ব্যস্ত জীবনকে দিন কয়েকের জন্য বলুন বাই-বাই! ‘লোটাকম্বল’ বেঁধে ঝটিকা সফরে ঘুরে আসুন কলকাতার কাছেই অসাধারণ এক সমুদ্র সৈকত থেকে। বেড়ানোর ১৬ আনা মজা তারিয়ে-তারিয়ে উপভোগ করতে পারবেন এই সমুদ্রতটে। দিন কয়েকের এই ভ্রমণ অভিজ্ঞতা বহুদিন পর্যন্ত আপনার স্মৃতির পাতায় উজ্বল হয়ে তাকবে, একথা হলফ করে বলতে পারেন এতল্লাটে ঘুরে যাওয়া অনেক পর্যটকই। সত্যিই, পূর্ব মেদিনীপুরের এই সমুদ্রতট এককথায় অসাধারণ। সাগরপাড়ের এই অপরূপ শোভা ভাষায় প্রকাশ কঠিন!
পূর্ব মেদিনীপুরের মন্দারমণি। বঙ্গোপসাগরের উপকূলের এই জায়গাটি কলকাতা ও হাওড়ার সঙ্গে জাতীয় সড়ক দিয়ে সংযুক্ত। এর খুব কাছেই রয়েছে দিঘা। দিঘার মতো বড়-বড় ঢেউ এখানে না পেলেও নিট অ্যান্ড ক্লিন এই সাগরতট নজর কাড়বেই। লাল কাঁকড়ার জন্য বিখ্যাত জায়গা হল মন্দারমণি।
আরও পড়ুন- বাংলার এই এলাকার পরতে-পরতে ইতিহাস, রহস্যে ঘেরা নানা কাহিনী আজও চর্চায়!
সমুদ্রের পাড়ের বালিয়াড়িতে প্রচুর লাল কাঁকড়ার দেখা মিলবে। বালিতট জুড়ে লাল কাঁকড়ার সমাহার গোটা সি-বিচকেই মোহময়ী করে তুলেছে। মন্দারমণি জায়গাটির নাম নিয়ে এখানে একাধিক ধারণা প্রচলিত রয়েছে। তবে অধিকাংশেরই বক্তব্য, ‘মন্দার’ ফুলের নামানুসারেই এই জায়গার নাম হয়েছে মন্দারমণি।
দিন কয়েকের জন্য ছুটি কাটানোর একেবারে আদর্শ জায়গা হল মন্দারমণি। এখানে সমুদ্রে বোটিং-সহ পর্যটকদের মনোরঞ্জনের জন্য একাধিক রাইড রয়েছে। তবে সেক্ষেত্রে নিজেদের নিরাপত্তার দিকটির ব্যাপারে একশো শতাংশ নিশ্চিত হয়ে তবেই সেগুলিতে চড়া ভালো।
আরও পড়ুন- পাহাড়ঘেরা গ্রামের বুক চিরেছে নদী, উত্তরবঙ্গের এতল্লাট এককথায় অসাধারণ!
কীভাবে যাবেন মন্দারমণি?
কলকাতার দিক থেকে ট্রেনে গেলে আপনাকে নামতে হবে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি স্টেশনে। মন্দারমণির সবচেয়ে কাছের রেল স্টেশন হল এই কাঁথি। কাঁথিতে নেমে গাড়িভাড়া করে আপনি পৌঁছে যেতে পারবেন মন্দারমণিতে। তবে সড়কপথে গেলে সোজা কাঁথি হয়ে ঢুকে পড়তে হবে মন্দারমণিতে।
আরও পড়ুন- কলকাতা থেকে সকালে বেরিয়ে সন্ধেয় ফিরুন, কোলাহলহীন নদীপাড়ে আরাম পাবে মন
মন্দারমণিতে কোথায় থাকবেন?
আগে হাতেগোনা কয়েকটি হোটেল ছিল মন্দারমণিতে। তবে বর্তমানে ছোট-বড় মিলিয়ে একগুচ্ছ হোটেলে পেয়ে যাবেন। সিজনে গেলে আগে থেকে বুকিং করে যাওয়াই ভালো। তবে মন্দারমণিতে পৌঁছেও হোটেল বুক করতে পারেন। হোটেলভাড়াও নাগালের মধ্যেই। এসি-নন এসি দুই ধরনের ঘরই পেয়ে যাবেন।