কামড়-কাণ্ডে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশের পরেই জোরদার তৎপরতা লালবাজারের। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, আগামী সোমবারই ডেকে পাঠানো হয়েছে কামড়-কাণ্ডে অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবল ইভা থাপাকে। ওই দিনই ডেকে পাঠানো হয়েছে টেট আন্দোলনকারী অরুণিমা পালকেও। দু'জনেরই বয়ান রেকর্ড করা হবে। ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ করে ডিসি সাউথ আকাশ মাঘেরিয়াকে রিপোর্ট দেবেন ডেপুটি কমিশনার ২ বুদ্ধদেব মুখোপাধ্যায়।
টেট আন্দোলনকারীকে পুলিশের কামড়ে দেওয়ার ঘটনা ঘিরে এখনও সরগরম রাজ্য। চাপের মুখে পড়ে ঘটনার ৪৮ ঘণ্টা পর বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নিয়োগের দাবিতে ২০১৪ সালের টেট প্রার্থীদের বিক্ষোভ ঘিরে গত বুধবার উত্তাল পরিস্থিতি তৈরি হয় কলকাতার এক্সাইড মোড়, ক্যামাক স্ট্রিট চত্বরে। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের তুমুল ধস্তাধস্তি, মারামারি পর্যন্ত হয়েছে। দু'পক্ষের মারামারিতে রক্তও ঝরেছে। এরই মধ্যে ক্যামাক স্ট্রিট চত্বরে দেখা যায় অদ্ভুত একটি ছবি। টেট আন্দোলনকারী অরুণিমা পাল নামে এক মহিলাকে কয়েকজন পুলিশ ধরে রয়েছেন, তারই ফাঁকে এক মহিলা কনস্টেবল তেড়ে গিয়ে কামড়ে দেন অরুণিমার হাতে।
আরও পড়ুন- ‘দাঁতফোকলা’ বলেছিলেন শুভেন্দু! ‘বদলা’ নিতে রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে এটা কী বললেন তৃণমূলের মন্ত্রী?
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার দৌলতে বিদ্যুৎ গতিতে ছড়িয়ে পড়ে কনস্টেবলের কামড়ে দেওয়ার সেই ছবি। যা নিয়ে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়। উপর্যুপরি বিতর্ক সামাল দিতে শেষমেশ শুক্রবারই এই ঘটনার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুক্রবারের এই নির্দেশের পর শনিবারই চূড়ান্ত তথপরতা নিয়েছে লালবাজার। জানা গিয়েছে, আগামী সোমবারই ডেকে পাঠানো হয়েছে অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবল ইভা থাপাকে। যিনি এই মুহূর্তে ভর্তি রয়েছেন এসএসকেএম হাসপাতালে। তাঁর দাবি, তাঁকেই আগে কামড়ে দিয়েছিলেন অরুণিমা, প্রতিহিংসাবশত পরে তিনি তাঁকে গিয়ে কামড়ে দেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী সোমবার ইভা থাপাকে সেদিনের ঘটনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর ওই দিনই জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে আক্রান্ত অরুণিমা পাল নামে ওই আন্দোলনকারীকেও। দু'জনেরই বয়ান রেকর্ড করা হবে। ডিসি সাউথ ২ বুদ্ধদেব মুখোপাধ্যায় এই তদন্তের দায়িত্বে রয়েছেন। ৭ দিনের মধ্যে তিনি তদন্ত শেষ করে রিপোর্ট দেবেন ডিসি সাউথ আকাশ মাঘেরিয়াকে।
আরও পড়ুন- ie বাংলার খবরের জের, বেঙ্গালুরুতে বন্দি বাঙালি দম্পতির মুক্তির আশা বাড়ল
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বুধবার ক্যামাক স্ট্রিটে যে জায়গাটিতে গন্ডগোল শুরু হয় সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হবে। পুলিশের ক্যামেরাতেও তোলা ফুটেজ খতিয়ে দেখা হবে। এছাড়াও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান রেকর্ড করা হবে। সব দিক খতিয়ে দেখেই এগোবে তদন্ত।