Offbeat Holiday Destination: ভ্রমণপ্রিয় বাঙালিদের একাংশের পছন্দ পাহাড় আর অন্য অংশের সমুদ্র। দ্বিতীয় পছন্দটি যাঁদের তাঁদের জন্যই বিশেষ এই প্রতিবেদন। অনেকেই এখন নিরিবিলি বেড়ানোর জায়গা খোঁজেন। ভিড়ে ঠাসা পর্যটন কেন্দ্র এড়িয়ে কোলাহলহীন প্রান্তের খোঁজে থাকেন পর্যটকদের একটি বড় অংশ। এই প্রতিবেদনে খোঁজ মিলবে তেমনই অপূর্ব এক সমুদ্র পাড়ের। কলকাতার কাছেই এই বঙ্গোপসাগরের এই পাড় 'মিনি গোয়া' নামেও পরিচিত।
ইচ্ছে থাকলেও অনেকেই কর্মস্থল থেকে লম্বা ছুটি ম্যানেজ করতে সমস্যায় পড়েন। তবে দিন কয়েকের ছুটি ম্যানেজে বিশেষ বেগ পেতে হয় না। তাঁদের জন্যই এবার নজরকাড়া এক পর্যটন কেন্দ্রের হদিশ রইল। পাড়ি জমাতে পারেন কলকাতার কাছের এই কোলাহলহীন অপরূপ এই সমুদ্রতটে। এই সমুদ্র সৈকতে এক বার গেলে মনে হবে ফিরে যাই বারবার।
আরও পড়ুন- শান্ত-নিরিবিলি অপূর্ব এক সমুদ্রতট, মনের ক্লান্তি কাটাতে এজায়গার জুড়ি মেলা ভার!
ঘুরে আসুন বকখালির কাছেই লক্ষ্মীপুর সমুদ্র সৈকত থেকে। কলকাতা থেকে এর দূরত্ব মেরেকেটে ১৩৬ কিলোমিটারের মতো। বঙ্গোপসাগরের নিরিবিলি এই সাগরতটের অনিন্দ্যসুন্দর শোভা মন ছুঁয়ে যাবে। ভিড় এড়িয়ে দিন কয়েকের এই সমুদ্রজাপন আপনার স্মৃতির পাতায় উজ্বল বর্ণে লেখা থাকবে।
বকখালির কাছেই রয়েছে লক্ষ্মীপুর সমুদ্র সৈকত। এই সাগরতট লাগোয়া ছোট্ট গ্রামের অসাধারণ প্রাকৃতিক পরিবেশ মন কাড়বেই। বকখালি সি বিচ থেকে পায়ে হেঁটে মিনিট ২০ গেলেই পড়বে এই লক্ষ্মীপুর সমুগ্র সৈকত। অনেকে এই সি বিচকে 'মিনি গোয়া' বলেন। সৈকতের গা ঘেঁষে থাকা বড় বড় উইন্ড মিল নজর কাড়বে। পর্যটকদের ভিড় কমই থাকে এখানে। এটিকে ভার্জিন বিচও বলা হয়।
আরও পড়ুন- বর্ষায় কলকাতার কাছের এই সি-বিচ আরও রঙিন! সৌন্দর্য্যে টেক্কা দিঘা-পুরীকেও
কীভাবে যাবেন লক্ষ্মীপুরে?
কলকাতা থেকে মাত্র ১৩৬ কিলোমিটার দূরে রয়েছে এই লক্ষ্মীপুর সমুদ্র সৈকত। কলকাতার দিক থেকে ট্রেনে গেলে আপনাকে পৌঁছে যেতে হবে শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার স্টেশনে। সেখান থেকে শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার নামখানা লোকাল ট্রেন ধরতে হবে। নামখানা স্টেশনে নেমে সেখান থেকে বাস বা অন্য গাড়ি ধরে পৌঁছে যেতে পারেন লক্ষ্মীপুর সমুদ্র সৈকতে। এছাড়াও বকখালি বাসস্ট্যান্ড থেকেও এই সমুদ্রতটে যাওয়ার গাড়ি মেলে।
আরও পড়ুন- নিরিবিলি সাগরতটে লাল কাঁকড়ার লুকোচুরি, অসাধারণ এই সমুদ্রতট কলকাতার খুব কাছেই
লক্ষ্মীপুরে থাকবেন কোথায়?
বকখালির সমুদ্রপাড় থেকে পায়ে হেঁটে মিনিট ২০ গেলেই পড়ে লক্ষ্মীপুর সমুদ্র সৈকত। চাইলে বকখালি কিংবা ফ্রেজারগঞ্জের হোটেলে থেকেও এখানে ঘোরা যায়। যদিও লক্ষ্মীপুর সমুদ্রতট লাগোয়া কয়েকটি লজ গড়ে উঠেছে। সেখানে এসি, নন-এসি দুরকমের ঘরই পেয়ে যাবেন। থাকা-খাওয়ার খরচও নাগালের মধ্যেই।