রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে কুকথার নজির অব্যাহত। এবার বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীকে দিয়ে মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার জুতো পালিশ করানোর হুমকি দিলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। রবিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়ারির নছিপুরে তৃণমূলের সভা ছিল। কেন্দ্রের বিভিন্ন 'জনবিরোধী নীতি'র প্রতিবাদে ওই সভার আয়োজন করেছিলেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
সেই সভা থেকেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে আক্রমণ শানান কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, 'রাজ্যের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা সম্পর্কে শুভেন্দু অধিকারী যে মন্তব্য করেছেন, সেজন্য এখনও উনি ক্ষমা চাননি। শুভেন্দু অধিকারীকে ক্ষমা চাইতেই হবে। না-হলে, ওঁকে দিয়ে বীরবাহা হাঁসদার জুতো পালিশ করিয়ে ছাড়ব।' তবে কুণাল ঘোষের এই মন্তব্যকে গায়ে মাখতে চাননি রাজ্য বিজেপির নেতারা। দলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাস্তরের নেতা অরূপ দাস জানান, 'শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলের কাছে এখন ভয়ের কারণ হয়ে উঠেছেন। কুণাল ঘোষের কথায় কিছু যায় আসে না।'
এর আগে বীরবাহা হাঁসদা সম্পর্কে শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘাসফুল শিবির রাজ্যের বিরোধী দলনেতার মন্তব্যের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছিল। যাতে শুভেন্দু অধিকারীকে বলতে শোনা গিয়েছে, 'এখানকার যাঁরা বসে আছে, দেবনাথ ও বীরবাহা। এঁরা আমার কাছে শিশু। এগুলো আমার জুতোর তলায় থাকে।'
আরও পড়ুন- সাবধান! পুলিশের গায়ে রাসায়নিক ছিটিয়ে আদালত থেকে পালিয়েছে দুই জঙ্গি
সেই ভিডিও ভাইরাল হতেই শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে আদিবাসী নিপীড়ন প্রতিরোধ আইনে এফআইআর করেন মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। পালটা, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বোঝানোর চেষ্টা করেন যে বীরবাহা হাঁসদার ব্যাপারে কিছুই বলেননি। বিরোধী দলনেতা পালটা বলেন, 'ভিডিওটা ভালো করে দেখুন। আমি তাঁর পদবিও বলিনি। তাঁকে মন্ত্রীও বলিনি।' এর আগে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু সম্পর্কে রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরির মন্তব্যে চরম অস্বস্তিতে পড়েছিল তৃণমূল। তাঁর সরকারের এক মন্ত্রীর রাষ্ট্রপতি সম্পর্কে কুকথার জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।