ফের হাইকোর্টের দ্বারস্থ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষ। কেন তাঁর তরফের বক্তব্য না শুনে 'হেনস্থা' মামলার তদন্তে স্থগিতাদেশ দেওয়া হল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কুন্তল। চ্যালেঞ্জ করেছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশকে।
কোন মামলায় স্থগিতাদেশ?
জেরার সময় তাঁকে কেন্দ্রীয় এজেন্সির আধিকারিকরা হেনস্থা করছেন বলে অভিযোগ করেছিলেন কুন্তল ঘোষ। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ ও সিবিআইকে যৌথভাবে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছিল বিশেষ সিবিআই আদালত। কিন্তু হাইকোর্ট সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দারি করে গত ১৪ সেপ্টেম্বর। ফলে আপাতত ওই মামলায় কোনও তদন্ত হচ্ছে না।
কী দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার?
কেন্দ্রীয় সংস্থার যুক্তি ছিল, যে সময়ে হেনস্থা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলছেন, সেই সময় কোর্টে পেশ করা হলেও এ বিষয়ে কিছু বলেননি কুন্তল। পরে বিচারকরে চেম্বারে গিয়ে তাঁকে অভিযোগ জানিয়ে চিঠি দেন নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত। এভাবে ক্যামেরা-হীন একটা ঘরে অভিযুক্তকে ডেকে নিয়ে গিয়ে বিচারক কেন কথা বললেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল সিবিআই।
ফলে সিবিআইয়ের যুক্তি ও আর্জি শোনার পর নিম্ন আদালতের সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।
কেন আপত্তি কুন্তলের?
কেন তাঁর পক্ষের বক্তব্য না শুনে ওই তদন্তে স্থগিতাদেশ দেওয়া হল? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন জেলবন্দি অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষ। তাই স্থগিতাদেশ নির্দেশের ১৪ দিন পর হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। বিশেষ সিবিআই আদালতের নির্দেশ পুনর্বহালের জন্য বিচারপতি সৌমেন সেনের এজলাসে আবেদন করেছেন বহিষ্কৃত তৃণমূল যুব নেতা তথা প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার অন্যতম অভিযুক্ত।
উল্লেখ্য, সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের ওই নির্দেশ দিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। যে মামলায় সিবিআই তদন্ত করছে, তাতে পুলিশকে কেন যুক্ত করা হল? তা নিয়ে বুধবারই আদালতে প্রশ্ন তোলেন তিনি। বিচারক অপর্ণ চট্টোপাধ্যায়কে বদলিরও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন- রাজভবনে ‘নজরদারি’ রাজ্যের? মারাত্মক অভিযোগে কঠিন পদক্ষেপ রাজ্যপালের!