বৃহস্পতিবার তৃণমূলের রাজ্য মুখপাত্র কুণাল ঘোষের এক্সবার্তায় প্রশ্ন উঠেছিল। গুঞ্ন তৈরি হয় শাসক দলে। ওই দিনই নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ছিল জোড়া-ফুলের বিশষ অধিবেশন। তৃণমূলের সবস্তরের নেতা, কর্মীদের লোকসভার আগে দলীয় লাইন বাতলে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে ওই সভায় সশীরে ছিলেন না অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সাময়িকভাবে ভার্চুয়ালভাবে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। চোখের অসুস্থতার কারণেই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সেখানে উপস্থিত হতে পারেননি বলে জানানো হয়। ওউ বৈঠকের মঞ্চে দলনেত্রীর ছবি থাকলেও অভিষেকের মুখ কোথাও দেখা যায়নি। কেন এই পদক্ষেপ? শুক্রবার তা নিয়েই প্রশ্ন তুললেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।
২৩ নভেম্বরের সভার ব্যবস্থাপকদের বিরুদ্ধে সরাসরি তোপ দেগেছেন কুণাল। সংবাদ মাধ্যমে এ দিন তিনি বলেন, 'অভিষেকের ছবি ছাড়া তৃণমূলের মঞ্চ অসম্পূর্ণ। এটা হতে পারে না। এটা ঠিক হয়নি।'
আরও পড়ুন- মমতার কড়া নির্দেশে তিতিবিরক্ত ফিরহাদ! বিধানসভায় ঢুকেই উষ্মাপ্রকাশ
তৃণমূলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গুরুত্ব বোঝাতে কুণাল ঘোষ বলেন, 'মমতাদি দলের সম্পদ। তাঁর মুখ দেখেই মানুষ তৃণমূলকে ভোট দেন। তা যেমন ঠিক তেমনই সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এও ঠিক যে, অভিষেক অনেক পরিশ্রম করে, আত্মত্যাগ করে উঠে এসেছেন। ব্যাপারটা কখনওই মমতাদি বনাম অভিষেক নয়। ব্যাপারটা মমতাদি এবং অভিষেক। একজনকে ঘিরে আবেগ রয়েছে। আর একজন দলের সামগ্রিক ব্যবস্থাপনা, সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার, যুবদের অনুপ্রাণিত করে তাঁদের রাজনৈতিক কর্মসূচি দেওয়ার কাজ করছেন। এই দু'জনের কাউকেই অস্বীকার করা যাবে না। ফলে ওখানে অভিষেকের ছবি থাকলে ভাল হত। না হলে রেশারেশির জল্পনাটাই উস্কে দেওয়া হচ্ছে।'
আরও পড়ুন- ‘তাহলে ২১ জুলাইয়ের সভাও বন্ধ করে দেব’, চরম বার্তা হাইকোর্টের
এই মেগা বৈঠকের আয়োজক তো তৃণমূলেরই শীর্ষ নেতৃত্ব। তাঁরা হঠাৎ কেনই-বা বাদ দিলেন দলের 'সেকেন্ড ইন কমান্ড'-এর ছবি? কুণাল ঘোষের জবাব, 'কারা অভিষেকের ছবি বাদ দিয়েছেন, বলতে পারব না। তবে যাঁরা এটা করেছেন ঠিক করেননি।'
আরও পড়ুন- ‘৮ জনকে জেলে ভরবো’, ওসব ফাঁকা আওয়াজ বলে মমতাকে তুমুল তাচ্ছিল্য দিলীপের!
তৃণমূল সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোরের মেগা বৈঠকের আয়োজক ছিলেন দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি। ওই বৈঠকের আয়োজকদের নিয়ে প্রশ্ন তুলে কী কুণাল আদতে সুব্রত বক্সিকেই নিশানা করলেন? তৃণমূলের অন্দরে এখন এই প্রশ্নে তোলপাড়।