চিতাবাঘের আতঙ্কে তোলপাড়। বৃহস্পতিবার সাত সকালে একটি পূর্ণবয়ষ্ক চিতাবাঘ ঢুকে পড়ে কোচবিহার শহরে। এদিন সকালে চিতাবাঘটিকে দেখা যায় কোচবিহারের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কলাবাগান এলাকায়। চিতাবাঘ দেখতে এলাকায় ভিড় জমে যায়। করোনাকালে সংক্রমণ এড়াতে তড়িঘড়ি এলাকায় জারি করা হয় ১৪৪ ধারা। এদিকে, দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর ঘুমপাড়ানি গুলি ছুড়ে চিতাবাঘটিকে কাবু করতে সক্ষম হন বনকর্মীরা। খাঁচাবন্দি করে ফেলা হয় চিতাবাঘটিকে।
ভাল্লুকের পর এবার চিতাবাঘ। সাতসকালে চিতাবাঘ জঙ্গল ছেড়ে ঢুকে পড়ে লোকালয়ে। এদিন ভোরে চিতাবাঘটিকে দেখা যায় কোচবিহার শহরের তিন নম্বর ওয়ার্ডের কলাবাগান এলাকায়। প্রকাশ্য রাস্তায় স্থানীয় মানুষজন চিতাবাঘ দেখতে পেয়ে চিৎকার-চ্যাঁচামেচি শুরু করে দেন স্থানীয়রা। প্রাণিটি লাফ দিয়ে দেওয়াল টপকে ঢুকে পড়ে এলাকারই এক বাড়ির শৌচালয়ে। এদিকে, চিতাবাঘ ঢোকার খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় ভিড় জমে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন জলদাপাড়া বন্যপ্রাণ শাখার বনকর্মীরা।
অনেকে আবার মোবাইল ক্যামেরায় চিতাবাঘের ছবি তুলতে শুরু করে দেন। চিতাবাঘটিকে উদ্ধার করতে তৎপরতা শুরু করে দেন বনকর্মীরাও। ভিড় সরাতে কলাবাগান এলাকায় জারি হয় ১৪৪ ধারা। মাইকিং করে সাধারণ মানুষকে ঘটনাস্থল থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় প্রশাসনের তরফে। বনকর্মীরাও এলাকা ঘিরে ফেলেন।
আরও পড়ুন- নিউ দিঘার হোটেলে আগুন, আতঙ্কে জানলা ভেঙে বেরনোর চেষ্টা পর্যটকদের
এরপরই ঘুমপাড়ানি গুলি চালিয়ে নিস্তেজ করা হয় চিতাবাঘটিকে। দীর্ঘ প্রায় চার ঘন্টার প্রচেষ্টায় এই চিতাবাঘটিকে খাঁচাবন্দি করতে সক্ষম হন বনকর্মীরা। কোচবিহার ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসার সঞ্জিত সাহা জানান, চিতাবাঘটি কোচবিহার শহর লাগোয়া পাতলাখাওয়া জঙ্গল থেকে লোকালয়ে এসেছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, চিতাবাঘটিকে খাঁচাবন্দি করে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসার পর চিতাবাঘটিকে গভীর জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন- শিকেয় করোনা-বিধি, ব্যবসায়ীর বিয়ের ভোজে উপচে পড়া ভিড়
কোচবিহারের লোকালয়ে হাতির হানা নতুন নয়। সম্প্রতি জঙ্গল ছেড়ে লোকালয়ে এসেছে একাধিক ভাল্লুকও। এবার খোদ কোচবিহার শহরে দেখা মিলল ডোরাকাটার। এর আগেও একাধিকবার জঙ্গল ছেড়ে কোচবিহার শহরে চিতাবাঘের হানা দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ৯০-এর দশকে চিতাবাঘের হানায় মৃত্যুর ঘটনা পর্যন্ত ঘটেছে। এদিন চিতাবাঘের হানায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে কোচবিহার শহর জুড়ে। তবে চিতাটি শেষমেশ খাঁচাবন্দি হওয়ায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন শহরবাসী।