ফের বোমা ফাটালেন মদন মিত্র। দলের একাংশের বিরুদ্ধেই চূড়ান্ত ক্ষোভ উগরে দিলেন বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা। রাখঢাক না রেখে সাফ বললেন, 'কিছু দালাল-চিটিংবাজ দলে ঢুকে দলকে নোংরা করার চেষ্টা করছে।' সৌগত রায়ের নাম ধরে দলের একাংশকে বিঁধে কামারহাটির তৃণমূল বিধায়কের আরও আক্ষেপ, '২৬-এর পর আর দাঁড়ানোর জায়গা থাকবে বলে মনে হয় না।'
আবারও দলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, 'আমার তো আর কয়েকদিন। ২০২৬-এর পর আর দঁড়ানোর জায়গা থাকবে বলে মনে হয় না। তবে সৌগতদা নিশ্চয় দাঁড়াবেন। দলকে বাঁচান। পার্টি বাঁচলে আমরাও বাঁচব। দলের একাংশ বিজেপি-সিপিএমকে তেল দিয়ে রাতের অন্ধকারে তৃণমূলকে চোর বানাচ্ছে। আমি তাঁদের ঘৃণা করি। ভালো না লাগলে দল করবেন না। নেতা-মন্ত্রী-সাংসদ এল কী এল না এটা বিষয় নয়। কর্মীরাই সম্পদ। যারা মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে পিছন থেকে ছুরি মারার চেষ্টা করছে আমি তাঁদের ঘৃণা করি।'
আরও পড়ুন- ট্রেন চলাচলে গুরুদায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন রেলকর্মী, বিক্ষোভের নামে তাঁকেই বের করলেন তৃণমূলনেত্রী
এর আগেও দলের একাংশের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে দেখা গিয়েছিল মদন মিত্রকে। এসএসকেএমে রোগী ভর্তি নিয়ে র্কতৃপক্ষের সঙ্গে তুমুল বচসায় জড়িয়েছিলেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক। যার জেরে দলের একাংশকেই কাঠগড়ায় তুলে সোচ্চার হয়েছিলেন বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা।
আরও পড়ুন- লক্ষ্য ২০২৪, বিজেপি-তৃণমূলকে ‘ল্যাজেগোবরে’ করতে মাঠে নামছে এসএফআই
তবে '২৬-এর পর আর দাঁড়ানোর জায়গা থাকবে না বলার মধ্য দিয়ে মদন মিত্র কীসের ইঙ্গিত দিলেন? তবে কি দল আর ২০২৬-এর বিধানসভা ভোটে তাঁকে টিকিট দেবে না? আগেভাগেই কী এমন কিছুর ইঙ্গিত পেয়েছেন মদন? তা অবশ্য স্পষ্ট করেননি তিনি।