অপরাধীদের মানসিকতার বদলের চেষ্টায় এ এক অভিনব উদ্যোগ। থানার লকআপের সামনেই তৈরি গ্রন্থাগার। সম্ভবত এরাজ্যে পুলিশের এমন উদ্যোগ এই প্রথম। পুরাতন মালদহ থানার পুলিশকর্মীদের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন জেলা পুলিশের শীর্ষ কর্তারা। থানায় গ্রন্থাগারের ভাবনার প্রশংসায় এলাকার শিক্ষক সমাজ থেকে শুরু করে বুদ্ধিজীবীরা।
বিভিন্ন অপরাধে ধরা পড়া অভিযুক্তদের মানসিক অবস্থান বদলের জন্য এবার "বই পড়ো, জ্ঞান বাড়াও" শীর্ষক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে পুরাতন মালদহ থানা। পুলিশের এই উদ্যোগের প্রশংসায় এলাকার বিশিষ্টরা। জ্ঞান বাড়াতে ও ভাবনার বিকাশে বইয়ের জুড়ি নেই, এবার থানায় নানা ধরনের বইয়ের সম্ভার নিয়ে সাজিয়ে তোলা এই গ্রন্থাগার একটি উদাহরণ তৈরি করল বলেই মনে করছেন বিশিষ্টরা।
পুরাতন মালদহ থানার লকআপের সামনেই তৈরি হয়েছে ছোট এই গ্রন্থাগারটি। এই গ্রন্থাগারে বিভিন্ন ধরনের গল্পের বই যেমন রয়েছে, তেমনই রয়েছে চেতনার বিকাশ ঘটানোর জন্য প্রবাদপ্রতীম লেখকদের লেখা একাধিক বই। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এবার থেকে লকআপে থাকা অভিযুক্তরা প্রত্যেকেই কিছুটা সময় চাইলেই বই নিয়ে কাটাতে পারেন। এতে তাঁদের মানসিক অবস্থার বদল ঘটতে পারে।
আরও পড়ুন- এগোচ্ছে তদন্ত, রামপুরহাট হাসপাতালে CBI, ফের বগটুইয়ে ফরেন্সিক টিম
তবে শুধু অপরাধীদের জন্যই নয়, পুরাতন মালদহ থানায় কর্মরত সব পুলিশকর্মী ও সিভিক ভলান্টিয়াররা এই গ্রন্থাগার থেকে বই নিয়ে পড়ার সুযোগ পাবেন। পুরাতন মালদহ থানার আইসি হীরক বিশ্বাস জানিয়েছেন, থানায় এই এই গ্রন্থাগারের উদ্বোধন করেছেন জেলার পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি।
এই গ্রন্থাগারে বিভিন্ন ধরনের গল্প, নাটক, পদ্য, উপন্যাসের বই রয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, কোনও অভিযুক্ত লকআপে থাকাকালীন বই পড়ে সময় কাটাতে পরবেন। তাঁরা চাইলেই তঁদের বই দেওয়া হবে পড়ার জন্য। এক্ষেত্রে অভিযুক্তদের মানসিক বিকাশেরও একটি সুযোগ থাকবে।