রবিবারই পুরুলিয়ার কুস্তাউরে টানা অবরোধ তুলে নিয়েছিল কুড়মি সমাজ। আন্দোলনকারী কুড়মিদের একাংশ অবরোধ তুললেও পশ্চিম মেদিনীপুরের খেমাশুলিতে অবরোধ তোলা নিয়ে চূড়ান্ত বিভ্রান্তি তৈরি হয়। শেষমেশ সোমবার সকালে অবরোধ তোলার সিদ্ধান্ত নেয় কুড়মিরা। খেমাশুলিতে একটানা ৬ দিন ধরে চলা অবরোধ তুলে নেন আন্দোলনকারী কুড়মিরা। শুধু তাই নয়, রাজ্যের ডাকে সাড়া দিয়ে আজই নবান্নে বৈঠকে যাচ্ছেন কুড়মিদের ৫ প্রতিনিধি।
Advertisment
অবশেষে খেমাশুলিতেও উঠে গেল অবরোধ। পশ্চিম মেদিনীপুরের এই অংশে একটানা ৬ দিন ধরে রেললাইন এবং জাতীয় সড়ক আটকে রেখে অবরোধ চালিয়ে যাচ্ছিলেন কুড়মিরা। রবিবার রেললাইন থেকে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়েছিল। সারনা ধর্মের স্বীকৃতি ও কুড়মি সম্প্রদায়কে তফসিলি উপজাতিভুক্তদের আওতায় আনা-সহ একাধিক দাবিতে টানা রেল ও রাস্তা রোকো অভিযানে নেমেছিল কুড়মি সমাজ। মূলত রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতেই রেল-সড়ক অবরোধ করে দাবি আদায়ে গত প্রায় এক সপ্তাহ ধরে নাছোড় মনোভাব দেখিয়েছে কুড়মিরা।
পশ্চিম মেদিনীপুরের খেমাশুলি, পুরুলিয়ার কুস্তাউর স্টেশনে চলে টানা রেল রোকো অভিযান। রবিবার নতুন কর পুরুলিয়ার কোটশিলাতেও রেল অবরোধ করেন কুড়মিরা। একটানা রেল অবরোধের জেরে ফি দিন কয়েক গুচ্ছ দূরপাল্লার ট্রেন বাতিল করতে হয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়েকে। যার জেরে তীব্র ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে যাত্রীদেরও।
রবিবার কুস্তাউরে অবরোধ উঠলেও খেমাশুলিতে ওঠেনি। শেষমেশ আজ সকালে ফের এক দফায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলেন পুলিশকর্তারা। তাঁদের হাতে ছিল রাজ্যের মুখ্যসচিবের সেই চিঠি। আন্দোলনকারী কুড়মিদের সঙ্গে আলোচনায় বসার বার্তা দেওয়া হয়েছিল রাজ্যের তরফে। জানা গিয়েছে, আপাতত খেমাশুলির আন্দোলনকারীরা রাজ্যের সেই প্রস্তাবে সাড়া দিয়েছেন। সোমবারই তাঁদের ৫ প্রতিনিধি নবান্নে গিয়ে মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন বলে জানা গিয়েছে।