'অভিষেক জট খুলতে উদ্যোগী হওয়ায় বিরোধীদের গায়ে জ্বালা ধরেছে', এসএসসির চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে তৃণমূল নেতার বৈঠক নিয়ে বিরোধীদের অবস্থানের সমালোচনা কুণাল ঘোষের। ''অভিষেক জট খুলে প্রার্থীদের চাকরি দেওয়ার পথের সন্ধান করছেন। এখানে আপত্তি আর জলঘোলা করার মানে হল বিরোধীরা চায় না জট খুলুক। চাকরি হোক।'' সোশ্যাল মিডিয়ায় বাম, বিজেপি, কংগ্রেসকে তুলোধনা তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের।
শুক্রবার এসএসসি আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধির সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠক করেছেন। সেই বৈঠক শেষে এসএসসির আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধি শহীদুল্লা বলেছেন, ‘স্যার অত্যন্ত মানবিক। বৈঠক ইতিবাচক হয়েছে। উনি ১০০ শতাংশ চেষ্টা করবেন যাতে ২০১৬ সালে এসএসসি মেধাতালিকাভুক্তদের প্রত্যেকে চাকরি পান। কেউ যাতে বঞ্চিত না হন, উনি সে বিষয়ে সম্পূর্ণ চেষ্টা করবেন।’ আগামী ৮ অগাস্ট শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং শিক্ষা দফতরের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন এসএসসি আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধিরা। এসএলএসটি চাকরি প্রার্থীদের নিয়োগ নিয়ে সেখানে কথা হবে।
আরও পড়ুন- SSC দুর্নীতির তদন্তে ঝাঁঝ বাড়াচ্ছে ED, অভিষেককে সঙ্গে নিয়ে দিল্লি যাচ্ছেন মমতা
এদিকে, অভিষেকের এসএসসি চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে বিরোধীদের অবস্থানে ক্ষুব্ধ কুণাল ঘোষ। ফেসবুক পোস্টে বিরোধীদের তুলোধনা করেছেন শাসকদলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক। তাঁর কথায়, ''অভিষেক জট খুলতে উদ্যোগী হতেই গায়ে জ্বালা ধরেছে বিরোধীদের। বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেসের নেতারা প্রশ্ন তুলেছেন, অভিষেক রাজ্য সরকারের কেউ নন। তাহলে বৈঠক তাঁর সঙ্গে কেন? এই প্রশ্ন থেকে ঈর্ষাজনিত পোড়া গন্ধ আসছে।''
আরও পড়ুন- ‘এবার আমাদের সঙ্গেও কথা বলুন’, রাতভর অভিষেকের অফিসের সামনে ধর্নায় টেট উত্তীর্ণরা
কুণাল আরও লিখেছেন, ''অভিষেক জট খুলে প্রার্থীদের চাকরি দেওয়ার পথের সন্ধান করছেন। এখানে আপত্তি আর জলঘোলা করার মানে হল বিরোধীরা চায় না জট খুলুক। চাকরি হোক। এরা চায় চাকরির জটিলতা থাক এবং আন্দোলন চলুক। এই বিরোধীরা প্রার্থীদের নিয়ে রাজনীতি করতে আগ্রহী। এদের মুখোশ খুলে গেল।''
আরও পড়ুন- ‘পদের অপব্যবহারে মেয়েকে চাকরি, পরেশকে সরাবেন কবে?’ মমতাকে প্রশ্ন সুকান্তের
অভিষেক সমস্যা মেটাতে আন্তরিক বলেই এই তৎরপতা নিয়েছেন বলে দাবি কুণাল ঘোষের। এপ্রসঙ্গে তাঁর যুক্তি, ''বৈঠক করেছেন অভিষেক। তিনি দলের নেতা। ব্রাত্য মন্ত্রী হলেও দলের নেতা। কুণাল ঘোষ দলের পদাধিকারী। কোনও অবস্থাতেই এই বৈঠকে সরকারি কোনও আধিকারিক, এমনকী চেয়ারম্যানও ছিলেন না। দলের তরফে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক জট কাটানোর বৈঠক করতেই পারেন। এটা তো সদিচ্ছা, আন্তরিকতার প্রমাণ। দলের সর্বোচ্চ নেত্রীর সঙ্গে যথাযথ যোগাযোগ রেখে তিনি আলোচনা শুরু করেছেন।''