Abhijit Das-Diamond Harbour: ডায়মন্ড হারবারের BJP প্রার্থী বছর পঞ্চান্নর অভিজিৎ দাস, ববিদা নামেই বেশি পরিচিত। প্রথমে বিদ্যার্থী পরিষদ পরে RSS-এর এই সক্রিয় কর্মীর ওপরেই ডায়মন্ড হারবারে (Diamond Harbour) ভরসা রেখেছে পদ্ম শিবির। এর আগে পদ্ম প্রতীকে লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha Elections) দু'বার লড়াই করেছিলেন ববিদা। কিন্তু কে এই অভিজিৎ দাস?
দীর্ঘ ২০ বছর বিভিন্ন ক্ষেত্রে RSS-এর দায়িত্ব পালন করার পর ২০০৯ সালে ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রে BJP-র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন অভিজিৎ দাস (Abhjit Das)। যদিও মোট ভোটের মাত্র ২.৮৮ শতাংশ পেয়ে কোনও রকমে তৃতীয় স্থানে দৌড় শেষ করতে হয়েছিল তাঁকে। পরবর্তী সময়ে ফের ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হন ওই কেন্দ্রেই। মোট প্রদত্ত ভোটের ১৫.৯২ শতাংশ অর্থাৎ ২,০০,৮৫৮ ভোট পেয়ে ফের তৃতীয় স্থানেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল তাঁকে।
তবে ২০১৯-এ BJP এখানে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসে ৩৩.৩৯ শতাংশ ভোট পেয়ে। অভিজিৎ দাস বিজেপির জেলা সভাপতি হয়েছিলেন। পরবর্তী সময়ে নবদ্বীপ জোনের কো-অবজার্ভার হিসেবে বিজেপির দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। দলের রাজ্য কমিটির এই সদস্যের ওপর শেষমেশ তৃণমূলের হেভিওয়েট প্রার্থী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) বিরুদ্ধে বিজেপির হয়ে লড়াইয়ের দায়িত্ব বর্তেছে।
অভিজিৎ দাসের বাবা বীরেন্দ্র কুমার দাস এজি বেঙ্গলের উচ্চপদস্থ কর্মচারী ছিলেন। মাত্র ১৫ বছর বয়সে পিতৃ বিয়োগের পর আর্থিক অনটনের মধ্যে লেখাপড়া চালিয়ে যান তিনি। উদয়রামপুর পল্লিশ্রী শিক্ষায়তন থেকে মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ হওয়ার পর মেদিনীপুর বিদ্যালয়ে বিজ্ঞান শাখায় ভর্তি হয়ে বিদ্যালয় আবাসনে থেকে উচ্চমাধ্যমিকের লেখাপড়া করেন।
আরও পড়ুন- Kolkata Metro: গঙ্গার বুক চিরে ছুটছে মেট্রো, দুরন্ত সফরের অবাক করা নয়া তথ্যে তাজ্জব হবেন!
সুরেন্দ্রনাথ কলেজে (Surendranath College) পড়ার সময় অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের সঙ্গে যুক্ত হন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় (Calcutta University) থেকে সংগ্রহশালা বিদ্যায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রী এবং গ্রন্থাগার বিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সঙ্গের যুক্ত হয়ে সাংগঠনিক ও সামাজিক কাজ শুরু করেন। এলএলবি-করেছেন তিনি। ২০১৪ সালে নির্বাচনের সময় এসব তথ্য জানিয়েছিলেন অভিজিৎ দাস।
বিবেকানন্দের (Vivekananda) আদর্শকে পাথেয় করে একঝাঁক তরুণ প্রজন্মকে নিয়ে 'অগ্নি' নামে সামাজিক সংগঠন তৈরি করেছিলেন। আমতলা ও সংলগ্ন অঞ্চলের সরকারি, দেবত্ব, ওয়াকফ সম্পত্তি বেদখল থেকে শুরু করে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করে জলাজমি, পুকুর ভরাট প্রভৃতি বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ করতে গঠন করেছেন আমতলা নাগরিক অধিকার রক্ষা সমিতি। ছিলেন রেলের অ্যামেনিটিজ কমিটির সদস্যও।
আরও পড়ুন- এযেন অজয় দেবগনের ‘শয়তান’ সিনেমা! হঠাৎ ঈশ্বরভক্তি, নিরামিষ আহার, এক রাতে হঠাৎ উধাও নাবালিকা!
দীর্ঘ ২০ বছর রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের বিভিন্ন দায়িত্ব সামলে ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তিনি। পরবর্তী সময়ে ২০১৮ সালে দলীয় জনসভায় যাওয়ার পথে বেধড়ক মার খেতে হয় তাঁকে। রক্তাক্ত হয়েছেন অভিজিৎ। তৃণমূলের বিরুদ্ধেই তাঁর উপর হামলার অভিযোগ উঠেছিল। যদিও তৃণমূল তা অস্বীকার করেছিল। দলের অভ্যন্তরে 'ঠোঁটকাটা' বলেই পরিচিত আদ্যোপান্ত বিজেপি কর্মী অভিজিৎ দাস।
আরও পড়ুন- Satabdi Roy: চড়া রোদে প্রচারে গ্রামে ঢুকতেই চটে লাল তৃণমূলের তারকা সাংসদ শতাব্দী! কেন?
এখন দেখার বিষয় রাজ্যে সবার শেষে প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা হওয়া 'আদি' বিজেপি অভিজিৎবাবু কতটা ভেল্কি দেখাতে পারেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে। ডায়মন্ড হারবারের ভূমিপুত্রকেই বিজেপি প্রার্থী করেছে, ইতিমধ্যেই নদীপাড়ের এই শহরে এমনই প্রচার তুঙ্গে তুলেছে পদ্ম শিবির।