এনআরএস-এর কুকুরছানাদের নৃশংসভাবে হত্যা করার ঘটনায় অবশেষে পুলিশের জালে অভিযুক্তরা। কুকুর নিধনে এনআরএসের দুই নার্সিং ছাত্রীকে গ্রেফতার করল এন্টালি থানার পুলিশ। ধৃতরা হলেন প্রথম বর্ষের নার্সিং ছাত্রী সোমা বর্মণ (২১) এবং দ্বিতীয় বর্ষের নার্সিং ছাত্রী মৌটুসি মণ্ডল (২১)। ওই দুই ছাত্রীকে প্রথমে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের পরই দুই মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে। আগামীকাল, বুধবার, তাঁদের শিয়ালদা কোর্টে হাজির করা হবে বলে খবর।
গত রবিবার নীলরতন সরকার হাসপাতাল চত্বর থেকে ১৬ টি কুকুরছানার বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধার করা হয়। বস্তা খুলতেই দেখা যায়, কোনও কুকুর ছানার মাথা থেঁতলে দেওয়া হয়েছে, কারও দু’পা মাথার কাছে কুঁকড়ে গিয়েছে বেধড়ক মারের ফলে। এই কুকুরছানাগুলির মধ্যে একটিকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। যদিও তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে। ওই কুকুরছানার দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। এ ঘটনা সামনে আসার পরই নিন্দায় সরব হন শহরবাসী। কুকুরছানাদের নৃশংসভাবে হত্যা করার অভিযোগ তুলে সরব হন পশুপ্রেমিরাও।
এন্টালি থানার সামনে কংগ্রেসের বিক্ষোভ। ছবি: পার্থ পাল, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
আরও পড়ুন, Kolkata: ভাইরাল হলো কলকাতায় কুকুরছানা খুনের নৃশংস এই দৃশ্য
অন্যদিকে, এনআরএসে দুই মহিলার হাতে একটি কুকুরছানাকে পিটিয়ে মারার অমানবিক দৃশ্য ভাইরাল হয়েছে নেট দুনিয়ায়। হাসপাতালের মহিলা হস্টেলের একাংশের পিছন দিক থেকে ভিডিওটি তোলা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এ ঘটনায় হাসপাতালের নার্সিং পড়ুয়াদের দিকে প্রথমে অভিযোগের আঙুল উঠেছিল। যদিও আইনজীবী সপ্তদীপা সিনহা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে বলেন, "নার্সিং পড়ুয়ারা এ ঘটনায় জড়িত নন। ওঁরা এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে সরব হয়েছেন। দুই নার্সিং কর্মীকেই গ্রেফতার করা হয়েছে।"
বিষ খাইয়েই কুকুরছানাদের হত্যা করা হয় বলে খবর রটে। যদিও পরে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে মেলে যে, তাদের পিটিয়ে মারা হয়েছে। এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীর অভিযোগের ভিত্তিতে এন্টালি থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়। এদিন এন্টালি থানার সামনে এ ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে কংগ্রেস। কিন্তু রাজনৈতিক দলের পতাকা নিয়ে বিক্ষোভে শামিল হওয়ায় তার বিরোধিতা করেন পশুপ্রেমিরা। এ নিয়ে থানা চত্বরে সাময়িক বচসা হয় বলে খবর। সোমবারও থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান পশুপ্রেমিদের একাংশ।