দ্বিতীয় দফার লকডাউনের মধ্য়েই বাংলায় সব জুটমিল ও ইটভাটা খোলার সিদ্ধান্ত নিলেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। বুধবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মমতা জানান, ''রাজ্য়ের সব জুটমিলে কাজ শুরু হবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ১৫ শতাংশ শ্রমিককে কাজে লাগানো হবে''। একইভাবে বাংলায় ইটভাটা খোলার কথা বলেছেন মমতা।
উল্লেখ্য়, বাংলায় ১৮টি জুটমিল খোলার আর্জি জানিয়ে কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রী তাঁকে ফোন করেন বলে জানিয়েছেন মমতা। এ প্রসঙ্গে মুখ্য়মন্ত্রী বলেন, ''কেন্দ্রের তরফে বলা হয়েছে ১৮টি জুটমিল খোলা হোক। কেন আমি বৈষম্য় করব? ট্রেন ইউনিয়ন বলছে, সবজায়গাতে খুলতে। রাজ্য়ের সব জুটমিলেই কাজ চালু থাকবে। তবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কাজ করতে চাইলে আবেদন করা যাবে''।
আরও পড়ুন: ‘সরকার চাইলে অভিযুক্তদের জেলে ভরতে পারে’, ডাক্তার-স্বাস্থ্যকর্মীদের হেনস্থায় কড়া বার্তা মমতার
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/04/jute-mill-759.jpg)
মুখ্য়মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, ''বস্তার চাহিদা রয়েছে। চটের বস্তা পাওয়া যাচ্ছে না। এখন না তৈরি করলে পরে আর পাওয়া যাবে না। পাঞ্জাব, তেলঙ্গানা বস্তা চাইছে''।
অন্য়দিকে, মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় আরও জানান, ''নিয়ম মেনে কাজ করতে চাইলে আবেদন করতে পারবে ছোট ছোট গ্রামীণ শিল্প। ২০ এপ্রিলের পর কৃষিকাজ, ধানকাটা যাবে''।
আরও পড়ুন: একাদশের সকল পড়ুয়া পাশ, উচ্চমাধ্য়মিকের বাকি পরীক্ষা জুনে, ঘোষণা মমতার
এদিন মুখ্য়মন্ত্রী জানান, ''যেসব এলাকায় সংক্রমণের প্রকোপ বেশি, সেখানকার বাসিন্দারা দয়া করে বাড়ির বাইরে বেরোবেন না''। মাস্ক পরা প্রসঙ্গে মমতা বলেন, ''মাস্ক বাধ্য়তামূলক করুন। সকলে মাস্ক পরুন। মাস্ক না পরে বেরোলে পুলিশ বাড়িতে পাাঠাবে। তোয়ালে, ওড়না, গামছা, মায়ের আঁচল দিয়ে মাস্ক বানানো যাবে''।
অন্য়দিকে, পরিযায়ী শ্রমিকদের উদ্দেশে মমতা বলেন, ''বান্দ্রায় যে ঘটনা ঘটেছে, তাতে সেখানে ট্রেন আসবে বলে ঘোষণা করা হয়েছিল। ওখানে আমাদের শ্রমিকরা রয়েছেন। কয়েকজন যোগাযোগ করেছেন। ভিনরাজ্য়ে আটকে পড়া শ্রমিকদের পকেট মানি পাঠানোর ব্য়বস্থা করা হবে। ভিনরাজ্য় থেকে আসা বাংলার শ্রমিকদের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। তাঁদের বলব অশান্তি করবেন না, ঝগড়া করবেন না। দু-একটা দিন থাকুন। পুলিশ যোগাযোগ রাখবে আপনাদের সঙ্গে। আপনাদের শারীরিক অবস্থা বুঝে ৩-৪ দিনের মধ্য়ে ছেড়ে দেওয়া হবে''।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন