Advertisment

নাইটক্লাবে ঢুকতে বাধা, ফেসবুকে প্রতিবাদ জানালেন রূপান্তরকামীরা

LGBTQ: কলকাতার একটি বিখ্য়াত নাইটক্লাবে ঢুকতে পেলেন না শহরের কয়েকজন রূপান্তরকামী নাগরিক, এমনই অভিযোগ তাঁদের। প্রতিবাদে সরব হলেন তাঁরা সোশ্যাল মিডিয়াতে এসে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Kolkata nightclub has allegedly refused to let in LGBTQ members

ছবি: প্রতিবাদরত রূপান্তরকামী নাগরিকদের ভিডিও থেকে

LGBTQ: কলকাতার কয়েকজন রূপান্তরকামী নাগরিকের অভিযোগ, রূপান্তরকামী হওয়ার কারণেই তাঁদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি কলকাতারই একটি পাঁচতারা হোটেলের নাইটক্লাবে। ১৮ এপ্রিল রাতে ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার ঠিক পরেই ফেসবুক লাইভে এসে প্রতিবাদ জানান তাঁরা।

Advertisment

১৮ এপ্রিল রাতেই তমোঘ্ন তপোসিদ্ধা নামক এক রূপান্তরকামী নাগরিক তাঁর ফেসবুক প্রোফাইল থেকে লাইভে এসে অভিযোগ করেন, তাঁকে এবং তাঁর কয়েকজন রূপান্তরকামী বন্ধুদের পার্ক হোটেলের রক্সি-তে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছে। পার্ক হোটেলের এই নাইটক্লাবটি অত্যন্ত জনপ্রিয় শহরের তরুণ প্রজন্মের মধ্যে। কলকাতার প্রথম সারির নাইটক্লাবগুলির মধ্য়ে অন্যতম রক্সি নির্দিষ্ট কিছু দিন ছাড়া খোলা থাকে প্রায় সারা বছরই। খোলা থাকে মধ্য়রাত পেরিয়েও বেশ অনেকক্ষণ।

আরও পড়ুন: ‘সব মোদীই চোর’; মানহানির মামলা করলেন ললিত

তমোঘ্ন ও তাঁর বন্ধুদের অভিযোগ, তাঁদের যে রক্সি-তে শুধুমাত্র ঢুকতে দেওয়া হয়নি তা নয়, রূপান্তরকামী হিসেবে অত্যন্ত অবমাননাকর কিছু মন্তব্যও শুনতে হয়েছে। এই ধরনের মন্তব্য় এবং আচরণ অত্যন্ত নিন্দনীয় বলে জানিয়েছেন তাঁরা। অবিলম্বেই তাঁরা পার্ক হোটেলের বাইরে বেরিয়ে এসে ফুটপাথে দাঁড়িয়েই সোশ্য়াল মিডিয়ায় লাইভে এসে প্রতিবাদ জানান।

ফেসবুক লাইভে দেখা গিয়েছে ফুটপাথে দাঁড়িয়ে ঘটনার তীব্র নিন্দা করে স্লোগান দিচ্ছেন তমোঘ্ন এবং তাঁর বন্ধুরা। ফেসবুক লাইভ ভিডিওটিতে দেখা যায় তমোঘ্ন বলছেন যে বৃহস্পতিবার ছিল ওই নাইটক্লাবে 'লেডিজ নাইট'। তমোঘ্নর অভিযোগ, তিনি রক্সি-তে ঢুকতে গেলে তাঁকে ওই প্রসঙ্গটি তুলে বলা হয় যেহেতু লেডিজ নাইট তাই তমোঘ্ন তিনি না পুরুষ, তার প্রমাণ দিতে হবে। দেখে নিতে পারেন ভিডিওটি নীচের লিঙ্কে ক্লিক করে--

আরও পড়ুন: সোনাগাছির মেয়েরা লোকসভায় কাকে ভোট দেবেন?

তমোঘ্ন ও তাঁর বন্ধুদের বক্তব্য, এই ধরনের মন্তব্য অত্য়ন্ত কুরুচিকর ও অপমানজনক এবং নাগরিক হিসেবে এই বৈষম্যমূলক আচরণ তাঁদের প্রাপ্য় নয়। ১৮ এপ্রিল রাতের এই লাইভ ভিডিওটি শেয়ার করা হয় ফেসবুকের বিভিন্ন কমিউনিটি পেজে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র প্রতিবাদ হয় এই ঘটনার। তবে এখনও পর্যন্ত এই নিয়ে রক্সি কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি পাওয়া যায়নি।

transgender
Advertisment