Madhyamik Candidate Death: পরীক্ষা দিয়ে হাসি মুখে বাড়ি ফিরেই আত্মঘাতী মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী, সম্পর্কের টানাপোড়েন?

Madhyamik Candidate Death: মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে দীর্ঘদিন ধরে  উত্ত্যক্ত করছিল প্রতিবেশী যুবক। চাপ দিচ্ছিল বিয়ের জন্য। প্রতিবেশি যুবকের উৎপাতের মানসিক অবসাদে প্রথম দিনের পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফিরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করল এক মাধ্যমিক পরিক্ষার্থী। সোমবার বিকালে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগণা অশোকনগর থানার গুমায়। পুলিশ জানিয়েছে, নিহত ওই কিশোরীর নাম সোনালী খাতুন। সে গুমা রবীন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের মাধ্যমিক পরিক্ষার্থী। তার পরীক্ষার সিট পড়েছিল রাজীবপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে। 

পরিবারের অভিযোগ, প্রতিবাশী যুবক জসিম উদ্দিন দফাদার দীর্ঘদিন ধরে ওই ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করে আসছে। তাকে বিয়ে করার জন্য বিভিন্ন ভাবে চাপ দিচ্ছিল। জসিমের উৎপাতে কিশোরীর বাড়ি থেকে বাইরে বেরোতে ভয় পেত। বিষয়টি জানতে পেরে যুবকের বাড়িতে জানিয়েছিল কিশোরীর পরিবার। কিন্তু তাতেও কোন লাভ হয়নি।   

রাতভর তান্ডব চালিয়ে ভোররাতে শেষ বাঘ-বন্দী খেলা! কীভাবে অভিযানে সফল বন দফতর?

মৃতের মামা আশরব আলি মল্লিক বলেন, সোনালী সকালে হাসিমুখে পরীক্ষা দিতে গিয়েছিল। ওর পরীক্ষা ভালো হয়েছিল। তবে পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফেরার কিছু সময় পরে তার ফোনে ফোন করে জসিম উদ্দিন। দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। সোনালী ফোনে পরীক্ষার সময় তাকে  উত্ত্যক্ত করতে বারণও করে। এরপরে সোনালী তার নিজের ঘরে চলে যায়। কিছু সময় পর পরিবারের সদস্যরা অনেক ডেকে করে সাড়া না পেয়ে উপরের ঘরে গিয়ে সোনালীকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে এবং তড়িঘড়ি তাকে বারাসত মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। 

স্কুলের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ, ১৬ হাজার না দেওয়ায় মাধ্যমিক দেওয়া হলনা তিন পড়ুয়ার

এদিন রাতে জসিম উদ্দিনের নামে অশোকনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মৃতার মামা আসরব আলি মল্লিক। তিনি বলেন, পাড়ার ছেলেটি বারেবারে ভাগ্নিকে  উত্ত্যক্ত করছিল। বিয়ে করার জন্য চাপও দিত। আমরা বেশ কয়েকবার নিষেধ করেছিলাম। কিন্তু তাতে কান দেয়নি। ওর অত্যাচার আত্মহত্যা করল সোনালি। অভিযুক্তর কঠোর শাস্তি দাবি জানিয়েছেন মৃতার পরিবার।