Rekha Patra-Lok Sabha Election 2024: আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha Election 2024) বসিরহাট (Basirhat) কেন্দ্রে এবার BJP প্রার্থী করেছে সন্দেশখালির (Sandeshkhali) 'অগ্নিকন্যা' রেখা পাত্রকে (Rekha Patra)। বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রেরই অন্তর্গত উত্তর ২৪ পরগনার দ্বীপাঞ্চল সন্দেশখালি। শেখ শাহজাহানদের (Sheikh Shahjahan) বিরুদ্ধে প্রতিবাদের আগুন জ্বলে ওঠে সন্দেশখালিতে। সেই লাগাতার আন্দোলনের ফসল রেখা। দাপুটে এই গৃহবধূকে সামনে রেখেই এবার গোটা বসিরহাটে পালাবদলে মুখিয়ে গেরুয়া দল।
বসিরহাট লেকাসভা কেন্দ্র থেকে এবার BJP প্রার্থী করেছে সন্দেশখালির রেখা পাত্রকে। আটপৌরে গৃহবধূর একেবারে লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে যাওয়ার জার্নিটা কিন্তু এত সহজ ছিল না। শেখ শাহজাহান, উত্তম সরদার, শিবু হাজরাদের লাল চোখ উপেক্ষা করেই সন্দেশখালির বুকে প্রতিবাদের আগুন জ্বালিয়েছিলেন যে হাজার-হাজার মহিলা, তাঁদেরই অন্যতম রেখা পাত্র। একেবারে সাদামাটা একটি পরিবার থেকে উঠে আসা রেখার সঙ্গেই সম্প্রতি ফোনে কথা হয়েছে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi)। তাঁকে সাহস জুগিয়েছেন নমো।
কে এই রেখা পাত্র?
সন্দেশখালি থানার কাছেই পাত্র পাড়ার বাসিন্দা রেখা পাত্র। তাঁর স্বামীর নাম সন্দীপ পাত্র। দ্বীপাঞ্চলে কাজের বড়ই অভাব। সংসারের খরচ চালাতে চেন্নাইতে (Chennai) পরিযায়ী শ্রমিকের (Migeant Labour) কাজ করেন তাঁর স্বামী। তবে এবার স্ত্রী ভোটে দাঁড়ানোর পরেই দ্রুত চেন্নাই থেকে সন্দেশখালিতে ফিরেছেন সন্দীপ। তিন মেয়ে নিয়ে ছোট্ট সংসার রেখার। জমি-জায়গাও বিশেষ নেই। স্বামীর আয়েই রেখাদের সংসার চলে।
এর আগে কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গেই রেখা পাত্রদের পরিবার যুক্ত ছিল না। স্বামী সন্দীপ চেন্নাইতে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করেন। রেখা স্বামীর পাঠানো টাকায় কোনওমতে সংসার চালান। সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহানদের অত্যাচার কাছ থেকে দেখেছেন রেখা। পাশে ছিল না পুলিশ, তাই চাইলেও প্রতিবাদ জানানো সাহসে কুলিয়ে ওঠেনি। তবে সুযোগ মিলতেই শাহজাহানদের লাল চোখ উপেক্ষা করে প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছেন রেখাও। সন্দেশখালির আন্দোলনই তাঁকে প্রচারের আলোয় এনেছে। এবার সেই রেখাই বিজেপির বড় বাজি।
তবে রেখা পাত্র BJP প্রার্থী হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই দ্বীপাঞ্চলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। একাংশের মহিলারা রীতিমতো প্ল্যাকার্ড নিয়ে রেখার বিরোধিতায় সোচ্চার হন। যদিও পরবর্তী সময়ে প্রতিবাদ দেখানো মহিলাদেরই একাংশ রেখার কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন। রাজনৈতিকভাবে বিভ্রান্ত হয়েই রেখার বিরুদ্ধে পথে নেমেছিলেন বলে দাবিও করেন তাঁরা।