Mamata Banerjee: হকার উচ্ছেদ নিয়ে তোলপাড় রাজ্য। বিরোধী দল থেকে বাংলা পক্ষ রীতিমতো হইচই বাধিয়ে দিয়েছে। জেসিবি গাড়ি দিয়ে ভেঙে চুরমার করে দেওয়া হয়েছে সরকারি জায়গায় গজিয়ে ওঠা দোকান। বিরোধীরা উত্তরপ্রদেশের বুলডোজার সরকারের সঙ্গে তুলনা করছে মমতা সরকারকে। ফের এদিন হকার ও সরকারি জমির দখলদারি নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী হকার উচ্ছেদ নিয়ে কটাক্ষ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। শুভেন্দুর প্রশ্ন, "ভোটের আগে তো টুল টেবিল নিয়ে ব্যাবসা করার উপায় আপনি বলেছিলেন মাননীয়া, আজ এদের উচ্ছেদ করছেন কেন?" উচ্ছেদ অভিযানের নামে মুখ্যমন্ত্রী যে 'খাঁড়ার ঘা' অভাবী পরিশ্রমী হকার ও দোকানদারদের ওপরে নামিয়ে এনেছেন তা নিয়ে তোপ দেগেছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।
বাঙালি ভূমিপুত্র হকারদের উচ্ছেদ নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপির কার্যকলাপের সমালোচনা করা সংগঠন বাঙলা পক্ষও। এদিকে শুভেন্দুর বক্তব্য, "অবাঙালিদের ওপর রেগে গিয়ে যে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হল বিনা সমীক্ষা করে। তার খেসারত মূলত বাঙালিদের দিতে হচ্ছে না তো? যদিও আইন ও আমাদের সংবিধান অনুযায়ী অবাঙালি হলেও পশ্চিমবঙ্গে এসে জীবিকা অর্জনের অধিকার ভারতের অন্য প্রদেশের লোকেদেরও সমান ভাবে রয়েছে। তাই কাউকে আলাদা ভাবে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্তই অসাংবিধানিক।" এখানেই থামেননি বিরোধী দলনেতা। তিনি স্পষ্ট বলেছেন, "সরকারের ক্ষমতা আছে রাজাবাজার, মেটিয়াব্রুজ, তপসিয়া, গার্ডেনরিচ, পার্ক সার্কাস এলাকায় বলপ্রয়োগ করে হকার উচ্ছেদ করার?"
আরও পড়ুন- মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারিতেই ভাগ্য ফিরল! সরছে তৃণমূলের পার্টি অফিস, ঘর ফিরে পেলেন অসহায় বৃদ্ধা
মোদ্দা কথা রাজ্যজুড়ে হকার উচ্ছেদ নিয়ে শোরগোল পড়েছে। রাজনৈতিক মহলের মতে, ২০১১ সালের পর কোনও হকার উচ্ছেদের ঘটনা ঘটেনি শুধু তাই নয়, তৃণমূল নেত্রীর বক্তব্য ছিল হকারদের কোনও জায়গা থেকে উচ্ছেদ করা হবে না। সেক্ষেত্রে এখনও অবধি নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে উচ্ছেদের ঘটনা ঘটায় নানা মহলে বিভিন্ন প্রশ্ন উঠছে। একযাত্রায় পৃথক ফল কেন? এটাই বড় প্রশ্ন।
এদিন ফের নবান্নে এই ইস্যুতে বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাহেরপুর ও ঝালদা পুরসভা ছাড়া রাজ্যের সমস্ত পুরসভা ও কর্পোরেশনের কর্তাদের বৈঠকে ডাকা হয়েছে। হকার ও বেআইনি সরকারি জমি দখল নিয়েই এই বৈঠক বলে জানা গিয়েছে। দেখার বিষয়ে নতুন কি নীতি ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী।