Mahua Moitra-Jai Anant Dehadrai: সংসদে টাকার বিনিময়ে আদানিদের (Adani) বিরুদ্ধে প্রশ্ন (Cash for Queries Case) তোলার অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। এই ইস্যুতে শেষমেস সাংসদ পদ খোয়াতে হয়েছে মহুয়া মৈত্রকে (Mahua Moitra)। টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন-কাণ্ডে সম্প্রতি মহুয়ার বাড়ি-দফতরে হানা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। মহুয়ার সাংসদ বাতিল ইস্যুতে তাঁর বিরুদ্ধে নানা সময়ে নানা মন্তব্য করেছেন তাঁর প্রাক্তন বন্ধু জয় অনন্ত দেহদ্রাই, এমনই দাবি মহুয়ার। মহুয়াও তাঁর বিরুদ্ধে নানা মন্তব্য করেছেন বলে দাবি অনন্তেরও। দু'পক্ষের আকচাআকচি এমন পর্যায়ে পৌঁছে যায় যে মহুয়ার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা পর্যন্ত করেছেন তাঁর প্রাক্তন বন্ধু জয় অনন্ত দেহদ্রাই (Jai Anant Dehadrai)। সেই মামলার শুনানিতেই মঙ্গলবার তাৎপর্যপূর্ণ পর্যবেক্ষণ দিল্লি হাইকোর্টের (Delhi High Court)।
কী বলল আদালত?
মহুয়া যাতে তাঁর বিরুদ্ধে 'অবমাননাকর মন্তব্য' করা বন্ধ করেন আদালতকেই সেই নির্দেশ দিতে আবেদন জানিয়েছিলেন তাঁর প্রাক্তন বন্ধু জয় অনন্ত দেহদ্রাই। সেই মামলার শুনানিতে আদালত জয় অনন্ত দেহদ্রাইকে জানিয়েছেন, তিনি মহুয়ার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অভিযোগ তুললে মহুয়ারও তাঁর আত্মপক্ষ সমর্থনের অধিকার রয়েছে। তবে এক্ষেত্রে মহুয়াকেও মিথ্যা অভিযোগ আনলে চলবে না।
এদিন আদালতে মহুয়া মৈত্রের আইনজীবী জানিয়েছেন, তাঁর মক্কেল জয় অনন্ত দেহদ্রাইয়ের উদ্দেশ্যে কোনও অবমাননাকর মন্তব্য করেননি। মহুয়া যা যা বলেছেন তাঁর পিছনে যুক্তি রয়েছে বলে সওয়াল করেন তাঁর আইনজীবী। যদিও এর পাল্টা মহুয়ার প্রাক্তন বন্ধু অনন্তের আইনজীবী জানান, মহুয়া মৈত্র তাঁর মক্কেলের চেয়ে যথেষ্ট প্রভাবশালী একজন ব্যক্তিত্ব। মহুয়ার মন্তব্যে তাঁর মক্কেলের কর্মজীবনে প্রভাব পড়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি।
এদিন দু'পক্ষের আইনজীবীর সওয়াল-জবাব শুনে আদালত জানিয়েছে, অতি সম্প্রতি মহুয়া মৈত্রের তরফে তাঁর প্রাক্তন বন্ধু জয় অনন্ত দেহদ্রাইকে নিয়ে কোনও মন্তব্য শোনা যায়নি। তবে মহুয়ার আগের মন্তব্যের কারণে তাঁর প্রাক্তন বন্ধুর কর্মজীবনে কতটা প্রভাব পড়েছে তাও পর্যালোচনা করে দেখা হবে বলে এদিন আদালত জানিয়েছে। এমনকী মহুয়া মৈত্রও যদি অনন্তের বিরুদ্ধে কোনও মিথ্যা অভিযোগ এনে থাকেন তবে তাঁর বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ করা হবে বলে আদালত স্পষ্ট করে এদিন জানিয়ে দিয়েছে। আগামী ২৫ এপ্রিল ফের এই মামলার শুনানি হবে।