হিংসার আগুনে জ্বলতে থাকা মনিপুর থেকে ভিন রাজ্য়ের পড়ুয়াসহ বাসিন্দারা আতঙ্কে রাজ্য ছাড়ছেন। সেখানে দেখা মাত্র গুলির নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। রাজ্যের আটটি জেলায় কারফিউ জারি করা হয়েছে। কলকাতা বিমানবন্দরে মনিপুর থেকে ফিরে আসা যাত্রীদের জন্য হেল্প ডেস্কের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এনএসসিবিআই এয়ারপোর্ট কতৃপক্ষ ও এয়ারপোর্ট থানা এর দায়িত্বে রয়েছে।
গত দু'দিন সিডিউল ফ্লাইট ও বিশেষ বিমানে মনিপুর থেকে রাজস্থান, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা ও মিজোরামের বাসিন্দারাও কলকাতা বিমানবন্দরে এসেছেন। এদের মধ্যে বেশিরভাগই পড়ুয়া, বিশেষত মেডিক্যাল স্টুডেন্ট রয়েছেন। এই রাজ্য়ের ১৮ জন পড়ুয়া ফিরেছেন সোমবার। গেট নং থ্রি সিতে বিশ্রামের ব্যবস্থা রয়েছে। সেখানেই রয়েছে হেল্প ডেস্ক। হেল্প ডেস্কে একটি ফোন নম্বর দেওয়া হয়েছে। কোনও অসুবিধা থাকলে 9830104010 নম্বরে ফোন করলে মনিপুর ফেরত যাত্রীদের সাহায্য় করা হবে। প্রয়োজনে থাকার জন্য রাজ্য সরকারও পৃথক ব্যবস্থা রেখেছে। ভিন রাজ্যের আধিকারিকরাও হাজির থাকছেন ওই যাত্রীদের সুবিধার জন্য। সেক্ষেত্রে এয়ারপোর্ট কতৃপক্ষ ও রাজ্য সকারের তরফ থেকে সাহায্য় করা হচ্ছে। প্রয়োজনে অ্য়াম্বুলেন্স ও গাড়ির ব্যবস্থা করা আছে।
বিমানবন্দরের জনৈক আধিকারিক বলেন, 'মনিপুর থেকে কলকাতা বিমানবন্দরে ফিরে আসা যাত্রীদের সহযোগিতা করার জন্য হেল্প ডেস্ক করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট রাজ্যের প্রোটোকল অফিসারও থাকছেন। মনিপুর থেকে কলকাতা এয়ারপোর্টে ফিরে যাতে সহজে তাঁদের গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে তার জন্য় সহযোগিতা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ভিন রাজ্য থেকে বেশ কয়েকজন ফিরেছে। হেল্প ডেস্কের নম্বরে যোগাযোগ করা হলে বলা হয়, 'গত দুদিন ধরে মনিপুর থেকে যাত্রীরা ফিরছে। আজ এখনও তালিকা পাইনি। ফ্লাইটে মনিপুর থেকে যাত্রী এলে বা তালিকা পেলেই আমরা হেল্পে ডেক্সে পৌঁছে যাব। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসেছেন, তারপর পেট্রলিংয়ের ব্যস্ততা রয়েছে।' তিনি জানিয়েছেন, সোমবার এরাজ্যের ১৮ জন পড়ুয়া এসেছে।
মণিপুরে মেইতেই এবং কুকি সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে। রীতমতো আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এখনও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। বাড়ির বাইরে বের হতেই ভয় পাচ্ছেন। ভিন রাজ্যের বাসিন্দারা দ্রুত মনিপুর ছাড়তে চাইছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় ঘোষণা করেছেন, মনিপুর থেকে আসা যাত্রীদের সবরকম সাহায্য করা হবে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে।