/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/22/cats-2025-08-22-17-53-09.jpg)
কলকাতায় একাধিক নতুন মেট্রো রুটের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
PM Modi in Kolkata :শুক্রবার (২২ আগস্ট, ২০২৫) কলকাতায় একাধিক নতুন মেট্রো রুটের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এর মধ্যে অন্যতম হল শহরের প্রথম সরাসরি বিমানবন্দর মেট্রো সংযোগ। কলকাতার নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এখন থেকে মেট্রোর আওতায় আসছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সমীক ভট্টাচার্য ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। প্রধানমন্ত্রী সবুজ পতাকা নাড়িয়ে নতুন রুটের যাত্রা শুরু করেন।
মোট ১৩.৬১ কিলোমিটার দীর্ঘ এই নতুন নেটওয়ার্ক তিনটি রুটে ছড়িয়ে রয়েছে—গ্রিন, ইয়েলো ও অরেঞ্জ লাইন। ১৯৮৪ সালে কলকাতায় মেট্রো যাত্রার সূচনা হয়েছিল। প্রায় চার দশক পরে এই সংযোগ শহরের পরিবহন ব্যবস্থায় এক নতুন অধ্যায় যোগ করল। মেট্রো কর্তৃপক্ষের দাবি, নতুন রুটগুলি শহরের যানজট কমাবে এবং লক্ষ লক্ষ যাত্রীর প্রতিদিনের যাতায়াত সহজ করে তুলবে।
গ্রিন লাইন সম্প্রসারণে শিয়ালদহ থেকে এসপ্ল্যানেড (২.৪৫ কিমি) পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা চালু হল। এর ফলে হাওড়া ও শিয়ালদহ—শহরের দুই ব্যস্ততম রেল টার্মিনালের মধ্যে প্রথমবার সরাসরি মেট্রো সংযোগ স্থাপিত হল। রাস্তায় যানজটের কারণে প্রায় ৫০ মিনিট সময় নেয়, সেটি এখন মাত্র ১১ মিনিটেই মেট্রোয় পাড়ি দেওয়া সম্ভব হবে।
অন্যদিকে, ইয়েলো লাইনে নোয়াপাড়া থেকে জয় হিন্দ বিমানবন্দর পর্যন্ত (৬.৭৭ কিমি) প্রসারিত হয়েছে। ৪১ বছর পর প্রথমবার শহরের মেট্রো পরিষেবার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হল বিমানবন্দর। এখন থেকে বিমানবন্দরে পৌঁছাতে যেখানে রাস্তায় এক ঘণ্টারও বেশি সময় লাগত, মেট্রোয় সেই সময় অর্ধেক হয়ে প্রায় ৩০ মিনিটে নেমে আসবে। অপরদিকে অরেঞ্জ লাইন পূর্ব ও পশ্চিম কলকাতাকে সরাসরি যুক্ত করবে। যদিও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, বিজেপি শাসিত রাজ্যে বাংলার শ্রমিকদের উপর অত্যাচারের প্রতিবাদেই এই অনুষ্ঠান এড়িয়ে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিনের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘আজ আরও একবার বাংলার উন্নয়নের গতি আনার সুযোগ পেলাম। সকলেই খুশি যে কলকাতার গণপরিবহণ আধুনিক হচ্ছে। কলকাতাবাসী, বাংলাবাসীকে অনেক শুভেচ্ছা।’ আজ দেশের দুটি ব্যস্ত রেল স্টেশন মেট্রো রুটে যুক্ত হল। কলকাতার গণপরিবহণ প্রকৃতপক্ষে আধুনিকীকরণ হল। বাংলার উন্নতি কেন্দ্রীয় সরকারের অগ্রাধিকার। আগে কলকাতা মেট্রো ২৮ কিলোমিটার বিস্তৃত ছিল। এখন তা ৩৯ কিলোমিটার সম্প্রসারণ হয়েছে। আরও ২২ কিলোমিটার মেট্রো সম্প্রসারণ হবে।’’