Loksabha Election 2024 3rd phase West Bengal: প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে এরাজ্যে উত্তরবঙ্গের ৬টি আসনে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। আগামিকাল তৃতীয় দফায় ৪ আসনে নির্বাচন। মালদা উত্তর, মালদা দক্ষিণ, মুর্শিদাবাদ ও জঙ্গিপুরে নির্বাচন। মালদার দুটি লোকসভা আসনে কখনও তৃণমূল কংগ্রেস জয় পায়নি। এবারও কি একই ধারা বজায় থাকবে? নাকি পরিবর্তনের কোনও সম্ভাবনা আছে? সেদিকে তাকিয়ে আছে রাজনৈতিক মহল। এদিকে ২০১৯-এ মুর্শিদাবাদ ও জঙ্গিপুর দুটি আসনই তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে ছিল। কিন্তু জঙ্গিপুরে রয়েছে সাগরদিঘি উপনির্বানে তৃণমূলের হারের জ্বালা। অন্যদিকে মুর্শিদাবাদে এবার সিপিএমের হেভিওয়েট প্রার্থী রয়েছেন মহম্মদ সেলিম।
২০২৩ সাগরদিঘি উপনির্বাচনে বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী বায়রন বিশ্বাস ২২,৯৮৬ ভোটের ব্যবধানে তৃণমূল কংগ্রেসকে পরাজিত করে। উপনির্বাচনে বড় ব্যবধান তো দূরের কথা বিরোধীরা ২০২১-এ সমস্ত জেতা আসনে উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে পরাজিত হয়েছে। সেখানে সাগরদিঘি কেন্দ্রে কংগ্রেস ও বামেরা একেবারে ধরাশায়ী করে তৃণমূল কংগ্রেসকে। এই কেন্দ্রে ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের জয়ের ব্যবধান ছিল ৫০,২০৬। মোদ্দা কথা, সংখ্যালঘু ভোট কংগ্রেস ও সিপিএমের ঘরে ব্যাপক হারে পড়তে পারে, তা দেখিয়ে দিয়েছে সাঘরদিঘি। সংখ্যালঘু ভোট হাতছাড়া হওয়ায় অস্বস্তিতে পড়েছিল তৃণমূল। এই ধারা এবারও বজায় থাকলে জঙ্গিপুরের ভোটও ঘাসফুল শিবিরের কাছে 'টাফ' হতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
জঙ্গিপুরে ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে বিজেপি প্রার্থীর ভোটের ব্যবধান ছিল ২,৪৫,৭৮২। কিন্তু কংগ্রেস প্রার্থী অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় এই আসনে প্রায় ২০ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন। এবারও তৃণমূলের প্রার্থী খলিলুর রহমান। বিজেপি প্রার্থী ধনঞ্জয় ঘোষ। এখানে কংগ্রেস প্রার্থী মুর্তাজা হোসেন বকুল। সুতি, জঙ্গিপুর, লালগোলা, খড়গ্রাম, নবগ্রাম, রঘুনাথগঞ্জ বিধানসভা তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে। বায়রন বিশ্বাস উপনির্বাচনে জয়ের কিছুদিন পরই কংগ্রেসে যোগ দেন।
আরও পড়ুন- ‘৩৫টি আসনও পেতে পারি’, কোন ‘গোপন অঙ্কে’ এই ব্যাখ্যা শাহের?
এদিকে আমের জেলা মালদা দক্ষিণ কেন্দ্র কংগ্রেসের কাছে প্রেস্টিজ ফাইট। মালদা উত্তরে গতবার জয় পেয়েছিল বিজেপি। তৃণমূল কংগ্রেস এবার এখানে জয়ের জন্য মরিয়া। অন্যদিকে মুর্শিদাবাদে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম প্রার্থী হওয়ায় স্বভাবতই নজর কেড়েছে এই কেন্দ্র। এই চার কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণ ভোটের জন্য সমস্তরকম ব্যবস্থা নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। যদিও এই চার কেন্দ্রের ফলাফলের জন্য আরও একমাস অপেক্ষা করতে হবে।