/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/06/mamata-day-3-759.jpg)
কেন প্রকাশ্য়ে কাট মানি ফেরতের কথা বললেন মমতা, দলের নিচু তলায় প্রশ্ন উঠছে তা নিয়েই (ফাইল ছবি)
NRS Doctors' Protest Updates: এনআরএসকাণ্ডে নবান্নে জরুরি বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে রয়েছেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, মুখ্যসচিব, স্বাস্থ্যসচিব। রাজ্যজুড়ে হাসপাতালে অচলাবস্থা নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বসেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সূত্র মারফৎ এমনটাই জানা গিয়েছে। অন্যদিকে, এনআরএসকাণ্ডে সিনিয়র ডাক্তারদের উদ্দেশে খোলা চিঠি লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী। চিঠিতে মমতার আবেদন, ‘‘দরিদ্র ও প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষরা হাসপাতালে আসেন। তাঁদের চিকিৎসা করলে সম্মানিত বোধ করব’’। প্রসঙ্গত, এদিন দুপুর ২টোর মধ্যে ডাক্তাররা কর্মবিরতি প্রত্যাহার না করলে এসেনশিয়াল সার্ভিস মেনটেন্যান্স অ্যাক্টে (এসমা) ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ডাক্তারদের কর্মবিরতিতে চূড়ান্ত ক্ষুব্ধ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বেলা বারোটা নাগাদ এসএসকেএমে পৌঁছান। রাজ্যের একমাত্র সরকারি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পৌঁছে মমতা বলেন, রোগীরা চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। আগামী চার ঘণ্টার মধ্যে আন্দোলন প্রত্যাহার করে কাজে যোগ না দিলে পুলিশ দিয়ে হস্টেল ও হাসপাতাল চত্বর খালি করে দেওয়া হবে।
এদিন এনআরএসে নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায়। হাসপাতালের সামনে বহিরাগতরা এসে হামলা চালানোর চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। নকল রোগী সাজিয়ে হাসপাতালের গেটে আনা হয় বলে অভিযোগ। বহিরাগতদের ছোড়া ইটের ঘায়ে জখম হয়েছেন ডা. শোভন। ঘটনাস্থলে মোতায়েন পুলিশের বিশাল বাহিনী।
মুখ্যমন্ত্রীর চরম হুঁশিয়ারির প্রতিবাদে ইস্তফা দিয়েছেন সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ৮ চিকিৎসক। জানা যাচ্ছে, এঁদের মধ্যে তিন চিকিৎসক মেডিসিন বিভাগের। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চিকিৎসক-শিক্ষক জানান, প্রাথমিকভাবে তাঁরা ইস্তফা দিলেও, ইস্তফা গ্রহণের প্রক্রিয়া এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। এনআরএসকাণ্ডে পাঁচজনকে গ্রেফতার করার পরেও কেন ডাক্তাররা এমন অনড় অবস্থান নিয়েছেন, তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী।
Live Blog
এনআরএসকাণ্ডে উত্তাল কলকাতা। জুনিয়র ডাক্তারদের কড়া ‘ধমক’ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এ সংক্রান্ত সব খবরের আপডেট রইল এখানে, Follow the Updates here:
এনআরএসকাণ্ডে নবান্নে জরুরি বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে রয়েছেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, মুখ্যসচিব, স্বাস্থ্যসচিব। রাজ্যজুড়ে হাসপাতালে অচলাবস্থা নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বসেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সূত্র মারফৎ এমনটাই জানা গিয়েছে।
এনআরএসে নতুন করে উত্তেজনা। হাসপাতালের সামনে বহিরাগতরা এসে হামলা চালানোর চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। নকল রোগী সাজিয়ে হাসপাতালের গেটে আনা হয় বলে অভিযোগ। বহিরাগতদের ছোড়া ইটের ঘায়ে জখম হয়েছেন ডা. শোভন। ঘটনাস্থলে মোতায়েন পুলিশের বিশাল বাহিনী।
ফের উত্তপ্ত এনআরএস#NRSMCH #NRSMedicalCollege #NRSHospital #MamataBanerjee #MamataFrustrated #WestBengal #Kolkata #kolkataviolence pic.twitter.com/PZvpQ4yZ4m
— IE Bangla (@ieBangla) June 13, 2019
এনআরএসকাণ্ডে সুর নরম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এবার সিনিয়র ডাক্তারদের উদ্দেশে খোলা চিঠি লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী। চিঠিতে মমতার আবেদন, ‘‘দরিদ্র ও প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষরা হাসপাতালে আসেন। রোগীদের চিকিৎসা করলে সম্মানিত বোধ করব’’।
কী বললেন এনআরএস-এর ডাক্তার??#NRSMCH #NRSMedicalCollege #NRSHospital #MamataFrustrated #MamataBanerjee #kolkataviolence #Kolkata #Unrest pic.twitter.com/Y15sUL2Pqj
— IE Bangla (@ieBangla) June 13, 2019
মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারির প্রতিবাদে ইস্তফা দিলেন ৮ জন চিকিৎসক। সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ৮ জন চিকিৎসক পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। বিস্তারিত এই প্রতিবেদনে মমতার ক্ষমতা প্রদর্শন: প্রতিবাদে ইস্তফা আট সরকারি ডাক্তারের
এনআরএসকাণ্ডে আন্দোলন জারি থাকবে, রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠকের পর জানালেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এ প্রসঙ্গে জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে জানানো হয়, ‘‘আমরা আগেও এ ধরনের অত্যাচার সহ্য করে কাজ করেছি। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে। দেওয়াল আর নেই। আমরা আশা করেছিলাম, প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নেবেন। প্রশাসনিক প্রধান ভেবেছিলাম ব্যবস্থা নেবেন। তিনি পাশে দাঁড়াবেন। সহমর্মিতা পাব ভেবেছিলাম। পরিবর্তে উনি যা বললেন, তাতে মনে হল আমরাই দোষী। অবিলম্বে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে হবে। এনআরএসে জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতার করতে হবে। যারা গ্রেফতার হয়েছে, তাদের নাম প্রকাশ করা হয়নি। রাজ্যপালকে আমাদের সব দাবি জানালাম। আজ ৪ দলের সঙ্গে বৈঠক ডেকেছেন রাজ্যপাল। আশা করছি এ নিয়ে কোনও সমাধান বেরোবে’’।
মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত: মুকুল রায়#BJP #WestBengal #mukulroy pic.twitter.com/XNpffEm9Le
— IE Bangla (@ieBangla) June 13, 2019
মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারিতে সরব বিজেপি। এ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু বলেন, ‘‘হিটলারি শাসনব্যবস্থার নতুন রূপ দেখছি। মুখ্যমন্ত্রীর ঠিক ব্যবহার করা উচিত ছিল। ওঁর বোঝা দরকার, এভাবে শাসন চালানো যায় না। আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা উচিত। এভাবে চলতে পারে না’’।
এনআরএসকাণ্ডে আশ্বাসের পরিবর্তে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার রাজ্যপালের দ্বারস্থ হলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। রাজভবনে গিয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকদের প্রতিনিধিরা। এই মুহূর্তে বৈঠক চলছে রাজভবনে। উল্লেখ্য, আজই বাংলায় অশান্তির ঘটনায় ৪ রাজনৈতিক দলকে বৈঠকে ডেকেছেন রাজ্যপাল। তৃণমূল, বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিএমের প্রতিনিধিরা বৈঠকে থাকবেন।
এনআরএসকাণ্ডে ক্রমশ বাড়ছে ক্ষোভ। মুখ্যমন্ত্রীর চরম হুঁশিয়ারির প্রতিবাদে এবার ইস্তফা দিলেন সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের তিন চিকিৎসক। জানা যাচ্ছে, ইস্তফা দেওয়া এই তিন চিকিৎসকই মেডিসিন বিভাগের। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চিকিৎসক-শিক্ষক জানান, প্রাথমিকভাবে তাঁরা ইস্তফা দিলেও, ইস্তফা গ্রহণের প্রক্রিয়া এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। আরেকটি সূত্রের খবর, অন্যান্য বিভাগ থেকেও ইস্তফা দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
এনআরএসকাণ্ডে আন্দোলনরত ডাক্তারদের চরম হুঁশিয়ারি মমতার#NRSMCH #NRSMedicalCollege #NRSHospital #MamataBanerjee #MamataFrustrated #WestBengal #Kolkata #kolkataviolence pic.twitter.com/IRhk1d45bQ
— IE Bangla (@ieBangla) June 13, 2019
‘‘উনি কথায় কথায় বহিরাগতদের কথা বলেন। বহিরাগতরা কী মঙ্গলগ্রহ থেকে আসে? সিসিটিভি ফুটেজ আছে। মেধায় ওরা এই কাজে এসেছেন। ২৫ লক্ষ টাকা কি উনি ওঁর পকেট থেকে দেন? জনগণের টাকা। উনি ভারতবর্ষ সামলাচ্ছেন, আন্তর্জাতিক রাজনীতি সামলাচ্ছেন, ওঁর এখন অনেক কাজ। বাংলার মানুষের মঙ্গলের জন্য ওঁর পদত্যাগ করা উচিত’’। প্রসঙ্গত, এদিন এসএসকেএমে বিক্ষোভরত জুনিয়র ডাক্তারদের উদ্দেশে মমতা বলেন, আন্দোলনে বহিরাগতরা রয়েছে। পাশাপাশি তিনি বলেন ডাক্তারি পড়ার ২৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়।
"আমরা ভয় পাচ্ছি না। আমরা বহিরাগত নই। আমাদের একটাই পরিচয় আমরা ডাক্তার’’, মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারির পর বার্তা এনআরএসের জুনিয়র ডাক্তার দের। এখনও এনআরএসে জারি অচলাবস্থা। উল্লেখ্য, ডাক্তারদের বিক্ষোভে অনেক বহিরাগত এসেছে বলে এদিন দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি নিয়ে সরব ওয়েস্টবেঙ্গল ডক্টরস ফোরামের এক্সিকিউটিভ কমিটির সদস্য পুণ্যব্রত গুণ। তিনি জানিয়েছেন, ‘‘এসএসকেএম হাসপাতালে গিয়ে পেশেন্ট পার্টিকে খেপিয়ে তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সারা রাজ্যের যেসব জায়গায় গত কয়েকদিন ধরে হাসপাতালে হামলার ঘটনা ঘটছে, তার নেতৃত্বে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের ক্যাডাররা দলবদ্ধভাবে গিয়ে হাসপাতালে ঝামেলা পাকাচ্ছে, হামলা করছে। এনআরএস হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি ছিল, রাজ্যের মুখ্য়মন্ত্রী, যিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও বটে, তাঁকে এসে নিরাপত্তার এবং দোষীদের শাস্তিদানের প্রতিশ্রুতি দিতে হবে। কিন্তু তিনি এনআরএসে এলেন না, গেলেন পিজি হাসপাতালে। তৃণমূল কংগ্রেসের চিকিৎসক সংগঠন এই আন্দোলনের পাশে রয়েছে, তারা সমর্থন জানিয়েছে, আন্দোলন চালিয়ে যেতে বলেছে। এই পরিস্থিতিতে যদি জুনিয়র ডাক্তারদের উপর কোনও দমনমূলক পদক্ষেপ করা হয়, তাহলে সমস্ত চিকিৎসকরা বৃহত্তর আন্দোলনের পথে যাবে’’।
মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারিতেও কাজ হল না। দুপুর ২টোর পরও এনআরএসে অচলাবস্থা অব্যাহত। নীলরতন সরকার হাসাপাতালের জুনিয়র ডাক্তারদের বক্তব্য, ‘‘উনি (মুখ্যমন্ত্রী) এসএসকেএমে যেতে পারেন, কিন্তু এনআরএসে আসতে ভয় পাচ্ছেন। আমরা এই সময়সীমা মানব না’’।
এসএসকেমে চালু হল এমার্জেন্সি বিভাগ। এমার্জেন্সি বিভাগে ঢুকলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমার্জেন্সি পরিষেবা চালু করার পরই হাসপাতাল ছাড়েন মমতা। রয়েছেন কলকাতা পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা। প্রায় ২ ঘণ্টা এসএসকেএম হাসপাতালে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। দুপুর ২টোয় পরিষেবা চালুর নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া বার্তা, "আমরা পদক্ষেপ করেছি। এরপরেও কাজ শুরু করছেন না। আপনারা কী ভেবেছেন? আজকের মধ্যে কাজ শুরু করতে হবে। যাঁরা আজ কাজ শুরু করবেন, তাঁরা থাকবেন, নইলে বাকিদের প্রোফাইল খতিয়ে দেখব। আগামী চার ঘন্টার মধ্যে কাজে যোগ দিতে হবে। হস্টেল ও হাসপাতাল চত্বর খালি করে দেব। ডেকে নিয়ে আসুন আপনাদের কত নেতা আছে। এরা জুনিয়র ডাক্তার নয়, এরা বহিরাগত। আন্দোলন আমাকে শেখাবেন না, আমিও আন্দোলন থেকে উঠে এসেছি’’।
এনআরএসকাণ্ডে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘এ সরকারের আমলে ডাক্তাররাও সুরক্ষিত নন…বাইরে থেকে লোক আনা হচ্ছে। বিজেপির মিছিল আটকাতে তৎপর হয় পুলিশ, অথচ যখন ডাক্তাররা মার খাচ্ছিলেন এনআরএসে, কোথায় ছিল পুলিশ? একটা সম্প্রদায়ের কয়েকজন সমাজবিরোধী পুলিশি নিরাপত্তায় এসব করছেন’’। কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী বলেন, ‘‘বিক্ষোভরত ডাক্তারদের সঙ্গে অবিলম্বে কথা বলে সমাধান করা উচিত মুখ্যমন্ত্রীর। ডাক্তারদের নিরাপত্তা একটা গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। পাশাপাশি সাধারণ মানুষের চিকিৎসাও খুব জরুরি’’।
এই রাজ্যে ডাক্তারি পাঠক্রমে সুযোগ পাওয়ার জন্য বর্তমানে 'ডমিসাইল বি' নীতি চালু হয়েছে। এই নীতিতে বাইরের রাজ্যের ছাত্রছাত্রীরা এ রাজ্যে চিকিৎসা বিজ্ঞানের পাঠক্রমে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পায়। বৃহস্পতিবার এসএসকেএম-এ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এমন অনেক ডাক্তার তৈরি হচ্ছে যাঁরা বাংলা ভাষা বোঝেন না এবং বাংলায় লিখতে পড়তে পারেন না। তিনি বলেন, লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে এ ধরনের চিকিৎসক তৈরি করে লাভ নেই। এই প্রসঙ্গেই তিনি জানান, এ ক্ষেত্রে 'ডমিসাইল বি' নীতি তুলে দিয়ে 'ডমিসাইল এ' নীতি চালু করা হবে। এর ফলে, কেবলমাত্র এ রাজ্যের ছাত্রছাত্রীরাই ডাক্তারি পড়ার সুযোগ পাবেন।
এই রাজ্যে ডাক্তারি পাঠক্রমে সুযোগ পাওয়ার জন্য বর্তমানে 'ডমিসাইল বি' নীতি চালু হয়েছে। এই নীতিতে বাইরের রাজ্যের ছাত্রছাত্রীরা এ রাজ্যে চিকিৎসা বিজ্ঞানের পাঠক্রমে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পায়। বৃহস্পতিবার এসএসকেএম-এ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এমন অনেক ডাক্তার তৈরি হচ্ছে যাঁরা বাংলা ভাষা বোঝেন না এবং বাংলায় লিখতে পড়তে পারেন না। তিনি বলেন, লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে এ ধরনের চিকিৎসক তৈরি করে লাভ নেই। এই প্রসঙ্গেই তিনি জানান, এ ক্ষেত্রে 'ডমিসাইল বি' নীতি তুলে দিয়ে 'ডমিসাইল এ' নীতি চালু করা হবে। এর ফলে, কেবলমাত্র এ রাজ্যের ছাত্রছাত্রীরাই ডাক্তারি পড়ার সুযোগ পাবেন।
তাঁকে ঘিরেই মূলত আবর্তিত হয়েছে বৃহস্পতিবারের চিকিৎসক আন্দোলন এবং বিক্ষোভ। এনআরএসকাণ্ডে প্রতিবাদী ডাক্তাররা প্রথম থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপ দাবি করেছিলেন। বুধবার স্বাস্থ্য দফতরের বিবৃতির মাধ্যমে ডাক্তারদের কাজ শুরু করার আবেদন জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে, সেই আবেদনে কাজ না হওয়ায় বৃহস্পতিবার ময়দানে নামেন কড়া প্রশাসক মমতা। এদিন এসএসকেএম হাসপাতালে তিনি সরাসরি জানান, চার ঘণ্টার মধ্যে কর্মবিরতি প্রত্যাহার না করলে এমারজেন্সি সার্ভিস মেনটেন্যান্স অ্যাক্ট জারি করে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এরপর মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর এমন মেজাজের সমালোচনা করেছে বিভিন্ন মহল। তবে দিনের শেষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ডাক্তারদের ফের কর্মবিরতি প্রত্যাহারের আবেদনই জানালেন ফেসবুক পোস্টে।
একদিকে মুখ্যমন্ত্রীকে ঘিরে ধরে হবু ডাক্তারদের ‘শেম, শেম’ চিৎকার। অন্যদিকে একাধিক কাউন্সিলরের নেতৃত্বে কয়েকশো তৃণমূলকর্মীর হাসপাতাল চত্বরে ঢুকে পড়া, জুনিয়র ডাক্তারদের ‘দেখে নেওয়ার’ হুমকি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঝটিকা সফরকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবারের এসএসকেএম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল যেন কার্যত রণক্ষেত্রে পরিণত হল। এদিন সকাল থেকেই এসএসকেএম-এর এমারজেন্সির সামনে ভিড় করেছিলেন কয়েকশো জুনিয়র জাক্তার। এনআরএস হাসপাতাল কাণ্ডের প্রেক্ষিতে প্রতিটি সরকারি হাসপাতালে ইন্টার্ন ও চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিতে স্লোগান দিচ্ছিলেন তাঁরা। বিক্ষোভরত পড়ুয়াদের ঘিরে ব্যারিকেড তৈরি করেছিল পুলিশ। দুপুর ১২টা নাগাদ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং বিধায়ক নির্মল মাজিকে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হাসপাতালে ঢোকার পর উত্তেজনা চরমে ওঠে। বিস্তারিত এই প্রতিবেদনে এসএসকেএমে মমতাকে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ, পাল্টা দিলেন তৃণমূল কর্মীরাও
এনআরএসকাণ্ডের আঁচ পড়ল দেশে। শুক্রবার একদিনের কর্মবিরতির ডাক দিল এআইএমএস। একইসঙ্গে এই অচলাবস্থা কাটানোর জন্য বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপের আর্জি জানানো হয়েছে তাঁদের তরফে।
এনআরএসকাণ্ডে তৃণমূল নেতৃত্বের ‘নীরবতা’ দেখে ‘লজ্জিত’ কলকাতার মহানাগরিক কন্যা শাব্বা হাকিম। নীলরতন সরকার হাসপাতালে জুনিয়র ডাক্তার নিগ্রহকাণ্ডে সরব হয়েছেন পেশায় ডাক্তার শাব্বা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ তথা রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের কন্যার এমন মন্তব্যে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। ফেসবুক পোস্টে ডাঃ শাব্বা হাকিম লেখেন, ‘‘এ রাজ্যের সরকারি ও অধিকাংশ বেসরকারি হাসপাতালে আউটডোর বয়কট করেছেন ডাক্তাররা। কিন্তু জরুরি বিভাগে আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। মানবিকতার খাতিরেই আমরা অন্য পেশার মতো কাজ বন্ধ করতে পারি না। যাঁরা বলছেন, ‘অন্য রোগীদের কী দোষ?’ তাঁরা দয়া করে সরকারকে জিজ্ঞেস করুন, সরকারি হাসপাতালে পুলিশ মোতায়েন থাকলেও তাঁরা কেন ডাক্তারদের নিরাপত্তা দিতে পারলেন না? দয়া করে জিজ্ঞেস করুন, যখন ২টি ট্রাকে করে গুন্ডারা এল, কেন সঙ্গে সঙ্গে বাড়তি ব্যবস্থা নেওয়া হল না? কেন হাসপাতাল চত্বরে এখনও গুন্ডারা ঘুরে বেড়াচ্ছে? বিস্তারিত এই প্রতিবেদনে এনআরএসকাণ্ডে তৃণমূলের জন্য ‘লজ্জিত’ ববি কন্যা
নীলরতন সরকার হাসপাতালে জীবন বাঁচানোর আর্তি নিয়ে মায়ের কোলে শুয়ে আট মাসের ছোট্ট শাহিদ শেখ। এনআরএসে জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির জেরে চিকিৎসার নূন্যতম সুযোগটুকুও পায়নি সে। চিকিৎসকদের আন্দোলনের জেরে এই মুহূর্তে এনআরএস চত্বরে চিকিৎসাহীন ভাবে শুয়ে আছে শাহিদ। এই শিশুর শারীরিক অবস্থা এতটাই খারাপ যে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কান্নার শক্তিটুকুও হারিয়েছে সে। গত তিনদিন ধরে শাহিদকে কোলে নিয়ে শহরের সমস্ত সরকারি হাসপাতালে ঘুরে বেড়িয়েছে তার মা-বাবা। কিন্তু আট মাসের শিশুটির চিকিৎসা করতে অস্বীকার করেছে কলকাতার সব সরকারি হাসপাতাল। এদিকে শাহিদের শারীরিক অবস্থা ক্রমশ খারাপ হচ্ছে। শিশুটির দিকে তাকালেই দেখা যাচ্ছে, পেটের ডান দিকটা ফুলে উঠেছে। আর সেই ব্যথাতেই কাতর আট মাসের শিশুটি। কিন্তু, শিশুর কান্না চাপা পড়ে গিয়েছে আন্দোলনের আওয়াজে। বিস্তারিত এই প্রতিবেদনে, ‘কখন উঠবে অবরোধ? আর বেশি দেরি হলে বাঁচবে না আমার ছেলেটা’/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/06/NRS-patient-759-1.jpg)