Suvendu Adhikari : মহেশতলা অশান্তিতে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে বঙ্গ বিজেপি। ২৬ জন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের হাতে এদিন সাহায্য তুলে দেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পাশাপাশি তিনি অভিযোগ করেন, ঘটনার পর থেকে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
মহেশতলা অশান্তির ঘটনায় ৪৮ ঘন্টা কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত প্রশাসনের তরফে থেকে কোনও ধরনের আর্থিক সাহায্য বা নিরাপত্তা দেওয়া হয়নি বলে দাবি করে শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারী শাসক তৃণমূলকে নিশানা করে অভিযোগ করেছেন, অশান্তির ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের সকলেই হিন্দু। মোট ২৬ জন ক্ষতিগ্রস্তের মধ্যে ২৩ জন এদিন হাজির ছিলেন। তাদের হাতে ক্ষতিপূরণ বাবদ সাহায্য তুলে দেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু আরও বলেন, "সামশেরগঞ্জের মত মহেশতলাতেও ক্ষতিগ্রস্তরা পুলিশ বা শাসক দলের তরফে কোনও ক্ষতিপূরণ নেবেন না বলেও জানিয়েছেন"। ঘটনার পর থেকে আতঙ্কে রয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
স্থানীয়দের দাবি, প্রশাসন পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিতে পুরোপুরি ব্যর্থ। এই অবস্থায় আদালতের হস্তক্ষেপের দাবি উঠেছে। এদিন বিরোধী দলনেতা জানিয়েছেন, সোমবার অথবা মঙ্গলবারের মধ্যে আদালত এই বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে পারে। শুভেন্দু অধিকারী আরও বলেন, আশাকরি আদালতের অনুমতি নিয়ে আমরা মহেশতলায় ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দু পরিবারগুলির পাশে দাঁড়াতে পারব।" মহেশতলা কাণ্ডে NIA তদন্তের দাবি জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা।
মহেশতলা কাণ্ডের জেরে এবার পুলিশে ব্যাপক রদবদল। সরিয়ে দেওয়া হল রবীন্দ্রনাথনগর থানার আইসিকে। মহেশতলার এসডিপিও-কেও বদলি করা হয়েছে। যদিও এটিকে রুটিন বদলি বলেই দাবি করা হয়েছে। তবে ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, মহেশতলার সংঘর্ষের জেরেই পুলিশে এই বদলি নবান্নের।
জানা গিয়েছে, রবীন্দ্রনগর থানার আইসি মুকুল মিঞাকে দার্জিলিংয়ের ইন্সপেক্টর অফ পুলিশ করে পাঠানো হয়েছে। তাঁর জায়গায় রবীন্দ্রনগর থানার আইসি-র দায়িত্ব নিচ্ছেন মালদহের রতুয়ার সার্কেল ইন্সপেক্টর সুজন কুমার রায়। বদলি করা হয়েছে মহেশতলার SDPO-কেও। মহেশতলার এসডিপিও কামরুজ্জামান মোল্লাকে এসিপি থার্ড ব্যাটেলিয়নে বদলি করা হয়েছে। তাঁর জায়গায় মহেশতলার SDPO হয়ে আসছেন সৈয়দ রেজাউল কবির।
দিন কয়েক আগেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার রবীন্দ্রনগরের আকড়া সন্তোষপুর এলাকায় তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছিল। একটি দোকান বসানোকে কেন্দ্র করে ব্যাপক সংঘর্ষ বেঁধে যায়। পুলিশ পরিস্থিতি সামলাতে গেলে উত্তেজনা চরমে ওঠে। পুলিশকে লক্ষ্য করে চলে ইট-বৃষ্টি। ইটের গায়ে মাথা ফেটেছে একাধিক পুলিশকর্মীর। জখমও হয়েছেন অনেকে। পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে একের পর এক বাইক, পুলিশের গাড়িতেও বেপরোয়া ভাবে চলেছে ভাঙচুর।