প্রকাশ্যে এল শহরে নয়া কায়দায় ব্যাঙ্ক প্রতারণার ঘটনা। এ কায়দাতেও স্কিমার নামক যন্ত্রের সাহায্য নিল প্রতারকরা। কিন্তু এবার আর এটিএমে স্কিমার লাগিয়ে টাকা তুলে নেওয়া নয়, হাতেই স্কিমার নিয়ে ঘুরছে প্রতারকরা। এদের টার্গেট বিশেষত প্রবীণ গ্রাহক, কিংবা যাঁরা এটিএমে টাকা তুলতে এখনও তেমন অভ্যস্ত নন। তাঁদের টাকা তুলতে সাহায্য করার বাহানায় কখনও পিন নম্বর জেনে, আবার কখনও হাতের ছোটো স্কিমারের সাহায্যে, হাজার হাজার টাকা তুলছে ওই প্রতারকরা। এরকমই এক ব্যাঙ্ক প্রতারণার ঘটনায় দু'জনকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশের ব্যাঙ্ক ফ্রড বিভাগ।
লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন সাতেক আগেই বিহারে গয়া জেলার ফতেরপুর থেকে সুরিন্দর কুমার নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত অক্টোবর মাসে বালিগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগের প্রেক্ষিতে সুরিন্দরকে পাকড়াও করে পুলিশ। পরে তাকে জেরা করেই আরেক অভিযুক্ত সুলতানের হদিশ মেলে। মঙ্গলবার সুলতানকে সেই ফতেরপুর থেকেই গ্রেফতার করা হয়। বালিগঞ্জ থানার পাশাপাশি আমহার্স্ট স্ট্রিট থানাতেও এ ধরনের প্রতারণার অভিযোগ মেলে।
আরও পড়ুন: এবার কলকাতা পুলিশের ঘরেই এটিএম জালিয়াতি!
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মণিপুরের এক মহিলার অভিযোগের প্রেক্ষিতে এদের ধরা হয়েছে। ওই মহিলার অভিযোগ খতিয়ে দেখেই পুলিশ জানতে পারে ধৃতদের প্রতারণার কৌশল। সিসিটিভি ফুটেজেও এক অভিযুক্তকে চিহ্নিত করা হয়। এ ধরনের প্রতারণায় আরও জনা দুয়েক অভিযুক্ত পলাতক বলে জানা গিয়েছে।
ইতিমধ্যেই এ ঘটনায় সুলতানকে ট্রানজিট রিমান্ডে এ শহরে আনা হয়েছে। তাকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবে পুলিশ। অন্যদিকে সুরিন্দর পুলিশ হেফাজতেই রয়েছে।
কয়েকমাস আগে এটিএমে স্কিমার বসিয়ে এ শহরের বহু গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে হাজার হাজার টাকা তুলে নেয় প্রতারকরা। যে ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনার তদন্তে নেমে কয়েকজন রোমানিয়ান নাগরিককে পাকড়াও করে পুলিশ। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে কলকাতা পুলিশের এক কর্মীরও অ্যাকাউন্ট থেকে ৬৬ হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ ওঠে। বারবার ব্যাঙ্ক প্রতারণার ঘটনায় স্বভাবতই উদ্বিগ্ন শহরবাসী।