তৃণমূল কংগ্রেস টানা তিনবারের জন্য বাংলায় ক্ষমতাসীন। একটা সময়ে দলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর একসঙ্গে মুকুল রায়-মদন মিত্রের নাম উচ্চারিত হত। অনেক সময় মিছিল-মিটিং হাউসফুল করতে দায়িত্বে থাকতেন মদন মিত্র। মুকুল রায় এখন ঘাসবনে পদ্মফুল। অন্যদিকে মদন মিত্র কামারহাটির বিধায়ক হলেও মন্ত্রীত্ব এখন অতীত, নেই দলের ভারী পদেও। তবু নানা কর্মকাণ্ডে প্রচারে রয়েছেন মদন মিত্র। দলের সঙ্কটের সময়ে আদপে কি ভূমিকা ছিল মদন মিত্রের?
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে মদন মিত্র বলেন, 'আমি ক্রাইসিস ম্যানেজার ছিলাম না। আমি ক্রাইসিসে ছিলাম। দল যখন ক্রাইসিসে ছিল তখন আমি একজন কর্মী হিসাবে সামিল ছিলাম। সবাই মিলেই দলটা চালিয়েছি। এখন তৃণমূল অনেক বড় ব্যাপার। এখন এই মুহূর্তে তৃণমূল মানে সারা পৃথিবীর লোক নাম জানে, টিএমসি। এখন তৃণমূলে মমতা তিন বারের মুখ্যমন্ত্রী, অভিষেকের মতো যুব নেতা। এখন যদি রাহুল গান্ধীও যুবর সভাপতি হত তাহলেও রাহুলের গ্ল্যামার অভিষেকের কাছে কম হয়ে যেত।'
টানা দু'বার দিল্লির মসনদে ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। মোদী-শাহ জুটি বিজেপির মূল স্তম্ভ। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনেও বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ প্রার্থী দ্রৌপদী মুর হেসে-খেলে জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। তবে মদন মিত্রের আশা বিজেপি ভেঙে যাবে। কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক বলেন, 'মোদী, অমিত শাহ ও যোগীর ঝগড়ায় বিজেপি ভেঙে তছনছ হয়ে যাবে। বিজেপির সঙ্গে সংঘের বনিবনা হবে না। এমনও হতে পারে বিজেপির একটা মেজর অংশ বেরিয়ে তৃণমূলে আসতে পারে। কারণ ২৭৩ মেলাতে হবে। ৪২-এ- ৪২ হলেও ২৭৩ হবে না। ২৭৩ হতে গেলে থাম্পিং মেজরিটি নিয়ে বিজেপিকে চলে যেতে হবে।'
সম্প্রতি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে সামনে রেখে দিল্লিতে অবিজেপি দলগুলিকে নিয়ে বৈঠক করেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২২টি দলকে আমন্ত্রণ জানালেও ১৭টি দলের প্রতিনিধিরা সেখানে হাজির ছিলেন। শেষমেশ তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন সর্বভারতীয় সহসভাপতি যশবন্ত সিনহা বিরোধীদের রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী হচ্ছেন। মদন মিত্রের দাবি, 'এই মুহূর্তে দেশে নরেন্দ্র মোদীর একজনই চ্যালেঞ্জার।' মদন মিত্রের বক্তব্য, 'লড়াই মোদী ও মমতার মধ্য়ে। এই মমতা কিন্তু নব্বইয়ের মমতা নয়। এই মমতা ২০০০-এর মমতা নয়। এই মমতা তিন বারের মুখ্যমন্ত্রী মমতা। যে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ করতে যাচ্ছে।'