শাসক দলে যোগ দিলে সরকারি কোটায় ১০ জনের চাকরি এবং একইসঙ্গে মিলবে যে কোনও একটি দপ্তরের পূর্ণ মন্ত্রীর পদ। কোনও এক তৃণমূল বিধায়কের এরকম প্রস্তাব দেওয়ার বিস্ফোরক দাবি সংবাদমাধ্যমের কাছে তুলে ধরলেন উত্তর মালদার বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু। আর এই ঘটনাকে ঘিরে মালদা জেলার রাজনীতিতে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
বিজেপির উত্তর মালদার সাংসদ খগেন মুর্মুর দাবি, ‘মুর্শিদাবাদের এক মহিলা তৃণমুল বিধায়ক প্রস্তাব দিয়েছিলেন দল বদল করে তৃণমূলে এলে ১০ জনকে চাকুরি ও আর্থিক সহায়তাও করা হবে।’ যদিও তৃণমূল বিধায়ক তথা দলের জেলা সভাপতি আবদুর রহিম বক্সি এই ধরনের মন্তব্যকে গুরুত্ব দিতে নারাজ।
আরও পড়ুন- শোভনের জামাই ষষ্ঠী জমজমাট, আদরে-সোহাগে পঞ্চব্যঞ্জন খাওয়ালেন বৈশাখী
রবিবার উত্তর মালদার বিজেপি সাংসদ বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেস ২০১১ সাল থেকে আমার পেছনে লেগেছে। আমি বারে বারে বলেছি তৃণমূলে যাওয়ার আমার কোনও ইচ্ছা নেই। তৃণমূলকে আমি কোনও পার্টি মনে করি না। তৃণমূল মানে একটা ক্লাব। ক্লাবের মধ্যে যেমন শৃঙ্খলা আছে, তৃণমূলে তাও নেই। সুতরাং তৃণমূলে যাওয়ার কোন প্রশ্নই নেই আমার। আমি এক সময় বামফ্রন্ট করতাম, এরপর বিজেপি করছি। ব্যক্তিগত কিছু মতামতের কারণে আমি বিজেপিতে যোগ দিয়েছি। ২০১৯ সালে ১২ই মার্চ আমি দল পরিবর্তন করে বিজেপিতে যোগ দিয়েছি। ২০১১, ২০১৬ সালেও তৃণমূলে আসার জন্য বলেছে। তৃণমূল কংগ্রেস থেকে ওরা আমাকে বারে বারে দলবদল করার জন্য অফার দিয়েছে। আমি প্রত্যেকবার প্রত্যাখ্যান করেছি।’
আরও পড়ুন নবী মহম্মদকে নিয়ে কু-কথা! এক চিঠিতেই ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে গেল বিজেপির নুপূরের
খগেন মুর্মুর বক্তব্য, ‘তৃণমূল কংগ্রেসের নীচু তলার কর্মীদের চাঙ্গা করার জন্য বার বার বলা হচ্ছে খগেন মুর্মু তৃণমুলে যোগদান করছে। বিজেপির ফলোয়ার্সদের দুর্বল করার জন্য এই ধরনের কথা বলছেন। এটাই হচ্ছে ওদের খেলা। ২০১৯ সালে তাদের অফার ছিল ক্যাবিনেট মিনস্টার করবে ও ১০জনকে চাকুরি দেবে। এছাড়াও আপনি যা চাইবেন আর্থিক দিক থেকে তাই দেওয়া হবে।’ বিজেপি সাংসদের দাবি, ‘২০১৯-এর ১০মার্চ কলকাতায় এমএলএ হস্টেলে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। আমি তা প্রত্যাখ্যান করি। মুর্শিদাবাদ বিধানসভার এক কংগ্রেস থেকে সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া এক মহিলা বিধায়ক এই প্রস্তাব দিয়েছিলেন।’
আরও পড়ুন বিধায়ক পুত্রের ভিডিও প্রকাশ্যে এনে গ্রেফতারের দাবিতে সোচ্চার বিজেপি
পাল্টা তৃণমূলের জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সি বলেন, ‘তৃণমুলের এত দুর্দিন আসেনি যে বিজেপির মত একটি সাম্প্রদায়িক দল, মানুষ-মারা দলকে প্রস্তাব দিয়ে তাদের সাংসদদের দলে নিতে হবে। এমনিতে ওরা সারি দিয়ে দলবদ্ধ ভাবে দাঁড়িয়ে আছে। দিদির অনুমোদনের অপেক্ষায়। দিদি যদি আজ অনুমোদন দেন তাহলে বিজেপি পার্টিটা আর এখানে থাকবে না। তাদের কোনও জনপ্রতিনিধি থাকবে না। সুতরাং কোন সাংসদ কী বলছেন এটা পাগলের প্রলাপ।’ খগেন মুর্মুর দাবি একেবারে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন রহিম বক্সি।