Lok Sabha Election 2024-India-Bangladesh Border: ভোট আসে ভোট যায়, এতল্লাটের মানুষজন নির্বাচন নিয়ে তেমন একটা মাথা ঘামান না। তবে ভোটের দিন ভোট দিতে যান তাঁরা। কাছেই গ্রামের স্কুলের বুথে দিনভর থাকে লাইন। লাইন ফাঁকা রয়েছে কিনা ফোনে খোঁজ নেন অনেকে, তারপর বাড়ি থেকে বেরোন তাঁরা। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের এগ্রামের ভোট পর্ব ঘুরে দেখল ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা।
Lok Sabha Election 2024-India-Bangladesh Border: ভোট আসে ভোট যায়, এতল্লাটের মানুষজন নির্বাচন নিয়ে তেমন একটা মাথা ঘামান না। তবে ভোটের দিন ভোট দিতে যান তাঁরা। কাছেই গ্রামের স্কুলের বুথে দিনভর থাকে লাইন। লাইন ফাঁকা রয়েছে কিনা ফোনে খোঁজ নেন অনেকে, তারপর বাড়ি থেকে বেরোন তাঁরা। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের এগ্রামের ভোট পর্ব ঘুরে দেখল ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা।
India-Bangladesh Border: ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের জয়ন্তীপুর গ্রাম। ভোট দিয়ে ফেরার পথে ক্যামেরাবন্দি এলাকারই এক বৃদ্ধা। এক্সপ্রেস ফটো: শশী ঘোষ।
Lok Sabha Polls 2024 Phase 5-India-Bangladesh Border: ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের জয়ন্তীপুর গ্রাম। কাঁটাতারের ওপারে বসবাস ৩৬টি পরিবারের। সীমান্তের কাঁটাতার পেরিয়ে এসে পঞ্চম দফার ভোটে অংশ নিতে এসেছিলেন রাবেয়া মণ্ডল, আলিমুদজামান মণ্ডলেরা। ৩৬টি পরিবারের বাস বলে জয়ন্তীপুর গ্রাম ছত্তিশঘরিয়া নামে পরিচিত। এখানকার বাসিন্দারা ভোট দিলেও বেশিরভাগই জানেন না তাঁদের কেন্দ্রে কোন দলের কে প্রার্থী।
Advertisment
লোকসভার প্রার্থীরা কখনও এই গ্রামে প্রচারে আসেন না। তাঁদের নাম জানার কোনও চেষ্টাও করেন না এখানকার মানুষজন। জয়ন্তীপুর গ্রামের পাশেই বাংলাদেশের যশোর জেলার সাদিপুর, দৌলতপুর, বেনাপোল গ্রাম। সীমান্তে সর্বক্ষণ প্রহরায় BSF। কলকাতা থেকে জয়ন্তীপুর গ্রামের দূরত্ব ১০০ কিলোমিটারের ওপর।
বাংলাদেশের মোরগের ডাকে জয়ন্তীপুর গ্রামের লোকেদের ঘুম ভাঙে। কাঁটাতারের ওপারে বাড়ি থাকায় বাংলাদেশ বলে ভুল হতেই পারে। এখানকার বাসিন্দারা বেশিরভাগই চাষাবাদের সঙ্গে যুক্ত। কেউ কেউ ব্যবসাও করেন। বাড়ি থেকে বের হওয়া ও বাইরে থেকে বাড়িতে ঢোকার সময়ে বারংবার তল্লাশি চলে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর।
নজরদারিতে BSF-এর মহিলা কর্মী। এক্সপ্রেস ফটো: শশী ঘোষ।
Advertisment
এখানকারই এক বাসিন্দা মমতাজ মণ্ডল। ৪ বছর ধরে আছেন এই জয়ন্তীপুর গ্রামে। বনগাঁর আকাইপুরে থাকতেন তিনি। বিয়ের পর কাঁটাতারের ওপারের বাসিন্দা হয়েছেন। স্বাভাবিকভাবে এর আগে কখনও এমন চেকিংয়ের মধ্যে পড়তে হয়নি তাঁকে। তিনি বললেন, "এখানে একটা পরাধীন ব্যাপার। রাত-বিরেতে বেরাতেই পারি না। রাত ৯টার মধ্যে বাড়িতে ঢুকে পড়তে হয়। একটা এমার্জেন্সি কিছু হলে আগে চেক করে নিয়ে বেরোতে দেয়।"
গ্রামের আর এক বাসিন্দা আজারুল সরদারের কথায়, "তারকাঁটার পাশে বাস করি। টুকটাক সমস্যা লেগেই থাকে। তবে রাজ্য সরকারের প্রকল্পগুলির সুবিধা পাই। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সুবিধাও মেলে। যদিও নির্বাচনে কোন দলের কে প্রার্থী তা জানি না।" এলাকারই আরও এক মহিলার কথায়, "এখানে শান্তিতেই ভোট হয়। জিরো পয়েন্টের ভোট এটা। গ্রামের স্কুলেই ভোট হয়। BSF চেক করে ছেড়ে দেয়, আমরা ভোট দিতে যাই।" এই গ্রামের মানুষজন ভোট দেন জয়ন্তীপুর এফপি বিদ্যালয়ের বুথে।