Advertisment

শহরে জোড়া প্রতারণায় পুলিশি জালে ৪ জন

এলাকায় মোবাইল টাওয়ার বসানোর নামে প্রতারণার অভিযোগে আরও ৩ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। অন্যদিকে এটিএমের পিন নম্বর জেনে টাকা হাতানোর অভিযোগে এক যুবককে পাকড়াও করা হল।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
fraud, প্রতারণা

রিলায়েন্স জিও, এয়ারটেলের মতো নেটওয়ার্ক সংস্থার মোবাইল টাওয়ার বসানোর নামে টাকা হাতানোর অভিযোগে আরও তিনজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। প্রতীকী ছবি।

ব্যাঙ্ককর্মী পরিচয়ে ফোন করে এটিএমের পিন নম্বর জেনে প্রতারণাই হোক কিংবা মোবাইল টাওয়ার বসানোর নামে টাকা হাতানো, এমন ঘটনা আজকাল আখছার ঘটছে। সাধারণের উদ্দেশে প্রশাসনের সাবধানবাণী সত্ত্বেও, প্রতারণার শিকার হচ্ছেন আম জনতা। এমন নিদর্শনই আবারও সামনে এল।

Advertisment

রিলায়েন্স জিও, এয়ারটেলের মতো নেটওয়ার্ক সংস্থার মোবাইল টাওয়ার বসানোর নামে টাকা হাতানোর অভিযোগ উঠেছে হাবড়ার একটি সংস্থার বিরুদ্ধে। যে অভিযোগে আগেই ১১ জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এবার এ ঘটনায় আরও তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতরা হল অভিজিৎ বিষ্ণু, প্রিয়াঙ্কা কর, ও সুজাতা সাধু। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এরা সকলেই ওই সংস্থার অ্যাডমিন পদে কর্মরত ছিল। ধৃতদের মধ্যে অভিজিৎ রিজেন্ট পার্ক এলাকার বাসিন্দা। প্রিয়াঙ্কা নিমতা এলাকার বাসিন্দা ও সুজাতা মধ্যমগ্রামের বাসিন্দা বলে খবর। ধৃতদের আজ বিধাননগর আদালতে তোলা হবে।

আরও পড়ুন: যৌন হেনস্থার অভিযোগে ধৃত ফেসবুক বন্ধু

ঠিক কী অভিযোগ? পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকায় মোবাইল টাওয়ার বসানোর নামে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা তুলত এরা। কম সুদে ঋণও পাইয়ে দিত অভিযুক্তরা। রেজিস্ট্রেশন ফি, জিএসটির নাম করে টাকা তুলত তারা। এতেই শেষ নয়, এলাকায় মোবাইল টাওয়ার বসানোর জন্য সাধারণের থেকে মোটা অঙ্কের টাকা জমা দিতেও বলত। একটি সংস্থার নামে সিকিউরিটি ডিপোজিট হিসেবে ওই মোটা অঙ্কের টাকা অভিযুক্তরা তুলত বলে অভিযোগ। যে সংস্থাটির প্রধান কার্যালয় হাবড়ায়। তবে সল্ট লেকের সেক্টর ফাইভেও ওই সংস্থার অন্য অফিস রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।

অন্যদিকে, প্রশাসনের এত সচেতনতার প্রচার সত্ত্বেও আবারও ব্যাঙ্ক প্রতারণার শিকার হচ্ছে আম আদমি। স্টেট ব্যাঙ্কের কর্মী পরিচয়ে ফোন করে পিন নম্বর জেনে টাকা হাতানোর অভিযোগ তুলেছেন ডানকুনির এক বাসিন্দা। ব্যক্তিগত কাজের জন্য হুগলি থেকে সল্ট লেকে এসেছিলেন ডানকুনির ওই ব্যক্তি, যিনি অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী। তাঁর অভিযোগ, এসবিআই ব্যাঙ্কের প্রতিনিধি হিসেবে পরিচয় দিয়ে তাঁর পিন নম্বর, এটিএম সংক্রান্ত তথ্যাদি জেনে টাকা হাতানো হয়েছে। তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে ৪৯,৯৭৯ টাকা লেনদেন করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন ওই ব্যক্তি।

এ অভিযোগ পাওয়ার পরই নড়েচড়ে বসে পুলিশ। অভিযুক্ত রাজা মহারাকে (২০) গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃত যুবক বীরভূমের সিউড়ি এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। তার কাছ থেকে বেশ কিছু নথি ও যন্ত্রাংশ বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। গতকাল ধৃতকে বিধাননগর আদালতে পেশ করা হয়। ধৃতকে হেফাজতে রাখার আবেদন জানায় পুলিশ।

kolkata news crime police
Advertisment