লকডাউনে রাজ্যজুড়ে রেশন দুর্নীতির অভিযোগ। সরব বিজেপি। সোমবার রেশন দুর্নীতি নিয়ে জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ জানাতে গিয়ে গ্রেফতার বিজেপির জলপাইগুড়ির জেলা সভাপতি বাপী গোস্বামী সহ তিন জন। এই ঘটনায় জেলাজুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
রেশন দুর্নীতি নিয়ে অভিযোগ জানাতে গিয়ে গ্রেফতার বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি
ভিডিয়ো- সৌমিত্র সান্যাল pic.twitter.com/kga3ggpKeB— indianexpress bangla (@iebengali) May 4, 2020
রাজ্য সরকার আগামী ৬ মাস বিনামূল্যে রেশন থেকে চাল ও আটা দেওয়ার ঘোষণা করলেও মানুষ তা পাচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠছে। রাজ্যের একাধিক জায়গায় রেশন ডিলারদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে উপভোক্তারা। দু'দিন আগেই মুর্শিদাবাদের সালারে রেশন ডিলারের বাড়ির সামনে আগুন ধরিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। একই ছবি দেখা যায় জেলার ভগবানগোলা, লালগোলার বিস্তৃর্ণ অঞ্চলে। নদিয়ার হাবিবপুরেও গণবন্টনের চালকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়। প্রশাসনের কড়া নজরদারির অভাবেই কঠিন পরিস্থিতিতে এই দুর্নীতি চলেছে বলে দাবি গেরুয়া বাহিনীর।
আরও পড়ুন- ‘সত্যান্বেষী’ মমতা, ফাঁস করলেন রেশন দুর্নীতির ‘ভুয়ো’ অভিযোগ
রেশন দুর্নীতি চলছে জলপাইগুড়িতেও। এ দিন রেশন দুর্নীতি নিয়ে জেলাশাসক কাছে অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন বিজেপির জেলা সভাপতি বাপী গোস্বামী সহ কয়েকজন। এরপরই বাপী গোস্বামী সহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। ঘটনা ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন- ‘মমতা সরকার করোনার তথ্য গোপন করছে?’, অনলাইন সমীক্ষায় বঙ্গ বিজেপি
দুর্নীতির অভিযোগ উঠতেই নবান্নের তরফে পদক্ষেপ করা হয়। সরিয়ে দেওয়া হয় রাজ্যের খাদ্য সচিবকে। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতির বদল হয়নি বলে দাবি বিজেপি সহ বিরোধী শিবিরের। দুর্নীতির সঙ্গে শাসকদলের নেতৃত্ব জড়িয়ে রয়েছে বলে অভিযোগ তাদের। বিরোধী অভিযোগকে অবশ্য 'রাজনীতির চেষ্টা' বলে পাল্টা তোপ দেগেছেন মুখ্যমন্ত্রী। উল্টে, গণবন্টনের চাল বিলি নিয়ে মোদী সরকারকেই নিশানা করেছে জোড়া-ফুল বাহিনী।
আরও পড়ুন- বাংলায় বিজেপি পার্টি অফিস থেকে উদ্ধার কয়েকশো কুইন্টাল রেশনের চাল, গ্রেফতার ২
অবশ্য গণবন্টন নিয়ে অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগের মাঝেই জলপাইগুড়ি জেলাতেই বিজেপির বিরুদ্ধে রেশন দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। বানারহাটের তেলিপাড়ায় বিজেপি কার্যলয় থেকে উদ্ধার হয় কয়েকশ কুইন্টাল রেশনের চাল। এই ঘটনায় ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়। যা ঘিরে রাজনৈতিক মহলে হইচই শুরু হয়। সেই সময় বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি বাপী গোস্বামী বলেছিলেন, 'এই কথা ঠিক যে গত লোকসভা নির্বাচনের সময় জন বার্লার নির্বাচনী কাজের জন্য ওই ঘর আমরা ভাড়া নিয়েছিলাম। কিন্তু ভোটের পর আমরা ছেড়ে দিই। সেখান থেকে আমরা আমাদের পতাকা খুলতে ভুলে গিয়েছি। তাই ওখানে পতাকা রয়ে গিয়েছে।'
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন