Locals see profit in honey cultivation in Kultali: গাঙ্গেয় সুন্দরবন (Sundarban) লাগোয়া কুলতলি ব্লকের মৎস্যজীবীরা নদীতে মাছ কাঁকড়া ও গভীর জঙ্গল থেকে মধু সংগ্রহ করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করছেন, এবার তাঁদের নিয়ে বিশেষ প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে বিকল্প কর্মসংস্থানের দিশা দেখাচ্ছে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। কেন্দ্রীয় সরকার ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বনদফতরের উদ্যোগে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটি কাজ করছে কুলতলিতে।
সুন্দরবনের জঙ্গলে মাছ কাঁকড়া ও মধু সংগ্রহ করতে গিয়ে নানা সময় মৎস্যজীবীরা বাঘের আক্রমণের বলি হন। অনেকে বাঘের হামলায় গুরুতর জখমও হচ্ছেন। এই সব মানুষদেরই বিকল্প কর্মসংস্থানের হদিশ দিতে কেন্দ্র-রাজ্য সরকার উদ্যোগ নিয়েছে। তাঁদের তৎপরতাতেই এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটি মৌমাছি পালনের মধ্য দিয়ে মধু সংগ্রহ করে জীবিকা নির্বাহের দিশা দেখাচ্ছেন। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কুলতলি ব্লকের গুড়গুড়িয়া ভূবনেশ্বরী অঞ্চলের গৃহবধূ থেকে শুরু করে এলাকার অন্যান্য বাসিন্দাদের বিকল্প এই কর্মসংস্থানের সুযোগ নিতে উৎসাহিত করা হচ্ছে।
এই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাটির সভাপতি দীপক মণ্ডল, সম্পাদক প্রলয় সামন্ত, হিসাবরক্ষক শঙ্খনাথ মিদ্দেরা জানালেন, তাঁরা রাজ্য সরকারের বনদফতরের উদ্যোগে এই কোঅপারেটিভ করতে পেরেছেন। সমবায় সমিতির ১২০ জন সদস্য মৌমাছি প্রতিপালনের মধ্য দিয়ে লাভের মুখ দেখছেন বলেও তাঁদের দাবি। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বনদফতর এভাবেই পাশে থাকলেও আগামী দিনে আরও এগিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী সংস্থাটি।
আরও পড়ুন- West Bengal News Live:বাংলাদেশে নির্বাচন কবে? অবশেষে দিনক্ষণ জানালেন মহম্মদ ইউনূস
এর আগে কেন্দ্রীয় সরকারের খাদি ও গ্রামউন্নয়ন মন্ত্রকের উদ্যোগে কুলতলির গুড়গুড়িয়া ভুবনেশ্বরী অঞ্চলের ২০টি পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ১০ দিনের প্রশিক্ষণ শিবির হয়েছিল। প্রশিক্ষণ শিবির শেষে পরিবারগুলির হাতে ১০টি করে মৌমাছি পালনের বাক্স দেওয়া হয়। এমনই দুটি পরিবারের সদস্য রমা প্রধান, পঙ্কজ রায়রা জানালেন, বাক্সে মৌমাছি পালন ও তাদের সংগৃহিত মধু এই মুহূর্তে বাজারে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
আরও পড়ুন- West Bengal News Live:বাংলাদেশে নির্বাচন কবে? অবশেষে দিনক্ষণ জানালেন মহম্মদ ইউনূস
সমাজকর্মী প্রবীর মিশ্রের কথায়, "সুন্দরবন অঞ্চলে বিকল্প এই কর্মসংস্থানের ফরে জঙ্গলমুখী মানুষের জীবন হারানোর ঝুঁকি কমবে।" অন্যদিকে, সুন্দরবন বিষয়ক একাধিক বইয়ের লেখক শেখ শামসুদ্দিনের কথায়, "দিনের পর দিন নদীতে মাছ,কাঁকড়া, মধু সংগ্রহ করতে গিয়ে একের পর এক মৎস্যজীবীর মৃত্যু হচ্ছে। কেউবা বাঘের আক্রমণে পঙ্গু হয়ে যাচ্ছেন। তাদের কথা চিন্তা করেই সরকারের সাথে স্বেচ্ছাসেবীদের এমন উদ্যোগে জঙ্গলমুখী মানুষের সংখ্যা কমলে তবেই তাঁদের উদ্দেশ্য সফল হবে।"
আরও পড়ুন- Humayun-Dilip: দিলীপের ঢালাও প্রশংসায় হুমায়ুন, শুভেন্দু নিয়েও অকপট ডাকাবুকো তৃণমূল নেতা