Junior Doctors Protest: কলকাতায় আজ জোড়া কার্নিভ্যাল। একদিকে রেড রোডে দুর্গাপুজোর কার্নিভ্যাল, অন্যদিকে রানি রাসমণি রোডে ডাক্তারদের ডাকে দ্রোহের কার্নিভ্যাল। ধর্মতলায় মানববন্ধন জুনিয়র চিকিৎসকদের। এই প্রেক্ষিতে সোমবার রাতে লালবাজারের তরফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জারি করা হল ১৬৩ ধারা। যার জেরে রাজ্য সরকার এবং চিকিৎসকদের সংঘাত আরও জোরাল হল।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রেড রোডে দুর্গাপুজোর কার্নিভ্যাল হবে রাজ্য সরকারের তরফে। সেদিনই রানি রাসমণি রোডে দ্রোহের কার্নিভ্যালের ডাক দিয়েছে সিনিয়র চিকিৎসকদের ৮টি সংগঠনের যৌথ মঞ্চ জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টর্স।
কোথায় কোথায় জারি নিষেধাজ্ঞা?
লালবাজার জানিয়েছে, রানি রাসমণি রোড সংলগ্ন একাধিক রাস্তায়, ধর্মতলা মোড় থেকে একদিকে ডোরিনা ক্রসিং এবং অন্যদিকে লেনিন সরণির সংযোগস্থল-সহ একাধিক রাস্তায় জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ৫ জনের বেশি কোথাও জমায়েত করা যাবে না।
আরও পড়ুন ২৮ হাজার আমন্ত্রণ পত্র! গতবারকেও ছাপিয়ে যাবে আয়োজন, কত পুজো অংশ নেবে এবারের কার্নিভ্যালে?
এদিকে, সোমবার আরজি কর ইস্যুতে মুখ্যসচিবের সঙ্গে চিকিৎসকদের তিন ঘণ্টা বৈঠকে কোনও সমাধানসূত্র মিলল না। সোমবার স্বাস্থ্য ভবনে উভয়পক্ষের বৈঠক হয়। বৈঠকে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ)-সহ ১২টি সংগঠনের দু'জন করে প্রতিনিধি যোগ দিয়েছিলেন। পৌনে একটা নাগাদ শুরু হওয়া এই বৈঠকে রাজ্য সরকারের তরফে ছিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ ও স্বরাষ্ট্র সচিব নন্দিনী চক্রবর্তী। তবে, ছিলেন না স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম।
বৈঠক শেষে মুখ্যসচিব এবং অংশগ্রহণকারী চিকিৎসকদের মুখ থেকে শোনা গেল উলটো সুর। মুখ্যসচিব যখন বললেন, 'সরকার ১০টির মধ্যে সাতটি দাবিই মেনে নিয়েছে। সদিচ্ছার প্রমাণ দিয়েছে।' সেই সময় অংশগ্রহণকারী চিকিৎসকরা প্রশ্ন তুললেন, 'কী ভাবে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফেরানো সম্ভব?'
ডাক্তারদের দাবি নিয়ে কী বললেন মুখ্যসচিব?
বৈঠক শেষে মুখ্যসচিব বলেন, 'সরকার ১০টির মধ্যে সাতটি দাবিই মেনে নিয়েছে। সদিচ্ছার প্রমাণ দিয়েছে। তিনটি বিষয়ে সরকারের কাছে সময়সীমা চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু, এই ব্যাপারে কোনও নির্দিষ্ট সময়সীমা দেওয়া সম্ভব নয়, এগুলো প্রশাসনিক ব্যাপার।'
আর, বৈঠকে উপস্থিত চিকিৎসক সংগঠনের প্রতিনিধিরা বলেন, 'থ্রেট কালচারে অভিযুক্তরা বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছে। স্বাস্থ্য প্রশাসনের বিভিন্ন পদে দুর্নীতিগ্রস্তরা বসে আছে। পুলিশ কী যে করছে, তা কেউ জানে না। এরপরও কী করে স্বাভাবিক স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফেরানো সম্ভব? আমরা উলটে মুখ্যসচিব এবং স্বরাষ্ট্র সচিবকেই দ্রোহের কার্নিভালে যোগ দিতে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। ওঁরা আমাদের আমন্ত্রণপত্র নিয়েছেন। আমরা, ওঁদের যোগ দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করে থাকব।'