হরেক রঙের ফুলকপি চাষ করে এলাকায় সাড়া ফেলে দিয়েছেন বছর পঞ্চান্নের এক কৃষক। পরীক্ষামূলকভাবে চাষ শুরু করতেই মেলে সাফল্যের হদিশ। তারপর থেকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। বাজারে নানা রঙের ফুলকপির কদর দিন-দিন বাড়ছে। তাই প্রবল উৎসাহে রঙবেরঙের ফুলকপি চাষে দিন-রাত এক করে দিচ্ছেন কোলাঘাটের এই চাষি।
Advertisment
পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাটের বৃন্দাবনচক গ্রামের প্রমথনাথ মাজি। ফুলকপির চাষ তাঁর বহুদিনের নেশার মতো। বরাবরই নতুন নতুন চাষের প্রতি বিশেষ আগ্রহ রয়েছে প্রমনথনাথ মাজির। বিদেশি সব্জি, ব্রকোলি, চায়না টমাটো, ক্যাপসিকাম-সহ বিভিন্ন সবজি তিনি বহু দিন ধরে চাষ করে চলেছেন। নতুন চাষবাস দীর্ঘদিনের নেশা বছর পঞ্চান্নের এই চাষির। এবছর পরীক্ষামূলকভাবেই রঙিন ফুলকপির চাষ শুরু করেছিলেন তিনি। তাতেই কেল্লাফতে!
এবছর এক হাজার রঙিন ফুলকপি চাষ করেছেন ওই কৃষক। মূলত বেগুনি ও হলুদ রঙের ফুলকপি চাষ করেছেন তিনি। পরীক্ষামূলকভাবে এই চাষ করতে গিয়ে মেলে সাফল্য। তাঁর হরেক রঙের ফুলকপির দারুণ কদর পড়ে গিয়েছে। এলাকার অন্য চাষিরাও তাঁর এই চাষের প্রতি উৎসাহ দেখাতে শুরু করে দিয়েছেন।
প্রথমে কিছুটা ভয়ভীতি থাকলেও বর্তমানে ফলন ও বাজারে চাহিদা ভালো থাকায় চিন্তা কেটেছে। এরই পাশাপাশি বিক্রিও বেড়েছে। হরেক রঙের এই ফুলকপি কোলাঘাটের পার্শ্ববর্তী যশোড়া, খুকুড়দহ, দেউলিয়া ও কোলাঘাট বাজারেও বিক্রি করছেন। ওই কৃষকের দাবি, বাজারেও যথেষ্টই চাহিদা রয়েছে রঙিন এই ফুলকপির। বর্তমানে গড়ে চল্লিশ টাকা কেজি দরে তিনি বিক্রি করছেন এই রঙিন ফুলকপি।
প্রমথনাথ মাজি আরও জানান, এই ফুলকপি চাষ করে তিনি রীতিমতোই খুশি। এলাকার অন্য চাষিরাও এই চাষ দেখে আগ্রহ প্রকাশ করছেন। আগামী বছর এই রঙিন ফুলকপির চাষ তিনি আরও বাড়াবেন বলে জানিয়েছেন। সব মিলিয়ে বৃন্দাবনচক গ্রামের এই কৃষকের নতুন চাষ সাড়া ফেলে দিয়েছে।