"শিলং-এ কলকাতার নগরপাল রাজীব কুমারের সঙ্গে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদে সহযোগিতা করেছি," মঙ্গলবার কলকাতা বিমানবন্দরে নেমেই সাংবাদিক সম্মেলন করে জানালেন কুণাল ঘোষ। এদিন রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে 'বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ' অভিযোগ করেছেন সাংবাদিক তথা তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ।
কুণাল এদিন বলেন, "আমি আজ সকালে সিবিআই-কে লিখিত অভিযোগ করেছি। প্রথম, ১০ ফেব্রুয়ারি (রবিবার) এবং এরপর ১১ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) আমাদের মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। রবিবার জিজ্ঞাসাবাদের সময় কয়েকজন পুলিশ অফিসারের নাম উঠে এসেছিল। কিন্তু এই তদন্তে তাঁরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী, তাই সে বিষয়ে মন্তব্য করব না। তবে সেদিন রাতেই সিবিআই দফতর থেকে বেরিয়ে রাজীব কুমার ওই অফিসারদের কারও কারও সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন।" এই বিষয়টিই কুণাল সিবিআই-কে লিখিতভাবে জানিয়েছেন বলে তাঁর দাবী। রাজীব কুমার এমন ফোন করে "তদন্তে প্রভাব খাটানোর" চেষ্টা করছেন এবং তাঁর এই ধরনের কাজের বিরুদ্ধে "কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে" বলেও দাবী করেছেন কুণাল ঘোষ।
আরও পড়ুন: সিবিআইয়ের ডাকে শিলং-এ গিয়ে গান গাইলেন কুণাল ঘোষ!
কুণাল ঘোষ আরও জানিয়েছেন, "১০ ফেব্রুয়ারি এই নামগুলো (জিজ্ঞাসাবাদের সময় উঠে আসা পুলিশ অফিসারদের নাম) আলোচিত হয়। এরপর উনি (রাজীব) ১১ তারিখ জিজ্ঞাসাবাদের সময় বলেও ফেলেন, আমি এঁদের রাতে ফোন করেছি।" এরপরই কুণাল বলেন, "রাজীব কুমার যা বলেছেন তার ভিডিও রেকর্ডিং করা রয়েছে। ফলে এ জন্য কল লিস্ট দেখার দরকার নেই।"
আলোচনায় কোন কোন অফিসারের নাম উঠে এসেছে?
কুণাল ঘোষ এদিন জানান, এই সব অফিসাররা বিশেষ তদন্তকারী দলের সদস্য ছিলেন। প্রসঙ্গত, চিট ফান্ড দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসার পরই রাজ্য সরকার এ বিষয়ে তদন্তের জন্য বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করে। সেই সিটের শীর্ষ দায়িত্বে ছিলেন বিধাননগর কমিশনারেটের তৎকালীন কমিশনার তথা বর্তমানে কলকাতার নগরপাল রাজীব কুমার। সিবিআই-এর অভিযোগ, সিটের প্রধান হিসাবে চিট ফান্ড কাণ্ডের গুরুত্বপূর্ণ নথি নষ্ট ও লোপাট করেছেন রাজীব কুমার।
আরও পড়ুন: রাজীব কাণ্ডে কলকাতা পুলিশের অন্দরে ঘুরছে বিশেষ হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ! কী লেখা তাতে?
কুণাল ঘোষের প্রধান অভিযোগ, রাজীব কুমার এভাবে অফিসারদের ফোন করে আসলে তদন্তে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করছেন। অতীতেও এমন প্রচেষ্টা বহুবার হয়েছে বলেও জানিয়েছেন কুণাল। জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন কুণালের একাধিক অভিযোগ "সামনে বসে শুনতে হয়েছে রাজীব কুমারকে"। এ বিষয়টিকেই নিজের নৈতিক জয় বলে মনে করছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ।