Aam Aadmi Party: আম আদমি পার্টির (Aam Aadmi Party) সুপ্রিমো দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal) জামিন পেতেই প্রচার ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন বাংলার আপ নেতা কর্মীরা। এরাজ্যে লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha Election 2024) দলের কোনও প্রার্থী না থাকলেও লাগাতার BJP তথা মোদী-শাহ বিরোধী প্রচার শুরু করেছে আপ (AAP)। রবিবার দক্ষিণবঙ্গের ৪ লোকসভা কেন্দ্রে ৪টি জনসভায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। এদিকে এদিন বিকালে কলকাতায় 'নো ভোট টু বিজেপি' (No Vote To BJP) স্লোগান তুলবে আপ।
এবার আপ শুধু INDIA জোটে নেই, কংগ্রেসের সঙ্গেও হাত মিলিয়ে আসন সমঝোতা করেছে। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গে আপ নেতৃত্বের সম্পর্কও ভালো। কেজরি জামিন পাওয়ার তৃণমূল নেত্রী তাঁকে স্বাগত জানিয়ে টুইটও করেছেন। পশ্চিমবঙ্গে এখনও পর্যন্ত সেভাবে ডানা মেলেনি আপ। নির্বাচনগুলিতে নিজেদের গুটিয়ে রেখেছে কেজরিওয়ালের দল।
তবে দলের নেতা গ্রেফতারের ইস্যুতে পথে নেমে প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলার আপ নেতৃত্ব। কেজরির জামিন পাওয়ার পর কলকাতায় মিষ্টি বিলি করেছে, কালীঘাটে (Kalighat) পুজোও দিয়েছে আপ। রবিবার আপ কলকাতার রাস্তায় নামবে বিজেপি বিরোধী প্রচার জোরদার করতে।
শনিবার রাতেই শহরে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ, রবিবার সকাল ১১টা নাগাদ ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের জগদ্দলে BJP প্রার্থী অর্জুন সিংয়ের (Arjun Singh) সমর্থনে সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী। তারপর সেখান থেকে নরেন্দ্র মোদী চলে যাবেন হুগলিতে (Hooghly)। লকেট চট্টোপাধ্যায়ের (Locket Chatterjee) সমর্থনে দুপুর ১২টা নাগাদ চুঁচুড়ায় নির্বাচনী জনসভা রয়েছে তাঁর।
আরও পড়ুন- Premium: অভিষেকের বাড়ি-গাড়ি নেই? তাঁর আয়-পড়াশোনার এই তথ্যে চোখ কপালে উঠবেই!
সেই জনসভার পরে আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্রে পৌঁছবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে পুরশুড়ায় বিজেপি প্রার্থী অরূপকান্তি দিগড়ের হয়ে প্রচার করবেন। হাওড়া লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রথীন চক্রবর্তীর সমর্থনে জনসভা দিয়ে শেষ করবেন এদিনের কর্মসূচি। শেষ জনসভাটি করবেন বিকেল ৪টেয় হাওড়ার সাঁকরাইলে। এদিকে রাজ্যে মোদীর প্রচারের দিনেই কর্মসূচি নিয়েছে আপ।
আম আদমি পার্টি পশ্চিমবঙ্গের প্রধান মুখপাত্র অর্ণব মৈত্র বলেন, "দেশের স্বৈরতন্ত্র স্থাপন করার চেষ্টা চলছে বিজেপির দ্বারা। এই নির্বাচন শেষ নির্বাচন হতে পারে।। গণতন্ত্র কেড়ে নেওয়া এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। "এক দেশ এক নেতা" চাপিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করছে মোদী-শাহ জুটি। এমন অবস্থায় আমরা 'বিজেপিকে একটিও ভোট নয়' সংকল্প নিয়েছি এবং মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছি। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় কর্মসূচি করার পর রবিবার আমাদের কর্মসূচি ধর্মতলায়।"