কুড়মি আন্দোলনে ব্য়হত জনজীবন। কুড়মি জাতিকে তফসিলি জনজাতি সম্প্রদায়ভুক্ত করা এবং কুড়মালি ভাষাকে সংবিধানের অষ্টম তফসিলির অন্তর্ভুক্তির দাবিতে গত মঙ্গলবার থেকে বিক্ষোভ, অবরোধ কর্মসূচি পালন চলছে। শুক্রবার যা চতুর্থ দিনে পড়ছে। আন্দোলনকারীদের দাবি মেনে এ দিন কেন্দ্রকে চিঠি পাঠাল রাজ্য। কালচারাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট বা সিআরআই ওই চিঠি কেন্দ্রকে পাঠিয়েছে। ওই চিঠির প্রতিলিপি আন্দোলনকারীদের পাঠান হয়েছে। যদিও সেই চিঠির যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কুড়মি সমাজের আন্দোলনকারীরা। ফলে এখনই আন্দোলনে ইতি পড়ছে না বলেই মনে হচ্ছে।
আন্দোলনকারীদের তরফে অভিজিৎ কাটিয়ার সোশাল মিডিয়া পোস্টে জানিয়েছেন যে, 'মূল পয়েন্ট ১- রাজ্য সরকার স্বীকারেই করেনি যে জাস্টিফিকেশান চেয়ে কোনো চিঠি কেন্দ্র করেছে। ২- রাজ্য সরকার আবার অনুরোধ করছে কেন্দ্রকে বিবেচনা করার জন্যে। ৩- আর রিপোর্ট জাস্টিফিকেশানের জন্যে আদিবাসী কুড়মি সমাজের রিপ্রেজেন্টেশনের তথ্য পাঠাতে বলছে CRI কে। অবাক করা ব্যাপার হচ্ছে যে স্বীকার করছে না সেখানে কোন পয়েন্টের উপর জাস্টফিকেশন হবে? তাই এই চিঠি নিয়ে আদৌ আনন্দে লাফানোর কতটা কারন আছে ভেবে নিন।'
আরও পড়ুন- লাগাতার অবরুদ্ধ সড়ক-রেল, কী কারণে এত বড় আন্দোলনে কুড়মি সমাজ?
অর্থাৎ কুড়মি সমাজ রাজ্যের চিঠির যৌক্তিকতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে। অতএব, আন্দোলনে এখনই ইতি পড়ার লক্ষণ নেই।
কুড়মিদের বিক্ষোভ ছড়িয়েছে ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং পুরুলিয়ায়। যা শুক্রবার কলকাতার বুকেও আছড়ে পড়েছে। রাজ্যের বহু জায়গায় রেল এবং রাস্তা অবরোধ চলছে।।