শর্ট ট্রিপের প্ল্যান থাকলে পাড়ি জমাতে পারেন শহর কলকাতার খুব কাছের এক চিত্তাকর্ষক জায়গায়। নিরিবিলি-কোলাহলহীন এই প্রান্তে মিলবে মনের আরাম-প্রাণের স্বস্তি। দুই নদীর ঠিক মধ্যবর্তী স্থানের এই অনিন্দ্যসুন্দর এলাকায় একবার গেলে মন বাঁধা পড়বেই। বাংলাদেশের গা ঘেঁষে থাকা এই দ্বীপটির নাম অনেকের কাছেই এখনও অজানা। তবে যাঁরা একবার গিয়েছেন তাঁরাই আবার ফাঁক পেলে ঝটিকা সফরে ছুটছেন এপ্রান্তে।
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের মাছরাঙা দ্বীপ। উত্তর ২৪ পরগনার টাকির কাছে ইছামতী ও ভাসা নদীর মধ্যবর্তী এলাকায় রয়েছে এই দ্বীপ। সবুজে সবুজ এই দ্বীপের মায়াবী পরিবেশ মুহূর্তে ভুলিয়ে দেবে সব ক্লান্তি। স্ট্রেসফুল জীবন থেকে ক্ষণিকের আরাম নিতে হলে ছুটে যেতে পারেন শহর কলকাতা থেকে মেরেকেটে ৭০ কিলোমিটার দূরের এতল্লাটে। ইছামতী নদীর মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত এই দ্বীপের গা ঘেঁষে রয়েছে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন- বর্ষায় কলকাতার কাছের এই সি-বিচ আরও রঙিন! সৌন্দর্য্যে টেক্কা দিঘা-পুরীকেও
চারদিকে জল আর মাঝে একটুখানি স্থল, এনিয়েই মাছরাঙা দ্বীপ। মাছরাঙা পাখির নামে এই দ্বীপের নাম। তবে এখানে মাছরাঙা ছাড়াও দেখা মেলে বিভিন্ন প্রজাতির পাখির। অ্যাডভেঞ্চার পছন্দ হলে হেঁটে ঘুরে নিতে পারেন ম্যানগ্রোভের জঙ্গল। তবে এক্ষেত্রে একটু সতর্ক থাকতে হবে।
আরও পড়ুন- শান্ত-স্নিগ্ধ পরিবেশ! বাংলার অপূর্ব এই সমুদ্রতটের নজরকাড়া সৌন্দর্য্য চোখ জুড়োবেই
স্থানীয়দের থেকে এব্যাপারে পরামর্শ নিতে পারেন। উত্তর ২৪ পরগনার টাকিতে এলে অনেক পর্যটকই অন্যান্য পর্যটনকেন্দ্র ঢুঁ মারার পাশাপাশি ভিড় জমান এই মাছরাঙা দ্বীপেও। এখান থেকে সূর্যাস্ত দেখার মজাটাই ভিন্ন। পড়ন্ত বিকেলে ইছামতীর কোলে ঢোলে পড়া সূর্যের অসাধারণ সৌন্দর্য্য ভোলার নয়।
আরও পড়ুন- সমুদ্র আর ম্যানগ্রোভের অপূর্ব মিশেল, বর্ষায় কলকাতার কাছের এই সাগরতট এককথায় অনবদ্য!
মাছরাঙা দ্বীপে যাবেন কীভাবে?
কলকাতার দিক থেকে ট্রেনে গেলে শিয়ালদহ স্টেশনে পৌঁছে যেতে হবে। হাসনাবাদ লোকাল ধরে ঘণ্টা দু'য়েকের মধ্যে পৌঁছে যাবেন টাকি স্টেশনে। এই টাকি স্টেশন থেকেই মিলবে টোটো বা অটো। মিনিট দশেকের মধ্যেই পৌঁছে যাবেন ইছামতী নদীর ধারে। সেখান থেকে নৌকা বা লঞ্চে পৌঁছে যাবেন মাছরাঙা দ্বীপে।