হোটেল-চা বাগানের মালিকানার দাবি খারিজ নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত তৃণমূলের প্রাক্তন যুবনেতা কুন্তল ঘোষের। এরাজ্যে লক্ষ-লক্ষ টাকার বিনিময়ে সরকারি চাকরি কার্যত 'বিক্রি' হয়েছে বলে অভিযোগ। এই নিয়োগ দুর্নীতির 'মাস্টারমাইন্ড' কুন্তল ঘোষ, এমনই দাবি করেছিলেন দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত আর এক তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে, একাংশের দাবি গোয়ায় কুন্তলের বিলাসবহুল হোটেলের পাশাপাশি ত্রিপুরায় নাকি চা বাগানও আছে। শুক্রবার সেই দাবিই ভিত্তিহীন বলে পাল্টা সোচ্চার কুন্তল ঘোষ।
শুক্রবার নগর দায়রা আদালতে তোলার সময় রীতিমতো রেগে যেতে দেখা যায় কুন্তল ঘোষকে। সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের কুন্তল বলেন, 'যে কথাগুলো আপনারা বলছেন তা যাচাই করে বলুন। ত্রিপুরায় চায়ের বাগান, গোয়ায় হোটেল? দয়া করে ঠিকানা দেবেন?' উল্লেখ্য, কুন্তল ঘোষের পর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হয় হুগলি জেলার আরও এক প্রাক্তন যুব তৃণমূল নেতা তথা প্রাক্তন জেলা পরিষদ কর্মাধ্যক্ষ শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
আরও পড়ুন- কুন্তলের ৪০ লক্ষ ফেরালেন বনি, ‘মানে-মানে’ বিপুল টাকা ফেরত ‘বন্ধু’ সোমারও
শান্তনুর বিপুল সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। দিন কয়েক আগেই শান্তনু সংবাদমাধ্যমের সামনে নিয়োগ দুর্নীতির 'মূল মাথা' হিসেবে কুন্তলের নাম উল্লেখ করেছেন। যদিও কুন্তল এদিন শান্তনুর সেই দাবিও উড়িয়েছেন। তবে তাঁর গোয়ায় হোটেল, ত্রিপুরায় বাগান থাকার কথা অস্বীকার করেছেন কুন্তল।
আরও পড়ুন- ‘বাংলায় তো তৃণমূলের অনেক কম নেতা জেলে’, হঠাৎ কেন একথা অখিলেশের মুখে?
নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়ার ৫৩ দিনের মাথায় কুন্তল ঘোষকে বহিষ্কার করেছে তৃণমূল। এদিন তাঁকে বহিষ্কার নিয়ে প্রশ্ন করায় কুন্তল বলেন, 'দলের সিদ্ধান্ত মাথা পেতে নেব।' নিজেকে তৃণমূলের একজন একনিষ্ঠ সাধারণ কর্মী হিসেবেই দাবি করেছেন কুন্তল ঘোষ। এদিকে, ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত শান্তন বন্দ্যোপাধ্যায়ের ২৫টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে।