Konnagar Municipality: এ কোন নগর? কোন্নগর পুর এলাকার বাসিন্দারদের কাছে এখন এটাই বড় চিন্তার বিষয়। কত কী'ই না হচ্ছে আজকাল! যদিও এখানকার পুরপ্রধান খুবই সক্রিয়। মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় হানা দিয়ে অসাধু কার্যকলাপ রুখে দিচ্ছেন পুরপ্রধান স্বপন দাস। শহরে বাড়ি বাড়ি জল পৌঁছানোর জন্য একাধিক পরিকল্পনা নিয়েছিল কোন্নগর পুরসভা। কিন্তু তারপরেও পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পাওয়া যাচ্ছেনা এটা কানে যেতেই শনিবার আচমকা অভিযান চালান চেয়ারম্যান। আর সেই অভিযানে গিয়েই চোখ কপালে ওঠে তাঁর।
তিনি দেখেন অনেকেই, বাড়িতে অবৈধভাবে বোরিং করে মাটির তলা থেকে জল তুলে নিচ্ছেন। তারপর সেই জল নামী কোম্পানির বোতলে ভরে বাড়ি বাড়ি বিক্রি করছেন। এ ব্যাপারে কোনও বৈধ কাগজপত্রই নেই তাঁদের কাছে। আবার অনেকেই পুরসভার সরবরাহ করা জল বোতলে ভরে বিক্রি করছেন বাড়ি বাড়ি। তাদেরও কোনও ট্রেড লাইসেন্স নেই।
পুরপ্রধান বলেন, "এদের কাউকে ছাড়া হবে না। জল নিয়ে ব্যবসা হবে আর শহরবাসী জল পাবে না এটা চলতে পারে না। এক-একদিনে প্রায় কুড়ি থেকে ত্রিশ হাজার লিটার জল তুলে নিচ্ছে। বিশেষ প্রক্রিয়াকরণ ছাড়াই সেই জলকে বোতলে ভরে বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে কম দামে। সেই জল কতটা মানুষের শরীরের উপযোগী তা নিয়েও প্রশ্ন আছে।" ছাড়া হবে না কাউকেই। এদের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ হবে। জানান তিনি।
জল ব্যবসায়ী অরুণ মণ্ডলের কথায়, বছর চারেক আগে প্রায় চার লক্ষ টাকা খরচ করে তিনি এই জলের প্ল্যান্ট বসিয়েছিলেন বাড়িতে। মাটির নীচ থেকে জল উত্তোলন করে সেই জলকে বোতলে ভরে বাজারে পাঠানো হচ্ছিল। মাত্র ১০ টাকায় জল দেওয়া যাচ্ছিল। কম টাকায় জল দেওয়ার কারণে তার জলের চাহিদাও বেশি।
আরেক অবৈধ জলের কারবারি দিলীপ দাস আবার দাবি করেন, চাকরি-বাকরি নেই, তাই কোন্নগরের অনেকেই জলের কারবার করেন। তিনিও তাদের দেখেই এই জলের কারবার শুরু করেছেন। তাঁদের জল কোথায় টেস্ট হয় সে কথা জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, "শ্রীরামপুরে এক কেমিস্ট রয়েছেন। তিনি এই জল পরীক্ষা করে দেন।" সব দেখে শুনে চোখ কপালে পুরবাসীদের!
এর আগে গত অক্টোবরের ঘটনা। এলাকার বাসিন্দাদের ক্রমাগত পেট খারাপ হচ্ছিল। কারণ খুঁজতে পুরসভার স্বাস্থ্য কর্মী ও ভিজিলেন্সের টিম নিয়ে বিভিন্ন ফাস্টফুডের দোকানের হানা দিলে দেখা গিয়েছিল বিরিয়ানির দোকানে হলুদের বদলে বয়নশিল্পে ব্যবহৃত হলুদ রং বিরিয়ানি তে মেশানো হচ্ছিল। যা অত্যন্ত সস্তার পাশাপাশি মানবদেহের পক্ষে খুবই ক্ষতিকারক। পুরপ্রধান ওই বিক্রেতাকে পুরসভায় তলব করে জরিমানা করেন এবং তাকে সতর্ক করে তার দোকান বন্ধ করে দেন। সে যাত্রায় ওই দোকানি কোনরকমে ক্ষমা চেয়ে নিস্তার পায়।