জীবনহানির আশঙ্কা থেকে এবার বাড়িতে সশস্ত্র পাহারা এবং ব্যক্তিগত সশস্ত্র নিরাপত্তা বেষ্টনী চেয়ে আবেদন জানালেন কংগ্রেস মুখপাত্র কৌস্তভ বাগচি। রাজভবনের বিশেষ সচিব, রাজ্যের প্রধান বিচারপতি, স্বরাষ্ট্রসচিব, কলকাতা এবং ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনারকে লেখা ওই চিঠিতে কৌস্তভ জানিয়েছেন, তিনি কেন নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন। একইসঙ্গে তাঁর দাবি, দুর্নীতির বিরুদ্ধে তাঁর লড়াই ও সংবিধানের দেওয়া মৌলিক অধিকার রক্ষায় তাঁর সশস্ত্র নিরাপত্তা প্রয়োজন।
শুধু নিজেরই নয়, পরিবারের সুরক্ষায় বাড়ির সামনেও ২৪ ঘণ্টায় সশস্ত্র পুলিশি পাহারা চেয়েছেন কংগ্রেসের এই আইনজীবী নেতা। চিঠিতে কৌস্তভ জানিয়েছেন, তিনি এর আগে গোটা বিষয়টি জানিয়ে ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনারকে চিঠি দিয়েছিলেন। কিন্তু, সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে তাঁর বাড়ির পাহারায় মাত্র দু'জন লাঠিধারী পুলিশ পাঠানো হয়েছিল, যা যথেষ্ট নয়। তাই বাধ্য হয়ে তিনি প্রশাসনের সর্বস্তরে নিজের পরিস্থিতি জানিয়ে নিরাপত্তার আবেদন করতে বাধ্য হচ্ছেন।
চিঠিতে নিজেকে প্রদেশ কংগ্রেসের মুখপাত্র পরিচয় দিয়ে কৌস্তভ জানিয়েছেন তিনি ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের টিটাগড় থানা এলাকায় থাকেন। দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব এবং আপোষহীন ভাবে লড়াই করছেন। আর, তার জন্যই রাজ্যের শাসকদলের চক্ষুশূল। সেই কারণে তাঁকে মিথ্যে ফৌজদারি মামলায় গ্রেফতার করানো হয়েছে। অতিরিক্ত মুখ্য মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাসে পেশও করা হয়েছিল। সেখান থেকে তিনি এখন জামিনে মুক্ত।
আরও পড়ুন- কেষ্টর তিহাড়বাস সময়ের অপেক্ষা! দোলেই দিল্লিতে ‘বীরভূমের বাঘ’
কৌস্তভ চিঠিতে মদন মিত্র এবং ইদ্রিস আলির কথাও উল্লেখ করেছেন। জানিয়েছেন, তৃণমূলের এই দুই বিধায়ক তাঁকে চরম হুমকি দিয়েছেন। আর, তাঁর বিরুদ্ধে তৃণমূল কর্মীদের প্ররোচিত করেছেন। এটা তিনি বৈদ্যুতিন এবং বিভিন্ন সামাজিক গণমাধ্যম থেকে জানতে পেরেছেন। তাঁর সহকর্মীদের অনেকে একই ধরনের ঘটনায় ইতিমধ্যে পুলিশের বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের করেছে বলে তিনি জানতে পেরেছেন।
কংগ্রেসের এই আইনজীবী নেতার অভিযোগ, তাঁকে আটকানোর ডাক দিয়ে লেখা বেশ কিছু হোর্ডিং এবং প্ল্যাকার্ডও তিনি ইতিমধ্যে নিজের বাড়ির কাছে দেখতে পেয়েছেন। শুধু তাই না, তাঁর কাছে খবর আছে, শাসকদলের মদতে স্থানীয় দুষ্কৃতীরা তাঁর ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলার ছক কষছে। আর, সেই সব কারণেই তিনি অবিলম্বে সশস্ত্র পুলিশি নিরাপত্তা চাইছেন।