Lok Sabha Election 2024-Jadavpur: রাজনৈতিক মহলে বড় চর্চায় যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্র। আগামী ১ জুন অর্থাৎ শনিবার এই কেন্দ্রে নির্বাচন। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে ভাঙড় বিধানসভা এলাকায় রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস পেয়েছিল ১,৪৬,৭২৩টি ভোট। প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির জুটেছিল ২৪,৯৬৩ ভোট ও সিপিএম ভোট পেয়েছিল ৩৪,৭৫৮টি। এই এলাকা থেকেই তৃণমূল কংগ্রেসের লিড ছিল ১,১১,৯৬৫। এছাড়া বারুইপুর পূর্ব, বারুইপুর পশ্চিম, সোনারপুর উত্তর, সোনারপুর দক্ষিণ, যাদবপুর ও টালিগঞ্জ এই ৬টি বিধানসভা এলাকার প্রতিটিতে তৃণমূল লিড পেয়েছিল।
যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রে গতবারের লোকসভা ভোটে তৃণমূল কংগ্রেসের ঝুলিতে গিয়েছিল ৬,৮৮,৪৭২টি ভোট। অন্যদিকে বিজেপি ৩,৯৩,২৩৩টি ভোট পেয়েছিল। সিপিএম এই কেন্দ্রে পেয়েছিল ৩০২২৬৪টি ভোট। পরবর্তীতে ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস যাদবপুর লোকসভার অধীনে ৬টি বিধানসভায় জয় পেলেও ভাঙড় কেন্দ্রটি হারাতে হয় নয়া দল ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের নওশাদ সিদ্দিকীর কাছে।
আরও পড়ুন - < Suvendu Adhikari On Saokat Molla: বাংলা কাঁপিয়ে হুঙ্কার শুভেন্দুর, মমতা ঘনিষ্ঠকে চুলের মুঠি ধরে গারদে ভরার নিদান >
২০২১-এ বামেদের সঙ্গে আইএসএফের নির্বাচনী সমঝোতা হয়েছিল। এবার কোনও সমঝোতা হয়নি। যাদবপুর কেন্দ্রে প্রার্থী দিয়েছে আইএসএফ। রাজনৈতিক মহলের মতে, জোট হলে ভাঙড় থেকে কিছুটা হলেও বাড়তি সুবিধা পেত সিপিএম। কেন সেই রাস্তা বন্ধ করল আইএসএফ? তা নিয়ে জল্পনা রয়েছে রাজনৈতিক মহলে। সিপিএম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য ভাঙড়ে বিকল্প পথে লক্ষ্য পূরণের আশা করছেন।
ভাঙড়ে ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে আইএসএফ জয় পেয়েছিল। ২০১৯ লোকসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের লিড ছিল এক লক্ষের বেশি, সেই ভাঙড়ে ২১ বিধানসভা নির্বাচনে জোড়াফুল মোট ভোট পেয়েছিল ৮৩,০৮৬টি। আইএসএফ পেয়েছিল ১,০২,০৮৭টি ভোট। এবার ভাঙড় বিধানসভা এলাকার ভোটারদের আশীর্বাদ কার মাথায় থাকে সেটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
আরও পড়ুন - < Mamata attacks Modi: ‘উনি তো ঈশ্বরের দূত! ধ্যানের কীসের প্রয়োজন’? নির্বাচনী সমাবেশ থেকে মোদীকে খোঁচা মমতার >
২০০৯ লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রার্থী বদল করেছে তৃণমূল। তবে এবারও গতবারের মতো টলিউড থেকে প্রার্থী করা হয়েছে। তৃণমূল যুবর রাজ্য সভানেত্রী সায়নী ঘোষ এবার যাদবপুরের প্রার্থী। বিজেপির প্রার্থী অনির্বান গঙ্গোপাধ্যায়। সিপিএমের যুব নেতা সৃজন ভট্টাচার্য। প্রচারে একে আরেকজনকে টক্কর দিচ্ছে।
যাদবপুর কেন্দ্র থেকে ১৯৮৪ লোকসভা নির্বাচনে সিপিএমের বর্ষীয়াণ নেতা সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়কে ১৯,৬৬০ ভোটে পরাজিত করেছিলেন কংগ্রেস প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যয়। সেটা ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবনের টার্নিং পয়েন্ট। অবশ্য পরের নির্বাচনে এই কেন্দ্রে তাঁকে হারতে হয়েছিল সিপিএমের মালিনী ভট্টাচার্যের কাছে। গত নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী মিমি চক্রবর্তী প্রায় ৩ লক্ষের কাছাকাছি ব্যবধানে জয়ী হয়েছিলেন। সিপিএম প্রার্থী আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য তৃতীয় স্থান পেয়েছিলেন। এবার কি সিপিএম হারানো জমি ফিরে পাবে যাদবপুরে? এখানে মোদী ম্যাজিক কি কাজ করবে? অন্যদিকে জয়ের মেজাজে প্রচার করছে তৃণমূল। সব স্পষ্ট হবে, অপেক্ষা মাত্র এক সপ্তাহের।