Mahishadal Rath Yatra: পালকি চড়ে রাজা আসেন আজও! মহিষাদলের রথের বাড়তি আকর্ষণ সম্পর্কে জানলে চমকে যাবেন

Mahishadal Rath Yatra: পূরী, হুগলির মাহেশের রথের পরেই স্থান রয়েছে মহিষাদলের প্রাচীন রথের। ফি বছর হাজার হাজার মানুষ আসেন মহিষাদলের রথ দেখতে। দিন যত যাচ্ছে, মানুষের ভিড়ও তত বাড়ছে।

Mahishadal Rath Yatra: পূরী, হুগলির মাহেশের রথের পরেই স্থান রয়েছে মহিষাদলের প্রাচীন রথের। ফি বছর হাজার হাজার মানুষ আসেন মহিষাদলের রথ দেখতে। দিন যত যাচ্ছে, মানুষের ভিড়ও তত বাড়ছে।

author-image
Debanjana Maity
New Update
Mahishadal Rath Yatra 2025

পালকি চড়ে রাজা আসেন আজও! মহিষাদলের রথের বাড়তি আকর্ষণ সম্পর্কে জানলে চমকে যাবেন

Mahishadal Rath Yatra:  পূরী, হুগলির মাহেশের রথের পরেই স্থান রয়েছে মহিষাদলের প্রাচীন রথের। ফি বছর হাজার হাজার মানুষ আসেন মহিষাদলের রথ দেখতে। দিন যত যাচ্ছে, মানুষের ভিড়ও তত বাড়ছে। রথের পূণ্য রশিতে টান দিতে শুধু জেলার মানুষই নন, হাজির হন পার্শ্ববর্তী জেলা ও ভিন রাজ্যের মানুষও। 

Advertisment

এখনও এই রথের দিন মহিষাদল রাজবাড়ি থেকে রাজা আসেন। পালকি চড়ে রাজা হরপ্রসাদ গর্গ আসেন। রাজাবাহাদুরের সঙ্গে সঙ্গে চলে রাজছত্র, দেহরক্ষীর হাতে থাকে রুপোর বর্শা। রাজা পালকি থেকে নামার আগে নিয়ম মেনে এখনও ডঙ্কা বাজে। এরপর সুপ্রাচীনকাল থেকে চলে আসা নিয়ম মেনেই এগোয় রথের আচারঅনুষ্ঠান। তবে মহিষাদলের রথের অধিষ্ঠিত দেবতা হিসাবে গোপালজিউকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। সাথে যান জগন্নাথদেব। সাথে যান না বলরাম ও শুভদ্রা।

বিষাক্ত গোখরোর সঙ্গে ভয়ঙ্কর লড়াই, মালিকের প্রাণ বাঁচিয়ে 'হিরো' বর্ধমানের 'হ্যারি', ল্যাব্রাডরের সাহসিকতায় প্রশংসার ঝড়!

মহিষাদলের রথের অন্যতম আকর্ষণ কাঁঠাল। রথের প্রায় এক মাস আগে থেকে নদীয়া,মুর্শিদাবাদ, হুগলী, দক্ষিন ২৪ পরগনা থেকে চাষিরা তাদের বাগানের কাঁঠাল নিয়ে মহিষাদলে হাজির হন। মহিষাদল রাজবাড়ির আম্রকুঞ্জে এবং পুরাতন বাসস্ট্যান্ডের নিকট বসে কাঁঠালের মেলা।

Advertisment

চাষিরা তাদের বাগানের সেরা কাঁঠাল নিয়ে হাজির হন। তবে দাম থাকছে সাধ্যের মধ্যে ৫০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা দামের কাঁঠাল রয়েছে। কাঁঠালের সাইজ ও গঠনের উপর নির্ভর করে দাম হয়ে থাকে। রথের কাঠাল কেনার জন্য মুখিয়ে থাকেন এলাকার মানুষজন। প্রদিন সকাল ৬ টা থেকে রাত্রি ৮ টা পর্যন্ত খোলা থাকে কাঁঠাল বিক্রির স্টল। 

মহিষাদলের রথের মেলা প্রায় ২৪৯ বছরের পুরনো। শোনা যায়, মহিষাদলের রাজা আনন্দ লালের স্ত্রী রানি জানকির উৎসাহে ১৭৭৬ সালে রথযাত্রার শুরু হয়। সেই থেকে চলে আসছে এই রথেরমেলা। দিন যত গিয়েছে, মেলা বহরে বেড়েছে। আগে তো ১৫ দিনের মেলা হতো, এখন তা একমাস ধরে চলে। আগে মেলায় পালাগান হতো। কলকাতা থেকে যাত্রার দল আসত। সময়ের হাত ধরে সেসব এখন হারিয়েছে। 

মেচেদা-হলদিয়া সড়ক পথে পড়ে মহিষাদল। হলদিয়া যাওয়ার নতুন বাসস্ট্যান্ড বা মেচেদা যাওয়ার পুরানো বাজার বাসস্ট্যান্ডে নেমে ১০ মিনিট হাঁটলেই রথের মাঠ বা সড়ক।নদীয়ার করিমপুর থেকে আগত বিক্রেতা কৃষ্ণ পাল জানান," সারা বছর অপেক্ষা করে থাকি মহিষাদলের রথের জন্য। মহিষাদলের রথে কাঁঠাল বিক্রির উপযুক্ত পরিবেশের পাশাপাশি ভালো বিক্রি হয়ে থাকে। এবছরেও আশাকরি ভালো বিক্রি হবে।" ক্রেতা গণেশ রুইদাস জানান, মহিষাদলের রথের সাথে কাঁঠালের গভীর সম্পর্ক। আমরা এই দিন গুলির জন্য অপেক্ষা করে থাকি। খুব কম দামের ভালো জিনিস পাওয়া যায়।

রবিবার বাংলার বুকে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা, রক্তে ভেসে যাচ্ছে রাস্তা, মৃত্যুমিছিল, হাসপাতালে বুক ফাটা আর্তনাদ

Rath Mahishadal Rath Yatra