হোয়াটস অ্যাপ মেসেজে বলা হয়েছে, “২০১৭ সালের ৪ জানুয়ারি, বিজেপির এক জাতীয় স্তরের নেতা অভিযোগ করেন সারদা তদন্তের তথ্যপ্রমাণ নষ্ট করেছেন রাজীব কুমার। সেসময়ই প্রথমবার এ মামলায় রাজীব কুমারকে অভিযুক্ত করা হয়।” উল্লেখ্য, সারদা কেলেঙ্কারির তদন্তে ২০১৩ সালের এপ্রিলে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠনের নির্দেশ দিয়েছিলেন মমতা। ওই বিশেষ তদন্তকারী দলের তত্ত্বাবধানে ছিলেন রাজীব কুমার।
আরও পড়ুন, সিবিআই তৎপরতা তুঙ্গে, আজই নোটিশ পেতে পারেন রাজীব কুমার
মেসেজে আরও বলা হয়েছে, ২০১৭ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি ওই জাতীয় স্তরের রাজনৈতিক নেতার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন রাজীব কুমার। ২০১৭ সালের মার্চে আদালতে ডেকে পাঠানো হয় ওই রাজনৈতিক নেতাকে। তারপর থেকেই সিবিআইকে কাজে লাগিয়ে রাজীব কুমারকে “উচিত শিক্ষা” দিতে এই ‘উইচ হান্ট’ শুরু করা হয়।
সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালের ২৯ অক্টোবর প্রথম কলকাতার নগরপালকে তলব করে সিবিআই। সেসময় ইমেল মারফৎ জবাব দেন রাজীব কুমার। মেসেজে বলা হয়েছে, “নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে হাজিরা দিতে পারবেন বলে জানিয়েছিলেন রাজীব কুমার। দীপাবলি ও কালীপুজোর আগে উনি নোটিস পেয়েছিলেন…সেসময় উনি খুব ব্যস্ত ছিলেন। ওই বছরের ২৩ অক্টোবরও সিপিকে একটি নোটিস পাঠানো হয়…।”
আরও পড়ুন, ‘রাজীব কাণ্ডে’ তোলপাড় সিবিআই, খবর ফাঁস করছে কে?
অন্যদিকে, রবিবারের ঘটনার প্রসঙ্গ তুলে মেসেজে বলা হয়েছে, যেভাবে সিবিআই সেদিন হানা দিয়েছে, তা ‘নজিরবিহীন’। সিপির সঙ্গে দেখা করতে গেলে আগে থেকে ছাড়পত্র লাগে। যে চিঠি সেদিন সিবিআই আধিকারিকরা শেক্সপিয়র সরণি থানায় দিয়েছিলেন, তাতে ‘সিক্রেট অপারেশন’-এর কথা বলা ছিল। যদিও এই মেসেজ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি সিবিআই।
উল্লেখ্য, গত রবিবার নগরপালের লাউডন স্ট্রিটের সরকারি বাসভবনে ‘সিক্রেট অপারেশন’ চালাতে হানা দেয় সিবিআইয়ের দল। যে ঘটনার প্রতিবাদে মেট্রো চ্যানেলে ধর্নায় বসেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। এদিকে, রবিবার সিপির বাড়িতে সিবিআই আধিকারিকদের নিয়ে ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে। কয়েকজন সিবিআই আধিকারিকদের আটক করে শেক্সপিয়র সরণি থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। যে ঘটনায় সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় সিবিআই।
সিবিআই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট রাজীব কুমারকে গ্রেফতারি থেকে আপাতত রেহাই দিয়েছে। তদন্তে জিজ্ঞাসাবাদের নাম করে ডেকে নিয়ে সিপিকে গ্রেফতার করা যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। তবে তদন্তে সহযোগিতার জন্য শিলংয়ে সিবিআইয়ের কাছে হাজিরা দিতে হবে নগরপালকে।