গায়ের রং ধবধবে সাদা, মাঝে মাঝে নীল রঙের ছটা। যে রঙে বড় বড় করে লেখা ‘পুলিশ’। ঝাঁ চকচকে এই দু’চাকা দেখে মনে হবে, চাইলে হাল আমলের এই স্মার্ট বাইক উড়তেও পারে। হ্যাঁ, এমন বাইকই এবার লালবাজারের ঘরে এল। পাঁচটি অত্যাধুনিক সুজুকি জিক্সার এসএফ বাইক হাতে পেল কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশ, যার এক একটির দাম কাছাকাছি এক লক্ষ টাকা, যদিও ট্র্যাফিক পুলিশের এক পদস্থ কর্তা বলেন, সুজুকি সংস্থা এগুলি কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে তাদের কর্পোরেট সামাজিক দায়িত্ব হিসেবে।
টহলদারি-সহ বিভিন্ন কাজে, যেমন স্বাধীনতা দিবস বা প্রজাতন্ত্র দিবসের মতো কোনও বিশেষ দিনের উদযাপনে, এই নতুন অতিথিদের দেখা যাবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। নতুন বাইক প্রসঙ্গে যুগ্ম নগরপাল (ট্র্যাফিক) মিতেশ জৈন ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে বলেন, "নতুন পাঁচটি বাইক আনা হয়েছে। সবগুলিই সুজুকির। টহলদারিসহ বিভিন্ন কাজে লাগানো হবে।" শহরে ইভটিজিং রুখতে কলকাতা পুলিশের মহিলা দল 'উইনার্স' শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে বেড়ান দু’চাকাতেই। শুধু তাঁরাই নন, টহলদারির কাজে কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশ ও কলকাতা পুলিশও দু’চাকার বাহন ব্যবহার করে। নতুন অত্যাধুনিক পাঁচটি বাইক পেয়ে পুলিশের টহলদারির কাজ আগামী দিনে আরও মসৃণ হতে চলেছে, সেই আশা করাই যায়।
আরও পড়ুন, কলকাতা পুলিশের ট্রেনিং স্কুলের ঠিকানা বদল
গত বছর ঘরে এসেছিল পাঁচটি হারলে-ডেভিডসন বাইক। ফাইল ছবি: পার্থ পাল
এই বাইকগুলি কেমন? বাইক বিশেষজ্ঞদের মতে, গতি বাড়ানোর জন্য রয়েছে ১৫৫ সিসি সেগমেন্ট। ডাবল ডিস্ক ও এবিএস রয়েছে, ব্রেকিং সিস্টেম ভাল, সহজে পিছলে যাবে না। দু’রকম ইঞ্জিনের স্পেসিফিকেশন রয়েছে, একটা হল ফুয়েল ইঞ্জেকশন, আরেকটি হল কারবিউরেটর। আরোহীর সুরক্ষার কথা ভেবে হেডলাইট থেকে পাদানি পর্যন্ত পুরু কোটিং রয়েছে। এই বাইকে রয়েছে বিভিন্ন প্রকারের স্মার্ট ডিজিটাল প্রযুক্তি সম্বলিত যন্ত্রপাতি। আজকের প্রজন্মের পছন্দের বাইকগুলির তালিকায় অবশ্যই রয়েছে এই বাইক।
প্রসঙ্গত, গত বছর স্বাধীনতা দিবসে উন্মোচিত হয় কলকাতা পুলিশের পাঁচটি নতুন হারলে-ডেভিডসন ৭৫০ সিসি বাইক। এখন পর্যন্ত বিশেষ অনুষ্ঠান ছাড়া সেগুলিকে রাস্তায় দেখা যায় নি। এবছরের অতিথিরা রাজকীয় হারলে-ডেভিডসন না হলেও, নবাবী বলাই যায়!