra: জগন্নাথদেব এখন অনসরে রয়েছেন। বন্ধ রয়েছে জগন্নাথের গেট। ফের ২৬ জুন দেখা দেবেন প্রভু। এদিকে প্রতিদিন ভিড় জমছে দিঘার জগন্নাথ ধামে। জগন্নাথদেবের প্রসাদ এবার ভাঁড়ে করে ভক্তদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। একদিকে সমুদ্র, অপরদিকে প্রভু জগন্নাথ দেবের মন্দির দিঘায় খুলে দিয়েছে আধ্যাত্মিকতার নতুন দিক। উদ্বোধনের পর থেকেই মানুষের চোখে মুখে জগন্নাথ দর্শনের উন্মাদনার প্রতিচ্ছবি লেগেই রয়েছে। এবার সেই জগন্নাথ মন্দিরে শুরু হয়ে গেল খিঁচুড়ি প্রসাদ বিতরণ। দর্শনার্থীদের মধ্যে তার চাহিদাও তুঙ্গে।
মন্দিরের দায়িত্বে থাকা ইসকনের তরফ থেকে ইতিমধ্যে মাটির ভাঁড়ে শুরু করা হয়েছে সেই খিঁচুড়ি প্রসাদ বিতরণের কাজ। রোজ দর্শনার্থীদের জন্য পাঁচ হাজার মাটির ভাঁড়ে ব্যবস্থা থাকছে খিঁচুড়ি প্রসাদের। তা নিয়ে ইতিমধ্যে সাধারণ মানুষের মধ্যেও ব্যাপক আগ্রহ দেখা দিয়েছে।
গত কয়েকদিন ধরে চলছে এই খিঁচুড়ি প্রসাদ বিতরণ। যা আধ ঘন্টার মধ্যেই শেষ হয়ে যাচ্ছে। মন্দির সূত্রে খবর, বর্তমানে রোজ পাঁচ হাজার ভাঁড় খিঁচুড়ি প্রসাদ তৈরি করা হচ্ছে। ছোট ভাঁড়ের দাম থাকছে ৫০ টাকা এবং বড় ভাঁড়ের দাম ১০০ টাকা। মন্দির ক্যাম্পাসের মধ্যেই ভোগ ঘরে ১০ জন ইসকন সন্ন্যাসী তৈরি করছেন এই খিঁচুড়ি।
আরও পড়ুন- Kolkata News Live Updates:SSC-এর শিক্ষক নিয়োগের ফর্ম ফিলাপ শুরু, বিধানসভা অভিযানের ডাক চাকরিহারা শিক্ষকদের
তবে বর্তমানে জগন্নাথদেবর অনসর পর্ব চালায় মন্দিরের ভেতরে থাকা মদনমোহন বিগ্রহ খিঁচুড়ি অর্পণ করে প্রসাদ হিসেবে বিতরণ করা হচ্ছে। রথের পরেই তা জগন্নাথের প্রসাদ হিসেবে বিতরণ হবে। মন্দির ট্রাস্টের সদস্য রাধারমন দাস বলেন, “প্রসাদ বিক্রি শুরু হওয়ার আধ ঘন্টার মধ্যেই সমস্ত প্রসাদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। মানুষের মধ্যে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।”
আরও পড়ুন- Malda News: আমের আড়ালে কী পাচারের চেষ্টা? সূত্রের খবরে অতর্কিতে হানায় বড়সড় গ্রেফতারি
এদিকে দিঘায় এই প্রথম রথের প্রস্তুতিও একেবারে তুঙ্গে। প্রায় ২ লক্ষ মানুষের সমাগমের আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই নিরাপত্তার ব্যবস্থাও ঢেলে সাজানো হচ্ছে। বর্তমানে ৭৫ লক্ষ টাকায় পুরনো জগন্নাথ মন্দির সংলগ্ন এলাকায় সেজে উঠেছে জগন্নাথের মাসির বাড়ি। সেখানে ব্যবস্থা করা হয়েছে রথ রাখার। রথের পরের দিন থেকে ফেরত রথ পর্যন্ত চলবে অন্নমহোৎসব। রোজ সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য থাকবে অন্ন প্রসাদের ব্যবস্থা। ফেরত রথের দিন ১০হাজার মানুষের জন্য অন্ন প্রসাদের ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়াও মন্দিরের সামনে ফরেস্টের বেশ কিছুটা জায়গা রয়েছে।
আরও পড়ুন- deportation: ভিনরাজ্যে আটক মুর্শিদাবাদের যুবক, সটান পাঠানো হল বাংলাদেশে
সেখানে প্রায় ১০০ টি দোকান বসবে। ইতিমধ্যে মাসির বাড়ি কমিটির তরফ থেকে রথের জন্য ১৩ জন ব্রাহ্মণ থাকবে বলে জানানো হয়েছে। মূল রথের দিন ইসকন মায়াপুর থেকেও ১০০ জন সন্ন্যাসী আসবেন। ওদিন অতিরিক্ত ভিড় হলে প্রয়োজনে কিছু মানুষকে মন্দির ক্যাম্পাসে বসানোর ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়াও ১০০ মিটার অন্তর থাকবে এলইডি স্ক্রিন। মাসির বাড়ি কমিটির সভাপতি সুশীল কুমার প্রধান বলেন, “বর্তমানে মাসির বাড়ির সমস্ত কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। এখন গেটের কাজ জোর কদমে চলছে। বিশেষ করে নিরাপত্তার দিকে জোর দিচ্ছি আমরা।”