kolkata suicide bomb threat: অপারেশন সিন্দুরে ভারতীয় সেনার শৌর্য পরাক্রম দেখে স্তম্ভিত হয়েছে তামাম বিশ্ব। ভয়ে পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে পাকিস্তান। এর পরেও 'বাংলাদেশ আছে বাংলাদেশেই'। পদ্মাপাড়ে হিন্দু বিদ্বেষ ও ভারত বিরোধী উস্কানি যে অব্যাহত তারই এক সাম্প্রতিকতম নির্দশন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। যেখানে এবার সরাসরি কলকাতায় আত্মঘাতী বোমা হামলার উল্লেখ রয়েছে। ভিডিও সামনে আসতেই চরম অস্বস্তিতে ইউনূস সরকার।
“আল কায়েদা ও তালিবান কৌশলে আত্মঘাতী বোমা হামলা চালিয়ে কলকাতা দখলের পরিকল্পনা”— এমন ভয়াবহ হুমকি দিতে দেখা গিয়েছে বাংলাদেশের এক মৌলবাদী নেতাকে। সেই ভিডিও এখন সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে সামনে এসেছে। ‘Voice of Bangladeshi Hindus’ এক্স হ্যান্ডেল থেকে প্রকাশিত ভিডিওতে আত্মঘাতী হামলার মাধ্যমে কলকাতা দখলের হুঁশিয়ারি দেন মৌলবাদী ওই নেতা । ভিডিওটি ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।
“বাংলাদেশ সেনা বললেই কলকাতা দখলের প্ল্যান তৈরি”
ওই কট্টরপন্থী মৌলবাদী নেতাকে ভিডিওতে বলতে শোনা যায়—“বাংলাদেশ সেনাবাহিনী যদি বলে, এখনই কলকাতা দখল করো, আমি প্রস্তুত। সাতটি বিমানও লাগবে না। ৭০টি যুদ্ধজাহাজের দরকার নেই। আমি জানি ওখানে কে থাকে, কী খায়, ওরা রক্ত দেখলে ভয় পায়। আমি আত্মঘাতী জঙ্গিদের পাঠিয়ে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে সব উড়িয়ে দেব।”
তালিবানি কৌশলের প্রশংসা, “আগে মরো, তারপর মারো”
তিনি আরও বলেন—তালিবানি কৌশল হল "আগে নিজে মরো, তারপর মারো"। তালিবানরা বাইকে বোমা বেঁধে সেনা ক্যাম্পে ঢুকত। তাদের উপর গুলি চালালে বাইক নিয়ে সরাসরি ক্যাম্পে ধাক্কা মেরে বিস্ফোরণ ঘটাত। এর ফলে শ'য়ে শ'য়ে সেনার সেনার মৃত্যু হয়েছে। আমিও তেমন পরিকল্পনা করেছি।” এমনকি দাবি করেন, এই কৌশলেই আমেরিকা ও রাশিয়ার মতো শক্তিধর দেশগুলো আফগানিস্তানে পরাজিত হয়েছে।
হিন্দুধর্মের প্রতি ঘৃণা ও সাম্প্রদায়িক উস্কানি
ভিডিওতে হিন্দুধর্ম নিয়ে অবমাননাকর বক্তব্য দিতে শোনা গিয়েছে ওই মৌলবাদীকে। আপত্তিকর শব্দ ব্যবহার করে হিন্দুদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক বার্তা ছড়িয়ে দিতেও দেখা গিয়েছে তাকে।
হাসিনা সরকার পতনের পর বাড়ছে হিন্দু বিদ্বেষ
বাংলাদেশে হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে লাগাতার চলছে হিন্দু বিদ্বেষ। এর আগেও একাধিক মৌলবাদী সংগঠন কলকাতা দখলের হুঁশিয়ারি দিয়েছিল। এবার ফের এক মৌলবাদী নেতার মুখে উঠে এলো সেই ভয়ঙ্কর বার্তা। পাহেলগাঁও হামলার পর ভারত-পাকিস্তান অশান্তির আবহে এই ভিডিও নতুন করে উদ্বেগ বাড়িয়েছে।