kanthi BJP Vs TMC: সরকারি জমি দখল মুক্ত করতে গিয়ে এবার বিজেপি নেতার হাতে হেনস্থার শিকার কাঁথির পুরপ্রধান সুপ্রকাশ গিরি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে গিয়েছে কাঁথি শহরে। ইতিমধ্যে অভিযুক্ত বিজেপি নেতা গোরাচাঁদ পাত্রর নামে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন কাঁথির পুরপ্রধান সুপ্রকাশ গিরি।
জানা গিয়েছে, কাঁথি পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে দুই বিঘা সরকারি একটি জমি রয়েছে। পাশে পুকুরও রয়েছে একটি। সেই সরকারি জমি বছরের পর বছর ধরে বেদখল করে রেখেছে স্থানীয় বিজেপি নেতা হিসেবে পরিচিত গোরাচাঁদ পাত্র। যিনি আবার ওই এলাকার শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলর সুবল মান্নার কাছের লোক হিসেবে পরিচিত।
গোরাচাঁদের বিরুদ্ধে পুরসভার অভিযোগ, একাধিকবার পুরসভার তরফ থেকে তাকে ওই জমি দখলমুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাতে কোনরকম কর্ণপাত করেননি গোরাচাঁদ। সরকারি জমির পাশেই রয়েছে তার নিজের বাড়ি। অবৈধভাবে প্ল্যান বহির্ভূত বাড়ি তৈরি করেছে গোরাচাঁদ। এছাড়াও সরকারি জমিতে নিজের বাড়ির একাংশ নির্মাণ করেছে বলে অভিযোগ। এমন পরিস্থিতিতে গত জুন মাসে তাকে নোটিশ পাঠায় পুরসভা। বারংবার পুরসভার তরফ থেকে ওই এলাকায় জমি মাপ করার জন্য লোকজন গেলেও ফিরে আসতে হয় তাদের। এছাড়াও পুকুরের ধারে একাধিক সরকারি গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে।
গত ২১ জানুয়ারি গোরাচাঁদ পুরসভার কাছে জমি দখলমুক্ত করার মুচলেখা দেয় বলে পুরসভার দাবি। তারপরেও দখলমুক্ত করেনি গোরাচাঁদ। এমন পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার সকালে পুরসভার লোকজন ওই সরকারি জমিতে গিয়ে দেখেন তার ওপর স্থায়ীভাবে দখলের প্রস্তুতি নিচ্ছে অভিযুক্ত। এমন পরিস্থিতিতে পুরসভার লোকজন গেলে তাদের ওপর চড়াও হয় গোরাচাঁদ।
ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছান কাঁথি পৌরসভার চেয়ারম্যান সুপ্রকাশ গিরি। তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। হেনস্থার শিকার হয়েছেন চেয়ারম্যান। রীতিমতো চেয়ারম্যানের উপর মারমুখি হয়ে ওঠেন অভিযুক্ত ও তার সাঙ্গপাঙ্গ। এমন পরিস্থিতিতে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানিয়েছেন সুপ্রকাশ।
এছাড়াও পুরসভার তরফ থেকে আগামী সাত দিনের মধ্যে দখলমুক্ত করার জন্য ফের মঙ্গলবার নোটিশ পাঠানো হয়েছে গোরাচাঁদের কাছে। চেয়ারম্যান সুপ্রকাশ গিরি জানিয়েছেন, “ওই জমি বছরের উপর বছর ধরে দখল করে রেখেছেন ওই বিজেপি নেতা। মঙ্গলবার আমি সকালে গেলে আমার উপর মারমুখী হয়ে ওঠেন অভিযুক্ত। আমি ইতিমধ্যে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।” সুপ্রকাশের পিতা অখিল গিরিকে ফোন করা হলে তিনি জানিয়েছেন, “এই ঘটনা আমার অজানা। খোঁজ নিয়ে দেখবো।”