Operation Sindoor: অপারেশন ‘সিন্দুর’-এর মাধ্যমে এক ঐতিহাসিক সাফল্য অর্জন করল ভারতীয় সেনা। এই অপারেশন শুধুমাত্র একটি সামরিক পদক্ষেপ নয়, কোটি কোটি ভারতীয়র আশা ও আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন। লক্ষ লক্ষ ভারতীয়র আবেগ ও ন্যায়বিচারের প্রতীক। কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে ২৬ নিরীহ পর্যটককে হত্যার বদলায় যেভাবে ভারতীয় সেনা তাদের শক্তি, সাহস দেখিয়েছে তাতে মুগ্ধ ১৪০ কোটি ভারতীয়। বিশেষ এই অপারেশন সিন্দুরের মাধ্যমে দেশের নারী শক্তির প্রতি সম্মান প্রদর্শন প্রধানমন্ত্রী মোদীর। গতকালের ভাষণেও সেকথা বারে বারে ধরা পড়েছে মোদীর গলাতেও।
‘অপারেশন সিঁদুর’ দেশজুড়ে আবেগের জোয়ার তুলেছে। এই সামরিক অভিযানের সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে উত্তর প্রদেশের কুশিনগরে ১০ ও ১১ মে জন্ম নেওয়া ১৭টি সদ্যহাত কন্যা সন্তানের নাম রাখা হয়েছে ‘সিন্দুর’। ‘সিন্দুর’ এখন শুধুমাত্র একটি নাম নয়, বরং দেশপ্রেম, নারীর মর্যাদা এবং আত্মবিসর্জনের প্রতীক। বাবা-মায়েদের বিশ্বাস, তাঁদের মেয়েদের নাম তাঁদের শক্তি, গর্ব এবং জাতীয় চেতনার প্রতীক হয়ে থাকবে। অপারেশন সিন্দুর এখন নারী শক্তির রূপে দেশের ঘরে ঘরে প্রতিষ্ঠিত।
ভারতের লক্ষ লক্ষ নারী ‘সিঁদুর’ ধারণ করেন সনাতন সংস্কৃতির অংশ হিসেবে। পহেলগাঁও হামলায় নিহতের স্মরণে এবং ভারতীয় মহিলাদের সিঁথির সিঁদুর রক্ষার প্রতিশ্রুতি হিসাবেই ভারত শুরু করে এই সামরিক অভিযান। সেই আবেগ ছুঁয়ে গেছে গোটা দেশকে। তাতেই অনুপ্রাণিত হয়ে কুশিনগর মেডিকেল কলেজে গত ১০ ও ১১ মে ১৭টি কন্যা সন্তানের নাম তাদের বাবা-মায়েরা রেখেছেন 'সিন্দুর'।
পদরৌনার বাসিন্দা মদন গুপ্ত বলেন, “আমার নাতনির নাম ‘সিঁদুর’ রাখার সিদ্ধান্ত আমাদের পরিবারের গর্ব। এই নাম আমাদের মেয়েকে সর্বদা শক্তি ও সাহস দেবে।” তাঁর পুত্রবধূ কাজল গুপ্ত কুশিনগর হাসপাতালে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। অন্যদিকে অর্চনা শাহী জানান, “পহেলগাঁও কাণ্ডের পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলাম। কিন্তু ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর মাধ্যমে যেভাবে প্রধানমন্ত্রী মোদী ও আমাদের সেনাবাহিনী প্রতিশোধ নিয়েছেন, তাতে আমরা খুশি। এই নাম কেবল আমার মেয়ের পরিচয় নয়, এটি একটি জাতীয় প্রতিজ্ঞাও।” কুশিনগর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডাঃ আর কে শাহী জানান, গত ১০ ও ১১ মে তারিখে হাসপাতালে মোট ১৭টি কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করেছে। 'অপারেশন সিঁদুরের' সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে, তাঁদের পরিবারগুলি সকল কন্যার নাম রেখেছে ‘সিঁন্দুর’।