গ্রেফতার ললিত, 'ছেলে নির্দোষ', দাবি বাবা-মার, তুমুল আশঙ্কার গভীর ইঙ্গিত দাদার!

ললিত যে কীভাবে সংসদ হামলায় জড়িয়ে পড়ল তা এখনও বুঝে উঠতে পারছেন না মা-বাবা।

ললিত যে কীভাবে সংসদ হামলায় জড়িয়ে পড়ল তা এখনও বুঝে উঠতে পারছেন না মা-বাবা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Lalit Jha is innocent claims his parents

সংসদ হামলায় ধৃত ললিত ঝা।

'সাদামাটা' ছেলে ললিত যে কীভাবে সংসদ হামলায় জড়িয়ে পড়ল তা এখনও বুঝে উঠতে পারছেন না মা-বাবা। তাঁদের একটাই দাবি, ছেলে নির্দোষ। ন্যায়বিচার চেয়ে তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হবেন। তবে ললিতের দাদা শম্ভু ঝা'র কথায় অন্যরকম আশঙ্কার ইঙ্গিত। ললিত ঝা'কেই সংসদে স্মোক-ক্যান হামলার মূল ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে দাবি করছে দিল্লি পুলিশ। তাঁকে দফায় দফায় জেরায় আরও তথ্য জোগাড়ের চেষ্টায় তদন্তকারীরা।

Advertisment

সংসদে স্মোক ক্যান হামলা করে রীতিমতো শোরগোল ফেলে দিয়েছে ললিত ঝা-সহ অন্যরা। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন গ্রেফতারও হয়েছে। ললিতরা আদতে বিহারের দ্বারভাঙার বাসিন্দা। এই মুহূর্তে তাঁর বাবা-মা দেবানন্দ ঝা এবং মঞ্জুলা ঝা'রা রয়েছেন দ্বারভাঙার বাড়িতেই। সেখানেই এবিপি আনন্দের সাংবাদিকের মুখোমুখি হয়ে ছেলের গ্রেফতারি নিয়ে প্রক্রিতয়া দিয়েছেন তাঁরা।

কী বললেন ললিতের বাবা-মা?

ললিতের বাবা-মার কথায়, "আমরা কলকাতাতেই থাকি। আমাদের ছেলে নির্দোষ। কিছুই বুঝতে পারছি না, কী হয়ে গেল! সবার সঙ্গেই ললিতের ভালো সম্পর্ক। আমরা আদালতে যাব।"

Advertisment

ললিতের দাদা কী বললেন?

"হঠাৎ করে কেন ও গেল তা বুঝতে পারছি না। কেউ কি ওর মগজধোলাই করল? এটা ললিত নিজেই বলবে।"

আরও পড়ুন- এবার বিজেপিতেও ‘খেলা হবে’? অনুপমকে বিঁধতে গিয়ে কী বলে বসলেন সুকান্ত?

সংসদে স্মোক-ক্যান হামলায় মূল ষড়যন্ত্রকারী ললিত ঝা, তদন্তে এমনই দাবি পুলিশের। ইতিমধ্যেই ললিত ঝা'য়ের বাংলায় দুটি ঠিকানার হদিশ মিলেছে। কলকাতায় বড়বাজারের পাশাপাশি বাগুইআটিতেও ললিতদের ভাড়াবাড়ির হদিশ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। তাঁর প্রতিবেশীরাও জানিয়েছেন ললিতের আচার-ব্যবহারে কোনওদিন তাঁরা কোনও সন্দেহ করেননি। মেধাবী পড়ুয়া ললিত সংসার চালাতে অনেক কাজ করেছেন।

আরও পড়ুন- মুসলিম শিল্পীর হাতে তৈরি রামের মূর্তি, অযোধ্যার মন্দির সাজিয়ে তুলতে প্রাণপাত জামালউদ্দিনের

কখনও সবজির দোকানে কাজ করেছেন, কখনও টিউশনি পড়িয়েছেন কখনও বা এগরোল-চাউমিনের দোকানেও কাজ করেছেন তিনি। কীভাবে ললিত স্মোক-ক্যান কাণ্ডে জড়িয়ে গেলেন বুঝতে পারছে না পরিবার। ১০ ডিসেম্বরের পর থেকে পরিবারের কারও সঙ্গে ললিতের যোগাযোগ হয়নি। ওই দিন বাবা-মাকে দ্বারভাঙার ট্রেনে চড়িয়ে তিনি নিজে দিল্লিগামী ট্রেনে উঠে পড়েছিলেন বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা।

আরও পড়ুন- ব্রিগেডে লক্ষ কন্ঠে গীতা পাঠ, এর ফল কী হতে পারে? জানালেন বিজেপি সাংসদ

Parliament West Bengal Lalit Jha