নবান্ন অভিযানে পুলিশের গাড়ি জ্বালানো ও পুলিশের উপর হামলা নিয়ে বিজেপিকে একহাত নিলেন কুণাল ঘোষ। গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নামে বিজেপি 'গুণ্ডামি' করেছে বলে তোপ তৃণমূল মুখপাত্রের। ''হামলাকারীদের দেখলেই পুলিশের খবর দিন। কাউকে ছাড়া হবে না। প্রত্যেককে গ্রেফতার করা হবে।'' সাংবাদিক বৈঠকে হুঁশিয়ারি রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের। এরই পাশাপাশি বঙ্গ বিজেপির অন্দরের তিন 'লবি'র প্রসঙ্গ টেনে এদিন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের প্রশংসা শোনা গিয়েছে কুণালের মুখে। তবে নাম না করে এদিন কুণাল নিশানা করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। কারও নাম না নিয়ে তৃণমূলের এক নেতার বিকৃত যৌনতা রয়েছে বলে কটাক্ষ কুণালের।
নবান্ন অভিযানে পুলিশের উপর হামলা চলে, পুলিশের গাড়িও জ্বলে। ইতিমধ্যেই তদন্তে নেমে পুলিশ ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে। এপ্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ এদিন বলেন, ''নবান্ন অভিযানে পুলিশের গাড়ি জ্বালাচ্ছিল। হামলাকারীদের ছবি রয়েছে। নিরস্ত্র পুলিশকে মারবে? নবান্ন অভিযানে যারা পুলিশকে মারল তাদের গ্রেফতার করা হবে। হামলাকারীদের দেখতে পেলে পুলিশে খবর দিন।''
এরপরেই বিজেপিকে আক্রমণে নয়া কৌশল নিতে দেখা যায় তৃণমূল মুখপাত্রকে। দিলীপ ঘোষের প্রশংসা করে এদিন শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদারদের একহাত নিয়েছেন কুণাল। তিনি এদিন বলেন, ''বিজেপিতে দিলীপ বনাম শুভেন্দু ও দিলীপ বনাম সুকান্ত লড়াই চলছে। বিজেপিতে গ্রহণযোগ্যতা নেই শুভেন্দুর। দিলীপ ঘোষের নখের যোগ্য নন এই সুকান্ত-শুভেন্দু। বিজেপি কর্মীদের মধ্যে দিলীপবাবুর গ্রহণযোগ্যতা আছে। নবান্ন অভিযানে দায়িত্বশীল আচরণ করেছেন দিলীপবাবু।''
আরও পড়ুন- ডায়মন্ডহারবার মডেলেই চার তৃণমূল নেতার সম্পত্তির পাহাড়, ভয়ঙ্কর অভিযোগ শুভেন্দুর
এরই পাশাপাশি এদিন নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকেও নিশানা করেছেন কুণাল। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, ''বিকৃত যৌনতা ফাঁস করে দেওয়ার আশঙ্কায় নিরাপত্তারক্ষীকে খুন করেন এক নেতা।'' নাম না করে কুণাল এই মন্তব্য শুভেন্দু অধিকারী প্রসঙ্গে করেছেন বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের একাংশের। এমনকী এদিন সাংবাদিক বৈঠকে কুণাল ঘোষকে বারবার বলতে শোনা গিয়েছে, ''শুভেন্দু অধিকারী সমকামী কি না তা আমি জানি না। আমি এই বিষয়ে কিছু বলছি না।'' একাধিকবার এই একই মন্তব্য করেছেন কুণাল।
আরও পড়ুন- চা-ঝালমুড়ি-ঘুগনি, চপশিল্পের পর ফের বিকল্প কর্মসংস্থানের দিশা দেখালেন মুখ্যমন্ত্রী
এছাড়াও তিনি এদিন আরও বলেন, ''কোনও একজন নেতা, যাঁর নাম বলব না। শুভেন্দুকেও বলছি না। সেই নেতা তাঁর এক দেহরক্ষীকে যৌনতা দেখাতে গিয়েছিলেন। পরে সেই দেহরক্ষী বিষয়টি বাইরে বলে দেবেন সেই ভয়েই তাঁকে খুন করা হয়েছে। পরে সেটাকে আত্মহত্যা বলে চালানো হয়েছে। পুলিশি তদন্ত মাঝপথে আটকে আছে। পুলিশকে আমরা বলেছি নিরাপত্তারক্ষীর বাড়ির লোক যেন ন্যায্য বিচার পায়।''
আরও পড়ুন- ‘বন্দরে আটক ২০০ কোটির মাদক তৃণমূল নেতার’, বিস্ফোরক দাবিতে তোলপাড় ফেললেন সুকান্ত
যদিও এদিন কুণাল ঘোষের অভিযোগকে পাত্তাই দিতে চাননি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি এদিন বলেন, ''তিন বছর জেল খাটা নর্দমার কীট। ওঁর কথার জবাব দিতে আমার রুচিতে বাধে। কোনও জেল খাটা লোকের কথার উত্তর আমি দেব না।''